ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়া মুক্ত দিবসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৯:০১, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

বগুড়া মুক্ত দিবসে  সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠান

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বগুড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে বুধবার স্থানীয় শহীদ খোকন পার্কে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বগুড়া থিয়েটারের আয়োজনে। এ আয়োজনে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার ও কলেজ থিয়েটার। বগুড়া মুক্ত দিবসের আনুষ্ঠানিকতার শুরুতে শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর প্রথমে হিন্দোল সাংস্কৃতিক একাডেমির শিল্পীরা মুক্তিযুদ্ধের জাগরণের গান পরিবেশন করে। পরে বগুড়া আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদর থানার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের ও আব্দুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী, আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া থিয়েটারের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট পলাশ খন্দকার। বগুড়া থিয়েটারের পক্ষ থেকে শহীদ জননী মোছাঃ আমেনা খাতুনকে জননী সাহসিকা পদক প্রদান করা হয়। আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় নৃত্যানুষ্ঠান। এরপর আবৃত্তি পরিবেশন করে বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী শরীফ মজুমদার, সবশেষে বগুড়া থিয়েটার মঞ্চায়ন করে, দুলেন্দ্র ভৌমিকের রচনা ও কনক কুমার পালের নির্দেশনায় নাটক ‘গুপ্তবিদ্যা’। নাটকে অভিনয় করে অলক পাল, আমজাদ শোভন, সোবহানি বাপ্পী, সবুজ চন্দ্র, সুপিন বর্মন, সর্দার হামিদ, নির্মল মাহাতো, মিজানুর নিয়ম, রবিউল করিম। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন সকল অমীমাংসিত বিষয়কে মীমাংসা করার সময় এসেছে। দালিলিক প্রমাণাদি ও বগুড়ার আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক ঘটনা প্রত্যক্ষকারীদের বর্ণনা মতে আত্মসমর্পণের শেষ অধ্যায় রচিত হয় ১৮ ডিসেম্বর। মেজর জেনারেল লচমন সিং (জিওসি, ২০ মাউন্টেইন ডিভিশন) বগুড়ায় পৌঁছে, ব্রিগেরিয়ার আর এস পান্নু (কমান্ডার ১৬৫ মাউন্টেইন ব্রিগেড) এবং ডি বক্সি (কমান্ডার ৩৪০ মাউন্টেইনকে ব্রিগেড) পাঠান নাটোরের রাজবাড়ীতে। সেখানে অবস্থান করছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৬ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নজর হোসেন শাহ। সেখান থেকে তাকে আত্মসমর্পণের জন্য হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা হয়। বিকেল সাড়ে চারটায় ঘনিয়ে আসে আত্মসমর্পণের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বগুড়ায় সেদিন পাঁচজন পাকিস্তানী অফিসার, ৫৬ জন জেসিও, ১ হাজার ৬১৩ জন বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা ও ৩৩ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযুদ্ধকালে ইস্টার্ন জোনের ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিংয়ের লেখা ইন্ডিয়াস ওয়ারস সিন্স ইনডিপেনডেন্টস: দ্য লিবারেশন অব বাংলাদেশ (ভলিউম: ওয়ান) বইয়ে এ তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। আবহ নির্মাণে ছিলেন বায়েজিদ নিবিড়। সমবেত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক দিবসের আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তি হয়।
×