ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

১৬ চালকল বন্ধের উপক্রম

আমতলীতে রাইস মিলে অবৈধভাবে চাল বেশি বরাদ্দ নেয়ার পাঁয়তারা

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

আমতলীতে রাইস মিলে অবৈধভাবে চাল বেশি বরাদ্দ নেয়ার পাঁয়তারা

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২১ ডিসেম্বর ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার খলিয়ান বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ফাতেমা অটোরাইস মিলে অবৈধভাবে সরকারী চাল বেশি বরাদ্দ নেয়ার পাঁয়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেছেন আমতলী হাস্কিং রাইস মিল মালিকের পক্ষে ছত্তার রাইস মিলের মালিক মোঃ তুহিন মৃধা। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, উপজেলা খলিয়ান বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ফাতেমা অটোরাইস মিল দুই বছর আগে নির্মাণ কাজ শুরু করে। ওই রাইস মিলটির এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। সরকারী চাল বেশি বরাদ্দ নেয়ার জন্য শুধু কাগজে কলমে মিল দেখিয়েছেন মিল মালিক মোঃ দেলোয়ার হোসেন কিন্তু বাস্তবে ওই মিলে এখন পর্যন্ত চাল উৎপাদন হচ্ছে না। গত অর্থবছরের বোরো মৌসুমে আমতলী খাদ্য অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ৩১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ নিয়েছেন। ওই চাল বাজার থেকে সংগ্রহ করে খাদ্য গুদামে সরবরাহ করেছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি আরও বলেন, মিলটি বর্তমানে উৎপাদন অযৌগ্য। এ বছর আমন মৌসুমের সরকারী বড় ধরনের একটি বরাদ্দ নেয়ার জন্য খাদ্য অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। ওই মিলটিতে পুরনো অকেজো বয়লার ও ড্রায়ার দ্বারা কোন মতে চালিয়ে মিথ্যা সার্ভে রিপোর্ট করিয়েছেন। ওই মিলের কোন ট্রেড লাইসেন্স নেই। ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই মিলের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বরগুনা সদর (ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম) কর্মকর্তা মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বিপ্লব তার বাড়ি আমতলী উপজেলার নীলগঞ্জ গ্রামে। তিনি আমতলী খাদ্য অফিসে প্রভাব খাটিয়ে ফাতেমা অটোরাইস মিলকে সরকারী সব বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। ফাতেমা অটোরাইস মিলকে সরকারী বরাদ্দ দেয়ায় উপজেলার ১৬ হাস্কিং রাইস মিল এখন বন্ধের উপক্রম হয়েছে। দ্রুত তদন্তপূর্বক ফাতেমা অটোরাইস মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ১৬টি হ্যাসকিন রাইস মিলকে বন্ধের উপক্রম থেকে রক্ষার দাবি জানাই।
×