ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতারক চক্রের কবলে পড়ে দিশেহারা প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

 প্রতারক চক্রের কবলে পড়ে দিশেহারা প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতারক চক্রের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর। একটি বাড়ি দখলের জন্য একের পর এক চক্রটি মিথ্যা মামলা করে যাচ্ছে বলে তার দাবি। দেশে এলে তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে চক্রটি। ইতোপূর্বে মতিঝিল সার্কেলের সহকারী ভূমি কমিশনার মিথ্যা মামলা খারিজ করে দিয়ে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগী আব্দুল গফুর জনকণ্ঠ কার্যালয়ে এসে এসব অভিযোগ করেন। বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক। সুনামের সঙ্গে সপরিবারে আমেরিকা বসবাস করছি। কিন্তু সেখানেও শান্তি পাচ্ছি না। কিছু প্রতারকের কারণে। ৪০ বছর আগে ঢাকার মুগদা থানাধীন মানিকনগর ৫৯ নম্বর বাড়িটি তৈরি করি। বাড়ির কাছেই পূর্বপাশে আমার ও আমার স্ত্রী নাজমা আক্তারের নামে সাড়ে দশ কাঠা জমি আছে। ৩৪ বছর ধরে জমির খাজনা খারিজ দিয়ে ভোগ দখল করে আসছি। জমিটি কিছুটা নিচু ছিল। কয়েক বছর আগে জমিটিতে মাটি ফেলে উঁচু করি। বাড়ি করার মতো করে ঠিক করি। আর তাতেই চোখ পড়ে যায় প্রতারক চক্রের। আমরা সপরিবারে আমেরিকা থাকায় তা ঠিকমতো দেখভাল করতে পারি না। এই সুযোগে চক্রটি ভূয়া দলিল বানিয়ে জমিতে তাদের জমি আছে দাবি করে ভূয়া সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। এ সংক্রান্ত মামলা হয়। মতিঝিল সার্কেলের ভূমি কমিশনারের অফিসের তরফ থেকে সরকারী তদন্ত হয়। তদন্তে দায়েরকৃত মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। যথারীতি ভূমি অফিস মামলা খারিজ করে দেয়। এরপর আমি আবার আমেরিকায় চলে যাই। সম্প্রতি প্রতারক চক্রটি আবারও সক্রিয় হয়ে জমিটি দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। একের পর এক মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। চক্রটি সম্প্রতি ভূমি অফিসের কিছু অসাধু ব্যক্তির মাধ্যমে জালজালিয়াতির জাল পেতেছে। তারা মামলা থাকার অজুহাত দেখিয়ে জমির খাজনা নিচ্ছেন না। এতে করে নতুন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন খাজনা খারিজ দিতে না পারলে স্বাভাবিক কারণেই আরও জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। আমরা যেহেতু আমেরিকায় থাকি, ইচ্ছে করলেই দেশে আসতে পারি না, এই সুযোগটিকেই কাজে লাগিয়ে চক্রটি জমি হাতিয়ে নিতেই এমন ষড়যন্ত্রের জাল পেতেছে বলে আমার বিশ্বাস। এ বিষয়ে তিনি সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
×