ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতি ৫ জনে একজন দরিদ্র ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকা-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শীঘ্রই শুরু

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

ঢাকা-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শীঘ্রই শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পোশাক খাতের সংস্কারে বিদেশীদের পরামর্শ আর নিতে চায় না তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। পোশাক খাত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে সংগঠনের সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, পোশাক খাতের উন্নয়নে একটা সঠিক গবেষণা দরকার। ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে সাপ্লাই চেইন সচল রাখতে খুব শীঘ্রই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে বলে একই অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘স্টাডি অন সাপ্লাই চেইন রেজিলেন্স অব আরএমজি সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন অতিথিরা। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। কর্মশালায় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোঃ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক মামুন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজির প্রফেসর ডক্টর রকিব আহসান প্রমুখ। জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। দেশের অর্থনীতির ‘লাইফ লাইন’ খ্যাত এ মহাসড়কে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াতে সময় লাগবে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার চিন্তা অনেক আগের। এটা বাস্তবায়ন করলে সাপ্লাই চেইনে কোন সমস্যা হবে না। ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থা একটাই। তাই শীঘ্রই আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু করতে হবে। কোন এক বন্যায় রাজধানীর বিমানবন্দর পর্যন্ত তলিয়ে গিয়েছিল উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, আমরা মন্ত্রিসভায় আলোচনা করছিলাম, এরকম পরিস্থিতি আবার তৈরি হলে আমরা কী করব। কোথায় যাব? যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম একটি মাত্র রাস্তা। সেটা যদি কোন কারণে নস্যাৎ হয়ে যায়, তাহলে তো আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার কোন পথ থাকবে না! চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে বড় প্রকল্প আসছে। বিষয়টি আমাদের মাথায় যে নেই, তা নয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম একটা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করার প্রাথমিক চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছি। আরও বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। কর্মশালায় এক বক্তা বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমাদের শ্রমিকের ঘাটতি হতে পারে’। বিষয়টিতে আশাবাদী হয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একটা মন্তব্য শুনলাম, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমাদের শ্রমিকের ঘাটতি হতে পারে। খুব আনন্দ লাগছে শুনে। প্রতি ৫ জনে একজন দরিদ্র এদিকে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দেশের প্রায় ২০ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে অবস্থান করছে। অর্থাৎ প্রতি পাঁচজনে একজন মানুষ দরিদ্র। আর দারিদ্র্যের এমন প্রেক্ষাপটে অবৈধভাবে বিদেশ পাড়ি দেয়ার ঘটনা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর বাংলাদেশ। সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় প্রথম পর্বে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে আইনের প্রয়োগ এবং সচেতনতার গুরুত্ব নিয়ে বিতর্কে অংশ নেন প্রতিযোগীরা। এম এ মান্নান বলেন, দেশে এখন প্রায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে।
×