ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঠিকাদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে বন্ধ দুই গ্যাস কূপ খননের কাজ

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

ঠিকাদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে বন্ধ দুই গ্যাস কূপ খননের কাজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঠিকাদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ভেস্তে যেতে বসেছে সম্ভাবনাময় দুইটি গ্যাস কূপ খননের কাজ। এরইমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে আজারবাইজানের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সকার। ক্ষতিপূরণ আর বিল বকেয়া বাবদ প্রায় ১৪২ কোটি টাকা দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। মীমাংসা না হলে আন্তর্জাতিক সালিশী আদালতে যেতে চায় তারা। বিদ্যুত ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব। ২০১৭ এর জুলাইয়ে তিনটি গ্যাস কূপ খননে যখন আজারবাইজানের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সকার-একিউএসের সঙ্গে চুক্তি করে বাপেক্স। তখন বিষয়টি প্রশংসিত হয় অনেক মহলে। কারণ যে কোন বিদেশী কোম্পানির চেয়ে কম দরে কাজ নেয় সকার। কিন্তু তিনটি কূপের মধ্যে একটির খনন শেষ হতে না হতেই সময় মতো বিল না পাওয়ার অভিযোগে চুক্তি বাতিলের নোটিস দেয় সকার। তাদের অভিযোগ, নোটিস দেয়ার আট মাস পরও কোন পদক্ষেপ নেয়নি বাপেক্স। সম্প্রতি এ নিয়ে বিদ্যুত ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সকার। তারা এখন বন্দরে আটকে পড়া দ্বিতীয় কূপ খননের জন্য আনা যন্ত্রপাতিও ফিরিয়ে নিতে চায়। বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী কূপ খননে নির্ধারিত সময়ের চাইতে বেশি সময় নেয় সকার। এজন্য টাকা দিতে দেরি হয়েছে।’ অন্যদিকে সকারের দাবি, শুধু ক্ষতিপূরণ নয় ফেরত দিতে হবে পারফর্মেন্স গ্যারান্টির টাকাও। স্থানীয়ভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি না হলে আন্তর্জাতিক সালিশী আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে তারা। খাগড়াছড়িতে সেমুতাং দক্ষিণ-১ নম্বর কূপ খনন করেও কোন গ্যাস পায়নি সকার। এছাড়া খনন করার কথা ছিল বেগমগঞ্জ-৪ আর মাদারগঞ্জ-১ কূপের। এজন্য দর ছিল তিন কোটি ৩০ ডলার বা প্রায় ২৮০ কোটি টাকা। যে টাকা দেয়া হতো গ্রাহকদের গচ্ছিত গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে নীতি নির্ধারকদের শুরু থেকেই সজাগ থাকতে হবে।
×