ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুলছাত্রকে জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

স্কুলছাত্রকে জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে জোর করে তুলে নিয়ে মারধরের পর নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদা না দিলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় ওই ছাত্রের চাচা গফরগাঁও থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ঘাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পোড়াবাড়ীয়া ফরাজী বাড়ির দশম শ্রেণির ওই ছাত্র গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পাশের ঘাগড়ায় অনুষ্ঠেয় ইসলামী মহাসম্মেলনে অংশ নিতে যায়। তাকে রাত ২টার দিকে ওই ছয় অভিযুক্ত কথা আছে বলে সম্মেলনের পাশের রাস্তায় ডেকে নেয়। রাস্তায় নিয়েই ছয়জন মিলে তার চোখমুখ গামছা দিয়ে বেঁধে মোটরসাইকেলে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মারধর করেন এবং তাকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় ওই ছয়জন ছাত্রকে হুমকি দেন তাদের শেখানো মতে ‘আমি ইয়াবা বিক্রি করি, আমি হেরোইন বিক্রি করি’ বলতে। ভয়ে সে ওই ছয় সন্ত্রাসীর শেখানো মতো কথা বলে। সন্ত্রাসীরা তা ভিডিওতে ধারণ করে এবং ছাত্রের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে ভোর ৫টার দিকে চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে পোড়াবাড়ীয়া বাজারের পাশে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্র লজ্জায়-ভয়ে কান্নাকাটি করছে। অভিযুক্তরা হলেন- নওখলা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে প্রোপেল (১৮), ছিপান গ্রামের পচাখাঁর বাড়ির চন্দন মিয়ার ছেলে মো. রিফাত (২২), ধাইরগাঁও গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী (২৪) ও মো. প্রান্ত (১৮), বিপুল মিয়ার ছেলে মো. রহিম (২১) এবং মো. আশিক (১৮), তার পিতা অজ্ঞাত। গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকূল সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদন্ত ও ভিডিওটি উদ্ধারের জন্য একজন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
×