ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অন্ত আজাদের ‘আহত ফুলের গল্প’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৯:০০, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

 অন্ত আজাদের ‘আহত ফুলের গল্প’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তরুণ প্রতিভাবান নির্মাতা অন্ত আজাদের ‘আহত ফুলের গল্প’ চলচ্চিত্রটির আবারও একাধিক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। রাজধানীর শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির ভিআইপি সেমিনার মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় এ চলচ্চিত্রের দুটি প্রদর্শনী হয়। আজ শনিবারও বিকাল ৩টা, ৫টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় চলচ্চিত্রটির আরও তিনটি প্রদর্শনী রয়েছে। চলচ্চিত্র উপভোগের জন্য প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। শোয়ের আগে মিলনায়তনের সামনে টিকেট পাওয়া যাবে। এদিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় মিলনায়তনে গত ১৮ নবেম্বর সন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটে ‘আহত ফুলের গল্প’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হয়। এছাড়া এই চলচ্চিত্রটি এর আগে ঢাকার বাইরে কয়েকটি দেশের কয়েকটি স্থানে বিশেষ প্রদর্শনী হওয়ার পর দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তরুণ প্রতিভাবান নির্মাতা অন্ত আজাদের কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য, পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে ‘আহত ফুলের গল্প’। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে ওশান মাইন্ড এন্টারটেইনমেন্ট। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, সুজন মাহাবুব, তাহিয়া খান, আলী আহসান, অনন্যা হক, শেলী আহসান, জয়া, অভি চৌধুরী, শান্ত কুন্ডু, কামরুল হাসান, তৌহিদুল আলম, সজীব, রিফাত, পিয়ারা বেগম, শহীদুল ইসলাম, ওমরচাঁদ, ইকতারুল ইসলাম, আরিফ, মিনহাজ, তাজিন, রাব্বি, শিরিনসহ আরও অনেকে। চলচ্চিত্রে ৪টি গান ও একটি বিয়ের গীত রয়েছে। এর মধ্যে মৌলিক গান তিনটি লিখেছেন টোকন ঠাকুর, কামরুজ্জামান কামু, সোলায়মান আকন্দ। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন যথাক্রমে পিন্টু ঘোষ, কামরুজ্জামান রাব্বি ও লিপু অসীম। রবীন্দ্রসঙ্গীতটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন রোকন ইমন। আর বিয়ের গীতটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন উত্তরবঙ্গের স্থানীয় শিল্পীরা। চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণ করেছেন মোঃ আরিফুজ্জামান, সম্পাদনা করেছেন সৈকত খন্দকার, আবহসঙ্গীত ও গানের সঙ্গীত আয়োজনে পিন্টু ঘোষ ও রোকন ইমন, সাউন্ড শৈব তালুকদার, কালার রাশেদুজ্জামান সোহাগ, টাইটেল এ্যান্ড ভিএফএক্স নাজমুল হাসান। চলচ্চিত্রের বেশিরভাগ শূটিং হয়েছে পঞ্চগড়ের মাটিয়ারপাড়া গ্রামে। ‘আহত ফুলের গল্প’ চলচ্চিত্রে পিতৃতান্ত্রিক বাংলাদেশের মুসলিম সমাজব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সংস্কৃতি সংস্পর্শ; এ তিনটি বিষয় যথাক্রমে শাপলা, কামিনী এবং মোহনা নামের তিনজন মেয়ের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করেছে তাই ‘আহত ফুলের গল্প’ চলচ্চিত্রের মূল গল্প। এছাড়াও এ চলচ্চিত্রে আছে শাপলা-সবুজের অপরিণত প্রেমকাহিনী। এ চলচ্চিত্রে চারপাশে দেখা ঘটনার বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে সমাজের প্রচলিত জীবনের গভীর সঙ্কটকে উপলব্ধির চেষ্টা রয়েছে। সিরিয়াস বিষয় গল্পের বিষয়বস্তু হলেও দৈনন্দিন জীবনে বয়ে চলা হাসি-ঠাট্টা, গান-গীত এবং একটি প্রেমকাহিনীর মধ্য দিয়ে গল্পের মূল সুর প্রবাহিত। এছাড়াও বর্ণনাত্মক রীতির সরল ভঙ্গিতে গল্প বলার ধরনটিও আধুনিক যান্ত্রিক চাপে পিষ্ট মানুষের আবেগ ও উপলব্ধিকে একইসঙ্গে স্পর্শ করবে বলে নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্টদের বিশ্বাস।
×