ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাচ গান আলোচনায় বিজয় উৎসব উদ্যাপন

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

নাচ গান আলোচনায় বিজয় উৎসব উদ্যাপন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঞ্চ থেকে মাইকে ভেসে আসছে সম্মেলক কণ্ঠে দেশের গান ‘দেশকে ভালবাসিরে বন্ধু দেশকে ভালবাসি।’ গানটির সঙ্গে সাদা-লাল রঙের পোশাকে সজ্জিত হয়ে নেচে চলেছে এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। বিজয়ের উৎসবে শামিল হয়ে মিলনায়তন ভর্তি দর্শক উপভোগ করছে এসব গান আর করতালিতে উৎসাহ দিয়ে চলেছে একে পর এক গান ও নৃত্যে। এমনই এক ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছিল শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে বুধবার বিকেলে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ এ আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্মল চ্যাটার্জি। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, সাইফুল আযম বাশার, মির্জা শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি গীতিকার ও সুরকার শেখ শাহ আলম। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সংগঠন কর্তৃক প্রকাশিত বই ও সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, যার অবিচল দৃঢ়তা ও নিঃস্বার্থ সমর্থন পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা হয়েছেন তিনি হলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। বঙ্গমাতা ছিলেন বলেই আমরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। তিনি ছিলেন বলেই দেশের মানুষ এখনও স্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের অসীম সাহসী এক নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। আগস্টে তার জন্ম, আগস্টেই তার রক্তাক্ত বিদায়। তিনি কেবল বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী নন; ছিলেন সহকর্মী। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ এক যুগের জেলজীবনে বঙ্গমাতা একদিকে যেমন পরিবার সামলেছেন, আরেক দিকে দলকে সামলানোর দায়িত্বও ছিল তার কাঁধে। আলোচনায় অন্যরা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে কেবলমাত্র জাতির পিতার যোগ্য সহধর্মিণী হিসেবে নয় বরং একজন প্রজ্ঞাবান সহকর্মী হিসেবে কিভাবে সব সময় পার্থিব সমস্যা থেকে মুক্ত রেখে স্বাধীনতা সংগ্রামে অখণ্ড মনযোগ দিয়ে আত্মনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বঙ্গমাতা ছিলেন বাঙালী জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর। তিনি কেবল একজন সাধারণ বাঙালী নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়-স্বজন নিয়েই ব্যস্ত থাকেননি বরং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনেও তার ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।
×