ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

করাচি টেস্ট

আবিদ-মাসুদের সেঞ্চুরিতে পাকিদের দাপট

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

আবিদ-মাসুদের সেঞ্চুরিতে পাকিদের দাপট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আবিদ আলি ও শান মাসুদের কীর্তিগড়া জোড়া সেঞ্চুরির সৌজন্যে করাচী টেস্টে চালকের আসনে পাকিস্তান। শনিবার তৃতীয়দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩৯৫ রান। সবমিলিয়ে লিড ৩১৫। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৮ রানের জুটি গড়ে আবিদ আউট হয়েছেন ১৭৪ রান করে, তার ওপেনিং পার্টনার মাসুদ ১৩৫। অধিনায়ক আজহার আলি ৫৭ ও ইনফর্ম বাবর আজম ২২ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। এর আগে প্রথম ইনিংসে পাকিরা অলআউট হয় ১৯১ রানে, সফরকারী শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ২৭১। এই সিরিজের মধ্য দিয় দীর্ঘ দশ বছর পর টেস্ট ক্রিকেট ফিরেছে পাকিস্তানের মাটিতে। বৃষ্টির কারণে ড্র হয়েছিল রাওয়ালপিন্ডির প্রথম ম্যাচ। যেখানে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়া আবিদ এবার মাসুদকে নিয়ে রেকর্ডবইয়ের অনেক পরিসংখ্যানই নাড়িয়ে দিলেন। ফলশ্রুতিতে সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের নিয়ন্ত্রণ এখন পুরোপুরি পাকিদের হাতে। ৫৭ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। ২১ রানে ছিলেন মাসুদ, ৩২ রানে আবিদ। আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন তারা। ১৩৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ইতিহাসে নাম লেখান আবিদ। প্রথম পাকিস্তানী হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টে গড়েন সেঞ্চুরির কীর্তি। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের ও নিজের প্রথম টেস্টে করেছিলেন অপরাজিত ১০৯ রান। যে ইনিংস দিয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডের পর টেস্ট অভিষেকেও সেঞ্চুরির অনন্য কীর্তি গড়েন ৩২ বছর বয়সী ওপেনার। আবিদের দেখান পথে হেঁটে ১৪৮ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মাসুদ। ২০০১ সালের পর এই প্রথম কোন ম্যাচে দুই পাকিস্তানী ওপেনার পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। সেবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাঈদ আনোয়ার ও তৌফিক ওমর। চা-বিরতির কিছুক্ষণ আগে মাসুদের বিদায়ে ভাঙ্গে ২৭৮ রানের জুটি। পাকিস্তানের এরচেয়ে বড় ওপেনিং জুটি আছে একটি। এই করাচীতেই ১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৯৮ রান করেছিলেন আমির সোহেল ও ইজাজ আহমেদ। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে যে কোন উইকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ জুটি এটিই। দু’জনে ভেঙ্গেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ ও ইউনুস খানের ২৪২ রানের রেকর্ড (২০০৬ সালে ফয়সালাবাদে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে)। লাহিরুকুমারাকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মাসুদ। ১৩৫ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি সাজান ৭টি চার ও ৩ ছক্কায়। অধিনায়ক আজহারের সঙ্গে আরেকটি ফিফটি জুটি উপহার দিয়ে আউট হন আবিদ। কুমারার বলে এলবিডব্লিউ হলে ভাঙ্গে ৭৭ রানের জুটি। ২৮১ বলে ২১টি চার ও এক ছক্কায় ১৭৪ রানের ইনিংসটি সাজান আবিদ। টেস্ট ইতিহাসে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ইনিংসে মোট ৩২১ রান করে রেকর্ড বইয়ে তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নেন। পেছনে ফেলেন ভারতের করুণ নায়ার (৩২০) ও সৌরভ গাঙ্গুলীকে (৩১৫)। আবিদের ওপরে অর্থাৎ সেরা দুইয়ে যথাক্রমে ইংল্যান্ডের টিপ ফস্টার (৩৫৫) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের লরেন্স (৩৩৬)। স্কোর ॥ পাকিস্তান প্রথম ইনিংস- ১৯১/১০ (৫৯.৩ ওভার; আসাদ ৬৩, বাবর ৬০, আবিদ ৩৮; কুমারা ৪/৪৯, এম্বুলদেনিয়া ৪/৭১, বিশ্ব ২/৩১) ও দ্বিতীয় ইনিংস ৩৯৫/২ (১০৪ ওভার; মাসুদ ১৩৫, আবিদ ১৭৪, আজহার ৫৭*, বাবর ২২*; কুমারা ২/৮৮)। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস- ২৭১/১০ (৮৫.৫ ওভার; করুনারতেœ ২৫, মেন্ডিস ১৩, ওশাদা ৪, কুসল ১৩, ম্যাথুস ১৩, এম্বুলদেনিয়া ১৩, চান্দিমাল ৭৪, ডি সিলভা ৩২, দিকওয়েলা ২১, পেরেরা ৪৮; শাহিন শাহ ৫/৭৭, আব্বাস ৪/৫৫)। ** তৃতীয়দিন শেষে
×