ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভাড়াটিয়ার শিশু কন্যাকে আছাড় মারল বাড়ি মালিকের ছেলে

প্রকাশিত: ১১:১৮, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

ভাড়াটিয়ার শিশু কন্যাকে আছাড় মারল বাড়ি মালিকের ছেলে

সংবাদদাতা, পাথরঘাটা, বরগুনা, ২১ ডিসেম্বর ॥ বরগুনার পাথরঘাটায় বাড়ির মালিক মতিউর রহমানের ছেলে শ্রমিকলীগ নেতা মাহমুদ হোসেন ভাড়াটিয়া গৃহবধূ হাওয়া বেগমকে (২২) মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় হাওয়া বেগমের আড়াই বছরের কন্যা জান্নাতিকে কোল থেকে টেনে মাটিতে আছাড় মারে মাহমুদ। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মা ও মেয়ে জান্নাতিকে আহত অবস্থায় পাথরঘাটা থানা পুলিশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ওসি মোঃ শাহাবুদ্দিন। ভুক্তভোগী হাওয়া বেগম সদর ইউনিয়নের হরিণঘাটা গ্রামের মোঃ ফারুক দফাদারের মেয়ে। অভিযুক্ত মাহমুদ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মতিউর রহমানের ছেলে। গৃহবধূ হাওয়া বেগম জানান, স্বামী জামাল মিস্ত্রির সঙ্গে তালাক হওয়ার পর থেকেই ফের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকে। এক পর্যায় আমাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে জামাল আমাকে ঘরের তালা ভেঙ্গে উঠতে বললে আমি ঘরে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করি। তার একদিন পরেই ঘর মালিকের ছেলে মাহমুদ, দুলাল খান ও তার বোন ফাতিমা আমার ঘরে ঢুকে প্রথমে বৃদ্ধ মাকে মারধর শুরু করে। পরে আমি বাধা দিলে আমার কোলে থাকা আড়াই বছরের শিশু জান্নাতিকে টেনে ছুড়ে মাটিতে ফেলে দেয় মাহমুদ। আমার মায়ের গায়েও হাত তোলে। মেয়েকে ধরতে গেলে পিটিয়ে আমাকে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে জামালের বাসা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাওয়া বেগম আমার ভাড়া দেয়া ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে তারা উল্টো আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। পরে সামাল দিতে পুলিশকে অবহিত করি। পাথরঘাটা থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতের মারধরের ঘটনার এখনও লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। তবে ঘটনার আগেরদিন হাওয়ার মা ফিরোজা বেগম তার মেয়েকে সাবেক স্বামী ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
×