ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষক-গবেষকদের জ্ঞান দক্ষতা জাতি গঠনে নিয়ামক শক্তি

প্রকাশিত: ১০:০৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

  শিক্ষক-গবেষকদের জ্ঞান দক্ষতা জাতি গঠনে নিয়ামক শক্তি

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ দেশের পরিবেশকে সুন্দর করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। এ বিষয়ে প্রচার চালানো এবং ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্ববিদালয়সহ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীর প্রতি চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রসমাজ অতীতে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খানকে পরাজিত করেছে, মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ উৎসর্গ করে বিজয় লাভ করেছে, সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেছে তা হলে দেশের পরিবেশকে সুন্দর করতে পারবে না কেন? বিদেশে যেয়ে আমরা থুথু ফেলতে গেলে, এক টুকরো কাগজ ফেলতে গেলে চিন্তা করি। অথচ দেশে এসে আমরা কি করি? দেশের রাস্তাঘাট, নদী-নর্দমা বর্জ্যে ভরে যাচ্ছে, পলিথিনের কারণে পানি সরতে পারে না, বর্জ্যে ভরে যাচ্ছে, পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। অথচ জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে পরিবেশ সুন্দর করা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষার্থীর এগিয়ে আসলে এ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জিত হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে সভাপতির ভাষণে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এ আহ্বান জানান। রবিবার বেলা আড়াইটায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, আদর্শ শিক্ষক-গবেষক জাতির মূল্যবান সম্পদ। শিক্ষক-গবেষকদের জ্ঞান, দক্ষতা ও প্রজ্ঞা ভবিষ্যত জাতি গঠনের অন্যতম নিয়ামক শক্তি। শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজন দক্ষ, অভিজ্ঞ ও জ্ঞানের প্রতি অনুরাগী শিক্ষকম-লী, যারা নিজেরা নিরন্তর সর্বশেষ জ্ঞানচর্চায় রত থাকবেন এবং তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করবেন। তিনি বলেন, শিক্ষক যখন তার মহান আদর্শ থেকে দূরে চলে যান তখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে জ্ঞান অর্জন ও বিতরণে শিক্ষকম-লী নিবেদিত থাকবেন জাতি তা প্রত্যাশা করেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনসহ গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করে বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সামরিক ও বেসামরিক, বিভাগীয়, জেলা পর্যায়ের প্রশাসন, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থার কর্মকর্তা, নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি সফল গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত জ্ঞান মানব জাতির অশেষ কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। চিকিৎসাসহ জীবনমান সহজ করতে পারে। এমনকি বিশ্বরাজনীতি, ভূ-অর্থনীতি, বিশ্ববাণিজ্য, আঞ্চলিক বা দেশীয় আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে গবেষণা যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় এবং জীবনমুখী ও মানবকল্যাণে নিবেদিত হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। গবেষণার ফল যাতে লাইব্রেরিতে বন্দী না থাকে তা নিশ্চিত করে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, খুলনা অঞ্চলে রয়েছে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ্ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবন ও সামুদ্রিক সম্পদ সমৃদ্ধ বিশাল উপকূল। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এ জীববৈচিত্র্য ও উপকূলীয় মূল্যবান সম্পদ নিয়ে গবেষণার জন্য অধিক মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনার পাশাপাশি একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে। মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। কৃষির উন্নতিতে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। নারীর ক্ষমতায়ন, মহিলা ও শিশুর উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের ফলে বাংলাদেশ আজ স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য। স্বল্পোন্নত ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের তিনটি সূচকের মানদ-েই বাংলাদেশ উন্নীত হয়েছে। আমাদের এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। আমাদের দৃষ্টি এখন ২০৪১ সালের পানে, যখন বাংলাদেশ বিশ্বে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তোমরা দেশের উচ্চতর মানবসম্পদ। তোমাদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক সে প্রত্যাশা পূরণে তোমাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা ও সৃজনশীলতাকে জাতির বৃহত্তর কল্যাণে নিয়োজিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বিত উত্তরসূরি তোমরা। তোমরা এ দেশকে এগিয়ে নেবে সুন্দর আগামীর পথে, সমৃদ্ধির পথে। মনে রাখবে এ দেশ ও সমাজ আজ তোমাদের এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।’ বক্তব্যের শুরুতে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চার জাতীয় নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে খুলনা অঞ্চলের জনগণের রয়েছে বিপুল অবদান। