ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বসুন্ধরা কিংস ১-০ ব্রাদার্স ইউনিয়ন

ঘাম ঝরানো জয়ে শুভসূচনা কিংসের

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯

  ঘাম ঝরানো জয়ে শুভসূচনা কিংসের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সর্বশেষ মৌসুমে নবাগত দল হয়েও সবচেয়ে ব্যয়বহুল দল গড়ে আত্মপ্রকাশেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল বসুন্ধরা কিংস। সেবার তারা লীগ এবং স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতেছিল। ফেডারেশন কাপেরও শিরোপাটা জিততে পারত যদি ফাইনালে আবাহনী বাগড়া না দিত। সেবারের ব্যর্থতা-অপূর্ণতা এবার ঘোচাতে মরিয়া তারা। তাই এবারও সবচেয়ে ব্যয়বহুল দল গড়ে আটঘাঁট বেঁধে তারা নেমেছে ফেডারেশন কাপের অধরা ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখতে। সে লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রুপের খেলায় তারা জিতেই শুভ সূচনা করেছে। কিন্তু অনেক ঘাম ঝরিয়ে। ব্রার্দার্স ইউনিয়ন অনেক প্রতিরোধ গড়েও তাদের কাছে হার মেনেছে ১-০ গোলে। খেলার প্রথমার্ধে একচটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করেই খেলে কিংসরা। খর্বশক্তির ব্রাদার্স বাধ্য হয়ে ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলে। ২০১৮ বিশ্বকাপে কোস্টারিকার হয়ে খেলা ড্যানিয়েল কলিনড্রেসই মূলত আক্রমণের নেতৃত্ব দেন কিংসের। দলের অধিনায়ক কলিনড্রেসের ক্রসগুলো ছিল বেশ ভয়ঙ্কর। বসুন্ধরার জয়সূচক গোলে তারই অবদান সবচেয়ে বেশি। ম্যাচের তখন ২৩ মিনিট। পাল্টা আক্রমণ করে কিংস। বল পান কলিনড্রেস। থ্রু পাস বাড়ান সতীর্থ লেবানিজ ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ কদৌকে। বক্সের মধ্যে ঢুকে ডান পায়ের গড়ানো শট নেন কদৌ। শটটি এতই জোরালো ছিল যে, ব্রাদার্স গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরী প্রাণপণ চেষ্টাতেও তা ধরে রাখতে পারেননি। তার হাত ফস্কে বল ঢুকে যায় জালে (১-০)। এগিয়ে যাওয়ার উল্লাসে মেতে ওঠে অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা। এর মিনিট দুয়েক বাদেই ব্যবধান দ্বিগুণ করলেও ফাউলের কারণে কিংসের সেই গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি জিএমসি নয়ন। ৩২ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল বসুন্ধরা। কলিনড্রেসের মাপা ক্রসে কদৌ যে হেড নেন তা পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। এক মিনিট পর আবারও মিস করেন কদৌ। এবার তার নেয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পাঁচ মিনিট পর কলিনড্রেসের নেয়া শটে লাফিয়ে উঠে আর্জেন্টাইন নিকোলাস যে হেড নেন তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪০ মিনিটে কদৌর ক্রস বক্সের ভেতরে মতিন মিয়ার ডান পায়ের উঁচু শট ব্রাদার্সের ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। কিংসের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ২৬ ডিসেম্বর। প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। ব্রাদার্সের পরবর্তী খেলা ২২ ডিসেম্বর, চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে। এই তিন দল থেকে দুটি দলই হাসবে শেষ আটে যাওয়ার আনন্দে। ম্যাচ শেষে বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন বলেন, ‘আমরা আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছি ঠিকই, কিন্তু প্রচুর গোলের সুযোগ নষ্ট করেছি। তাই এ ম্যাচে জিতেও পুরোপুরি খুশি নই। পরের ম্যাচে যেন গোল স্কোরিং নিয়ে কোন সমস্যা না হয় এ নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে যাবার ব্যাপারে আশাবাদী।’ ব্রাদার্সের কোচ মহিদুর রহমান মিরাজ বলেন, ‘আমরা হারলেও এই ম্যাচে অনেক ভাল খেলেছি। গোলের সুযোগও সৃষ্টি করেছি। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হওয়াতে এবং ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল করতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে হারলেও আমাদের শেষ আটে যাওয়ার সম্ভাবনা এখনও আছে। আশাকরি পরের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে কোয়ার্টারে যেতে পারব।’ এখন দেখার বিষয়, এই গ্রুপ থেকে শেষ পর্যন্ত কোন্ দুটি দল শেষ আটে নাম লেখাতে পারে।
×