ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লা গ্যালারিতে সাজিদের কার্টুন প্রদর্শনী ‘নানা রঙের মানুষ’

প্রকাশিত: ১০:১১, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

  লা গ্যালারিতে সাজিদের কার্টুন প্রদর্শনী ‘নানা রঙের মানুষ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৃত্তাকারভাবে এই শহরকে ঘিরে আছে নানা ধরনের মানুষ। পথে-প্রান্তরে হন্যে হয়ে ঘুরছে সেসব মানুষ। ব্যস্ততম নাগরিক জীবনে তাদের অনেকেই হারিয়ে ফেলছেন নিজস্ব সত্তাকে। কেউ হয়ে যায় বোধ-বুদ্ধিহীন। সেসব মানুষের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যকে কার্টুনের আশ্রয়ে মেলে ধরেছেন স্থপতি সাজিদ-বিন-দোজা। রং-তুলির আঁচড়ে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করেছেন অনুভূতি লোপ পাওয়া মানুষকে। সেসব ছবি নিয়ে ফরাসী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী। শিরোনাম ‘নানা রঙের মানুষ’। ঢাকার মতো ঘিঞ্জি মহানগরীর রাস্তা, ফুটপাথ, গলি-তস্যগলি পেরিয়ে যেতে যেতে, কত অগণিত মুখই না দেখতে পাওয়া যায়! এসব মুখ, যদিও প্রথম দৃষ্টিতে ভারি অচেনা মনে হয়, তবু তাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে নিজস্ব পরিচয় এবং এই সমাজের অগুনতি ক্ষুদ্র অস্তিত্ব হিসেবে তারা বিভিন্ন দায়িত্ব ও চরিত্রে ভূমিকা পালন করে থাকেন। ক্রমনগরায়ন ও ক্ষীয়মান পারস্পরিক যোগসূত্রে, চেহারাগুলোও ক্রমে অপরিচয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে এবং তাদের ব্যক্তিসত্তা ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে অজ্ঞানতায়, আর সেই সঙ্গে মানুষ হারিয়ে ফেলছে তাদের বোধ ও বোধি। ড. সাজিদ বিন দোজা এই অজ্ঞানতাকে জ্ঞানে পরিণত করতে যা প্রয়োগ করেছেন, তার ভাষায় তাকে বলে ‘সামাজিক ব্যঙ্গচিত্র’। তিনি এই ঘিঞ্জি ঢাকা মহানগরীর রাস্তা, ফুটপাথ, গলি-তস্যগলিতে অজস্র মুখের মুখোমুখি হয়েছেন। বৈশিষ্ট্যসহ সেই মুখগুলোকে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করেছেন শিল্পী, কখনও হয়ত চিত্রপটে মিশিয়ে দিয়েছেন একটুখানি ব্যঙ্গের রেশ। এই মুখগুলোই তাদের চারপাশের উপাচারসহ রঙিন হয়ে উঠেছে, আর উপযুক্ত পরিবেশ সংলগ্নতায় চরিত্রগুলো হয়ে উঠেছে স্পন্দিত। এভাবেই কার্টুন চিত্রগুলোকে এঁকেছেন সাজিদ-বিন-দোজা। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া প্রদর্শনীটি চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেলে ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি খোলা থাকবে। রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কসোভো প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত গানার ইউরেয়া রবিবার সকালে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে তার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে কসোভোর সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জানান, হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ বাঙালী সংস্কৃতিকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সংস্কৃতির সুউপাদানসমূহ গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি আর সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৪৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং এ চুক্তির আওতায় সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম চালু রয়েছে। অতিদ্রুত আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। সে অনুযায়ী সাবেক যুগোস্লাভিয়ার অন্তর্ভুক্ত বলকান দেশ কসোভোর সঙ্গেও আমরা সাংস্কৃতিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে চাই। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। কসোভোর রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম চালু করতে চাই। তিনি বলেন, প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণ, জাদুঘর ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে পারি।
×