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বীর বিক্রমে লড়াই করে বহু মুক্তিযোদ্ধা জীবন উৎসর্গ করেন। হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর বর্বরতার সাক্ষ্য বহন করছে গল্লামারী বধ্যভূমি। তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ মুজিববর্ষ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত ‘কালজয়ী মুজিব’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধুর সুবিশাল ম্যুরালটি উদ্বোধন করতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত। এই অমর কীর্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীসহ সবার মনন ও চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃৃঢ় বিশ্বাস । তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে দেশ ও জাতির আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রস্থল। জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি মূল্যবোধ লালন, নীতি-নৈতিকতা, দেশপ্রেম উৎসারিত করার শ্রেষ্ঠক্ষেত্র এটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে যুক্তি ও সত্যের অনুসন্ধান, নতুন নতুন জ্ঞান সৃজন এবং মানব কল্যাণে তার ব্যবহার। প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের সমস্যা নিরসনসহ দেশ ও জাতি নির্বিশেষে মানবজাতির ভবিষ্যত পথের নির্দেশনা প্রদান। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য অর্জন জাতিকে যেমন অনুপ্রাণিত করে, জাতীয় জীবনে উদ্যম ও গতিশীলতা সৃষ্টি করে, তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রত্যাশিত সংবাদ ও ঘটনা জাতির মননে, সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ বজায় রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমার বিশ্বাস জ্ঞান-বিজ্ঞানের নবতর শাখায় বিকাশ ঘটিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। রাষ্ট্রপতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করে বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এ বিশ্ববিদ্যালয় স্পেনের সিগমো ল্যাব ও যুক্তরাষ্ট্রেও স্কপাস পরিচালিত জরিপে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ের তালিকায় প্রবেশ করে এ বছর দেশের মধ্যে উদ্ভাবনীতে প্রথম ও গবেষণায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে। রাইঙ্গামারী গ্রামকে ল্যাবরেটরি ভিলেজ করা হয়েছে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। এবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনে ৪৪৭৮ জনকে স্নাতক, ২৫৩০ জনকে স্নাতকোত্তর, পাঁচজনকে এম ফিল ও আটজনকে পিএইচডি এবং ১৭ জনকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ডিগ্রী প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের (অনুষদ) পরীক্ষার ফলাফলে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য এবার ২৩ শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের অধীন রসায়ন ডিসিপ্লিনের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের রুম্পা কুন্ডু, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মোঃ রাহাত আলী, পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সুবর্ণা কুন্ডু, গণিত ডিসিপ্লিনের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের তন্ময় বৈরাগী, কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নাজমুস সাকিফ। জীববিজ্ঞান স্কুলের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ঈশিতা মন্ডল, ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জিনাত সুলতানা ও একই ডিসিপ্লিনের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফারহান তানভীর, ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মাইশা মালিহা মেধা। সামাজিকবিজ্ঞান স্কুলের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শেখ ফাইজান বিন হালিম, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের তহমিনা ইসলাম, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রোজিনা আক্তার, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সাবরিনা আক্তার, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মুক্তা আক্তার। ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ইমতিয়াজ মাশরুর, ২০১৫-১৬ শিক্ষবর্ষের ফারিহা আজাদ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শাহানাজ আক্তার, ২০১৭-১৮ শিক্ষবর্ষের তমালিকা বালা। চারুকলা স্কুলের ড্রইং এ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শাপলা সিংহ ও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের হিমা আক্তার হিরামণি, ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের রূপক কুমার সাহা, প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের ২০১৭-১৮ শিক্ষবর্ষের আসমা চৌধুরী। উল্লেখ্য, ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হওয়ার পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে পাঁচটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৭ সালের ১০ এপ্রিল, দ্বিতীয় সমাবর্তন ২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় সমাবর্তন ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ, চতুর্থ সমাবর্তন ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর এবং পঞ্চম সমাবর্তন ২০১৫ সালের ২৫ নবেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
×