ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সবচেয়ে বেশি মূল্য কামিন্স, মরিস, কটরেলের

আইপিএল নিলামে দল পেলেন না মুশফিক

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯

  আইপিএল নিলামে দল পেলেন না  মুশফিক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কাউন্টডাউন শেষ। কলকাতায় এই প্রথমবার হচ্ছে আইপিএলের নিলাম। ফলে আগ্রহ চরমে। কলকাতা নাইট রাইডার্স নিয়ে ফেলেছে প্যাট কামিন্স ও ইওন মরগানকে। এর মধ্যে অজি পেসার কামিন্সের দর উঠেছে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর আগে কোন বিদেশী ক্রিকেটারের নিলামে এত দাম ওঠেনি। আর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক মরগানের দর উঠেছে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এই দু’জনেই এর আগেও কেকেআরের হয়ে খেলেছেন। কিপার-ব্যাটসম্যানের তালিকায় লটারিতে তিন নম্বরে উঠেছিল মুশফিকের নাম। কিন্তু ৭৫ লাখ রুপী ভিত্তিমূল্যের ক্রিকেটার থেকে যান অবিক্রীত। নিলামে সবার নাম ওঠা শেষে কোন দল যদি আবার আগ্রহ দেখায় তবেই কেবল আরেকবার উঠতে পারে মুশফিকের নাম। তবে বাস্তবতা বলছে সেই সম্ভাবনা কমই। কিপার-ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লটারিতে সবার আগে নাম উঠেছিল এ্যালেক্স কেয়ারির। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারকে ২ কোটি ৪০ লাখ রুপীতে নিয়েছে দিল্লী ক্যাপিটালস। প্রাথমিক তালিকায় না থাকলেও নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হয়েছিল মুশফিকুর রহিমকে। তাতে বোঝা গিয়েছিল, তাকে নিয়ে আগ্রহ আছে কোন দলের। কিন্তু নিলামে সেটির প্রতিফলন পড়ল না। আইপিএলের নিলামে কোন দল আগ্রহ দেখাল না বাংলাদেশের অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যানকে নিয়ে। উল্লেখ্য, আইপিএল নিলামে মুশফিক ছাড়াও রয়েছে আরও চার বাংলাদেশী ক্রিকেটারের নাম। তারা হলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এই চারজনের নাম এখনও ওঠেনি নিলামের ডাকে। কেয়ারির পর দল পাননি আর কোন কিপার-ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার হেনরিখ ক্লাসেন, শ্রীলঙ্কার কুসল পেরেরা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপ ও ভারতের নামান ওঝাও থেকে যান অবিক্রীত। কোথায় দুর্বলতা, কোথায় শক্তি, তা বিচার করে সেই মতো স্কোয়াড গুছিয়ে নেয়ার এটাই শেষ সুযোগ। ফলে নিলামের আগে প্রত্যেক ফ্যাঞ্চাইজির তরফেই ছিল প্রচুর হোমওয়ার্ক। ছিল অনেক অঙ্ক। কিন্তু তার পুরোটাই যে নিলামে সবসময় বাস্তবায়িত হবে তার নিশ্চয়তা থাকে না। এবারের নিলামেও তাই হলো। কোন কোন ক্রিকেটারের জন্য লড়াই হয়েছে অনেক। আবার কারও ক্ষেত্রে দর হাঁকাহাঁকির উত্তেজনা থাকল অনুপস্থিত। তবু যে ফ্র্যাঞ্চাইজি বেশি টাকা নিয়ে নিলামে বসবে, তাদের কাক্সিক্ষত ক্রিকেটারকে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর সেদিক দিয়ে এগিয়ে ছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ৪২.৯০ কোটি টাকা ছিল তাদের পকেটে। নিতে পারত ৯ জনকে। তার মধ্যে বিদেশী চারজন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হাতেও ছিল ভাল টাকা। ৩৫.৬৫ কোটি টাকায় ১১ জনকে নিতে পারত তারা। এর মধ্যে বিদেশীর সংখ্যা চার। নিলামে সবচেয়ে কম টাকা নিয়ে বসল চেন্নাই সুপার কিংস (১৪.৬০ কোটি টাকা)। তারা নিতে পারত পাঁচজনকে। ইশ সোধি, এ্যাডাম জাম্পা, হেডেন ওয়ালশ জুনিয়র এ তিন লেগস্পিনারই আনসোল্ড থাকলেন। ৬.৭৫ কোটি টাকায় চেন্নাই সুপার কিংসে গেলেন পীযূষ চাওলা। শেলডন কটরেলের বেস প্রাইস ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। তার দর উঠল ৮.৫০ কোটি টাকা। নিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। টিম সাউদি আনসোল্ড থাকলেন। অস্ট্রেলিয়ার পেসার নাথান কুল্টার নাইলের দর উঠল আট কোটি টাকা। নিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বেস প্রাইস ছিল এক কোটি টাকা। জয়দেব উনাদকাটের দর উঠল তিন কোটি টাকা। তাকে নিল রাজস্থান রয়্যালস। বেস প্রাইস ছিল এক কোটি টাকা। ডেশেই হোপ আনসোল্ড। হেনরিখ ক্লাসেন আনসোল্ড থাকলেন। ব্রেকের পর প্রথম উঠলেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার এ্যালেক্স ক্যারি। তাকে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকায় নিল দিল্লী ক্যাপিটালস। ক্রিস মরিসকে ১০ কোটি টাকায় নিল আরসিবি। বেস প্রাইস ছিল ১.৫০ কোটি টাকা। স্যাম কুরানকে ৫.৫০ কোটি টাকায় নিল চেন্নাই সুপার কিংস। ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকায় প্যাট কামিন্সকে নিল কলকাতা। ফের কেকেআরে এলেন তিনি। ডেল স্টেইন আনসোল্ড। ক্রিসওকসকে ১.৫ কোটি টাকায় নিল দিল্লী ক্যাপিটালস। ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। এ্যারন ফিঞ্চকে নিল আরসিবি। বেস প্রাইস ছিল ১ কোটি টাকা। ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকায় নিল কোহলির দল। জেসন রয়কে ১.৫ কোটি টাকায় নিল দিল্লী। ইওন মরগানকে নিল কলকাতা। পাচ কোটি ২৫ লাখ টাকায় নেয়া হলো তাকে। বেস প্রাইস ছিল দুই কোটি টাকা। প্রথমে নিলামে উঠলেন ক্রিস লিন। তাকে বেস প্রাইস দুই কোটি টাকাতেই নিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
×