ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সংগ্রাম অর্জন ও বিসর্জন

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সংগ্রাম অর্জন ও বিসর্জন

বিশ্ব শ্রেষ্ঠ কালজয়ী ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দৃপ্তকণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণায় বলেছেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ আমরা সম্যক অবগত আছি যে, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার ব্রত নিয়ে ধারাবাহিক গণআন্দোলনের মাধ্যমে ‘স্বাধীনতা অর্জন ব্যতিরেকে ভারতের মুক্তি নেই’ বিশ্বাসে অটল ছিলেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুরও নিবিড় উপলব্ধি ছিল; স্বাধীন বাংলাদেশ ছাড়া বাঙালীর আর্থ-সামাজিক মুক্তির বিকল্প কোন পন্থা নেই। ৫ জানুয়ারি, ১৯৬৯ গঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ উত্থাপিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ গণআন্দোলনে তা প্রতীয়মান হয়। ফলস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর মুক্তি এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে প্রায় দশ লাখ ছাত্র-জনতা তাঁদের প্রাণপ্রিয় বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবকে সংবর্ধিত এবং ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। বঙ্গবন্ধু ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণে অভিষিক্ত করেন। ১৯৭১ সালের ৯ মার্চ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের’ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা অনুমোদন করা হয়। ১০ মার্চ বঙ্গবন্ধু কর্নেল ওসমানীকে মুক্তিবাহিনী সংগঠনের নির্দেশ দেন। ১৪ মার্চ ১৯৭১; ধর্ম-বর্ণ-দলমত নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালী জাতির প্রাণের দাবির প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘এই শাসনভার স্বহস্তে গ্রহণ করার অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জনগণ যেন তা রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকে।’ বঙ্গবন্ধু মুক্ত-স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদার সঙ্গে অনাগত প্রজন্মের ভবিষ্যত নিশ্চিতকল্পে মরণপণ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে যে কোন অপশক্তির মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে আবেদন জানান। বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বক্তব্য ও ভাষণে দেশ, মাটি ও মানুষকে ঘিরেই স্বপ্নগাথা আবেগ ছিল অতিশয় সুস্পষ্ট। প্রদীপ্ত ও প্রাণীত জীবনস্পন্দনে বঙ্গবন্ধু ধারণ করেছেন এই বাংলাকে। তাঁর ভাষায়, ‘আমি আমার বাংলার মানুষকে ভালবাসি। আমি বাংলার আকাশকে ভালবাসি। আমি বাংলার বাতাসকে ভালবাসি। আমি বাংলার নদ-নদীকে ভালবাসি। আমি বাংলার প্রত্যেক মানুষকে মনে করি আমার ভাই, মাকে মনে করি আমার মা, ছেলেকে মনে করি আমার ছেলে। এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। একে গড়তে হবে, চাই ত্যাগ ও সাধনা। ত্যাগ ও সাধনা ছাড়া এ দেশকে গড়া যাবে না।’ মুক্তির সংগ্রামকে অর্থবহ করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জনগণের সম্পৃক্ততাকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সকল মোহ, ভোগ-বিলাসকে নির্যাতিত করে বিপ্রতীপ অনগ্রসর ধারাকে প্রাগ্রসর ¯্রােতে বহমান করেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে মাত্র সাড়ে তিন বছরের স্বল্পাধিককাল শাসনকালে অকুতোভয় দূরদর্শী পরিকল্পনা ও নিরলস পরিশ্রমের বিনিময়ে অগণিত সমস্যা তথা খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান, এক কোটি শরণার্থীর পুনর্বাসন, পরিপূর্ণ বিপর্যস্ত যোগাযোগ ও উৎপাদন ইত্যাদি চরম সঙ্কটের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ, শর্তসাপেক্ষে বৈদেশিক সাহায্য ও পরনির্ভরশীলতার পরাকাষ্ঠাকে অবজ্ঞা করে আপামর জনগণের সাহস ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে চারটি বাজেট প্রণয়নের মাধ্যমে টেকসই দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক ভিত নির্মাণে অসাধারণ সফলতার দ্বার উন্মোচন করেন। