ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এই দশকের সেরা একাদশে সাকিব

প্রকাশিত: ১০:২৭, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

  এই দশকের সেরা একাদশে সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার এক বছরেও স্টিভেন স্মিথ ছিলেন সেরাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। মাঠের বাইরে থেকেও বিরাট কোহলি, জো রুট, কেন উইলিয়ামসনদের পরীক্ষা নিয়েছেন সাবেক অসি-অধিনায়ক! সেটা কিভাবে? র‌্যাঙ্কিংয়ে! সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রেও অবধারিত একই ঘটনা ঘটত। টাইগার অলরাউন্ডার যে সেরাদের সেরা। কিন্তু আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ায় সাকিবের নাম র‌্যাঙ্কিং থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। তবে মুছে ফেলা যায়নি ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন সম্পাদকম-লীর হৃদয় থেকে। সাকিব যে আধুনিক ক্রিকেটেই অলঙ্কার, সেটি প্রকাশ পেয়েছে উইজডেনের এই দশকের সেরা একাদশে জায়গা করে নেয়ার মধ্য দিয়ে। ২০১০-এর জানুয়ারি থেকে ২০১৯-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত রঙিন পোশাকের অভিজাত ভার্সন ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে উইজডেন। সেখানে ডেভিড ওয়ার্নার, এবি ডি ভিলিয়ার্সদের পাশে জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব। শেষ দশ বছরে উত্থান-পতনের অনেক ঘটনা ঘটেছে বিশ্ব ক্রিকেটে। উত্থিত হয়েছে নতুন ক্রিকেট সম্রাটের, ব্যাট হাতে ছড়ি ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে বল হাতে বিধ্বংসী হতে দেখা গেছে অনেক গতি তারকাকে। আর বল হাতে ঘূর্ণি জাদুতেও মোহিত করতে দেখা গেছে অনেক স্পিনারকে। যেখানে একমাত্র ক্রিকেটার এবং অলরাউন্ডার হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন সাকিব আল হাসান। স্কোয়াডে নেই পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোন ক্রিকেটার। উইজডেন তাদের একাদশে ওপেনার হিসেবে বেছে নিয়েছেন রোহিত শর্মা ও ডেভিড ওয়ার্নারকে। তিন ও চার নম্বরে বিরাট কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্স। পাঁচ ও ছয় নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন সময়ের সেরা দুই ফিনিশার জস বাটলার ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর বোলারদের মধ্যে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, ডেল স্টেইন, ট্রেন্ট বোল্ট ও লাসিথ মালিঙ্গা। এ বছর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স এবং সেই সঙ্গে স্পিনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করায় উইজডেন একাদশে সাকিবের অন্তর্ভুক্তিতে যে বড় প্রভাব রাখে সেটি অনুমেয়। এই দশকে খেলা ১৩১ ওয়ানডে ম্যাচে সাকিব করেছেন ৪২৭৬ রান, যেখানে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ছিল ১২৪ আর ব্যাটিং গড় ছিল ৩৮.৮৭। কেবল ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন সাকিব। বল হাতে ১৭৭ উইকেট নিয়েছেন সাকিব, যেখানে বোলিং গড় ছিল ৩০.১৫ আর সেরা বোলিং ফিগার ছিল ২৯ রানে ৫ উইকেট। স্বভাবতই অলরাউন্ডার হিসেবে উইজডেনের সেরা একাদশে ঢুকে গেছেন সাকিব। কেবল অলরাউন্ডারই নয়, স্কোয়াডে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনারও তিনি। তাই বেন স্টোকসের মতো তুখোড় তারকারও জায়গা হয়নি। ক্রিকেটের বাইবেল উইজডেন সুপার সাকিবকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছে এর থেকেই পরিষ্কার। উইজডেনের এই দশকের সেরা ওয়ানডে একাদশ ॥ ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া), রোহিত শর্মা (ভারত), বিরাট কোহলি (ভারত), এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা), জস বাটলার (ইংল্যান্ড), মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত), সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ), লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), মিচের স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), ডেল স্টেন (দক্ষিণ আফ্রিকা), ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)।
×