ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল গ্রহণের বিকল্প নেই ॥ শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৪২, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল গ্রহণের বিকল্প নেই ॥ শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, ভিশন-২০৪১ অর্জন তথা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল গ্রহণের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সাল থেকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের যুগে প্রবেশ করে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক সময় অতিবাহিত করেছি। আমাদের হাতে আর সময় আছে মাত্র ১০ থেকে ১১ বছর। বুধবার রাজধানীর নটরডেম ইউনিভার্সিটি মাঠে নটরডেম ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। নটরডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. এফ আর পেট্রিক ডি জেফনি সিএসসি’র সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিংস কলেজ ইউএসের প্রেসিডেন্ট ড. এফ আর থমাস জে. ও হারা সিএসসি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকার আর্চ বিশপ এইচ ইএম কার্ডিনাল পেট্রিক ডি রোজারিও সিএসসি। শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, একটি দেশের জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক কাঠামো অনুযায়ী কর্মক্ষম জনসংখ্যা যখন নির্ভরশীল জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায় তখন সে দেশে একটি সুযোগের সৃষ্টি হয়, যে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানের উন্নতি সাধন করতে পারে। জনমিতির ভাষায়, এই অবস্থানকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলে আখ্যায়িত করা হয়। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড প্রতিটি দেশ কেবল একবারই পেয়ে থাকে। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সাল থেকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের যুগে প্রবেশ করে। তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কোন গিফট নয়। এটি ডিভিডেন্ড। এর সুবিধা পেতে হলে সঠিক বিনিয়োগ দরকার। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে এই সুযোগ একপর্যায়ে বিপর্যয় হয়ে দেখা দেবে দেশের জন্য। নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী বেড়ে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে যাবে, খরচ বাড়বে, সঞ্চয় কমবে এবং বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়বে। ফলে কম লোক উপার্জন করবে আর অধিক লোক তাদের উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। ভিশন-২০২১, এসডিজি লক্ষ্য অর্জন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং ভিশন-২০৪১ অর্জন করতে তথা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল গ্রহণের বিকল্প নেই। মন্ত্রী বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে একদিকে যেমন দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক তৈরি করতে হবে তেমনই তাদের মানবিক গুণাবলী ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতেও সক্ষম হতে হবে। শিক্ষাঙ্গন ও শিল্পের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারলে আমরা স্নাতকদের এবং চাকরিদাতাদের পারস্পরিক প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যেও দূরত্ব দূর করতে পারব।
×