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন নতুন কোন কর আরোপ ছাড়াই ১৯৭২ -৭৩ অর্থবছরের জন্য ৭৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, ১৯৭২ সালে প্রণিত পবিত্র সংবিধানের আওতায় প্রথম সংসদীয় সরকারের নেতৃত্বে ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরের জন্য ৮৩০ কেটি ৬৫ লাখ টাকা, ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরের জন্য ৯৫৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরের জন্য ১৫৪৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার বাজেট পেশ করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দারিদ্র্য দূরীকরণকে মূল লক্ষ্য ধরে ১৯৭৩-১৯৭৮ সালের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরী মনোভাব নয়’ ছিল বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মৌলিক বার্তা। স্বল্প সময়ের মধ্যে ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি’, ‘কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন’ এবং মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ বেকার সমস্যার সমাধানে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন। শোষণ ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক-রাষ্ট্রীয়-ধর্মীয় নিরাপত্তা বিধান, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন-মজুদদারী-মুনাফাখোরী-খুন-রাহাজানি-নারী নির্যাতন নিরোধকল্পে সর্বোপরি ৫ শতাংশ লুটেরাদের দৌরাত্ম্য থেকে ৯৫ শতাংশ জনগণের জীবনমান সুরক্ষার স্বার্থে এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে ১৯৭৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রণীত হয়। কিন্তু ১৯৭৫, ১৫ আগস্ট দেশের নৃশংস ও বর্বরতম রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরবর্তী অধ্যায়ে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র ও স্বৈরাচারী শাসনের যাঁতাকলে ‘অনুন্নয়নের উন্নয়ন’ ইতিহাস কমবেশি সকলেরই জানা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া তিন তিন বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অরোহণের পর দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির উন্নয়ন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর, জঙ্গী-সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে দৃশ্যমান ভূমিকা বিশ্বসমাদৃত। ধরিত্রী-সমুদ্র-সততা-মঙ্গা-মানবতা-নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন-মানবসম্পদ উন্নয়নের সকল সূচকে অতুলনীয় অবস্থানের কারণে বিশ্বপরিম-লে উন্নয়নের রোল মডেলে শুধু দেশের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেননি, দশটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাঙালীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নতুন মাত্রিকতার বীজ বপন করেছেন। পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, বিনিয়োগ বিকাশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচী, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ঘরে বিদ্যুত, একটি বাড়ি একটি খামার ইত্যাদির সমন্বিত প্রয়াসে বাঙালী জাতি-রাষ্ট্র বিশ্বপরিম-লে নবতর অবস্থানে নন্দিত হবে। এটি আর দিবাস্বপ্ন নয়, বাস্তবতার আত্মাদর্শে অত্যুজ্জ্বল বাংলাদেশের সোপান। ১৬ কোটি ৩৭ লাখ জনঅধ্যুষিত দেশের বর্তমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭ শতাংশ, শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ২৪ জন, গড় আয়ু ৭২ বছর (পুরুষ ৭০.৬, মহিলা ৭৩.৫ বছর), সাক্ষরতার হার ৭২.৩ শতাংশ, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮.১৫ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ১৯০৯ মার্কিন ডলার, মাথাপিছু জিডিপি ১৮২৭ মার্কিন ডলার, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ১১৮৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, রিজার্ভ মুদ্রা ২২৬৭৪৩ কোটি টাকা ইত্যাদি আর্থ-সামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে নিয়ামক হিসেবে উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে বিস্ময়কর অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম ঋদ্ধ করার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রবিঠাকুরের ‘অচেনা’ কবিতার পঙ্ক্তিগুলো নিবেদন করতে চাই– ‘রে অচেনা, মোর মুষ্টি ছাড়াবি কী ক’রে/যতক্ষণ চিনি নাই তোরে?/ কোন অন্ধক্ষণে বিজড়িত তন্দ্রাজাগরণে/রাত্রি যবে সবে হয় ভোর,/মুখ দেখিলাম তোর’ অথবা ‘বিস্ময়’ কবিতার পঙ্ক্তি, ‘আবার জাগিনু আমি।/রাত্রি হল ক্ষয়।/পাপড়ি মেলিল বিশ্ব।/এই তো বিস্ময়।’ উল্লেখ্য, অর্জনের অন্তরালে বিসর্জনের হালখাতাও কম দীর্ঘ নয়। সাম্প্রতিক সময়ে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করে বিরল এক অধ্যায়ের সূচনা করেছেন, যা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত আমার বিপুলসংখক নিবন্ধে প্রকাশ পেয়েছে। ভ্রষ্ট-নষ্টদের দখলদারিত্বে যখন পুরো জাতি পর্যুদস্ত হতে চলেছে, সেই সময়ে নির্ভীক পদক্ষেপ প্রচ্ছন্ন নীতি-নৈতিকতার দীপ্যমান দৃষ্টান্ত। ৬.০৫ শতাংশের মূল্যস্ফীতির উর্ধগতি (গতমাসে যেটি ছিল ৫.৪৭ শতাংশ), চাল, পেঁয়াজসহ আবশ্যিক পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর প্রকাশিত বিগত তিন বছরে দেশের ৪৮টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পণ্য আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণা-রফতানি আয় দেশে না আনা-শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করে তিন হাজার দুই শ’ কোটি টাকা পাচার, বিদেশী বিনিয়োগ ৫৮ শতাংশ বেড়েছে দেখানো হলেও সিঙ্গাপুরের চল্লিশ জন ধনীর তালিকায় বাংলাদেশের জন্য ব্যক্তির অবস্থান, অশুভ সিন্ডিকেট কর্তৃক চাল-ডাল-পেঁয়াজ-লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ, ঘুষ-দুর্নীতির প্রভাব, জনগণের ক্রয়ক্ষমতার অসম পরিসংখ্যান, মোট জনসংখ্যার বিশ শতাংশ লোক অতি দরিদ্র, সোয়া দুই কোটি লোক পুষ্টিহীনতার শিকার ইত্যাদি নেতিবাচক দিকগুলো কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক বিগত ১০ বছরে কোন অনুমোদন না পাওয়া সত্ত্বেও মালয়েশিয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারী দেশসমূহের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশের অবস্থান। নামে-বেনামে ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ট মাফিয়া চক্রের কোটি কোটি টাকা পাচার, ব্যাংকের প্রায় শ’ কোটি টাকার ঋণ রেখে এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীর ৭০ কোটি টাকার দায় শোধ না করে সপরিবারে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানো, বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণখেলাপী-ঋণ পুনঃতফসিলকরণের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে টাকা পাচার এবং বিদেশগামিতা, ২০১৩ সালে জিএফআই রিপোর্ট অনুযায়ী গড়ে নয় শ’ কোটি ডলার বা ৭৫ হাজার ৬ শ’ কোটি টাকা পুঁজি পাচার ২০১৯ সালে যার পরিমাণ সম্ভবত কমপক্ষে এক লাখ কোটি টাকা পাচার অর্থনীতিকে কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তা সহজেই অনুমেয়। ইউএনডিপির তথ্যমতে বিগত চার দশকে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা পাচার, পুঁজি পাচারে বিশ্বের শীর্ষ ৩০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান। মাদক-জঙ্গী-চোরাকারবারি-গুজব-কথিত গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ-অবৈধ ও অনৈতিক লবিং সংস্কৃতির বিকাশ, অর্থ-ক্ষমতা-আধিপত্য বিস্তারে কুৎসিত পন্থায় পদ-পদায়ন বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে শুধু বিচলিত করছে না, বিক্ষুব্ধও করে তুলছে। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সংগ্রামের পথে এসব অপকর্মযজ্ঞ সোনার বাংলা বিনির্মাণে অচ্ছেদ্য দেয়াল নির্মাণ করে যাচ্ছে। নিঃসংকোচে অর্জন পথপরিক্রমার বৈভবে এসব বিসর্জন রসায়ন-সমীকরণ গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন ও বিবেচনায় ধারণ করতে হবে। লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
×