ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফখরুলের বাবা রাজাকার ছিলেন ॥ নৌপ্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

ফখরুলের বাবা রাজাকার ছিলেন ॥ নৌপ্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ বিএনপি রাজাকারদের দ্বারা পরিচালিত দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা মির্জা রুহুল আমিন রাজাকার ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে নৌপ্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিজয়ের মাসে বর্তমান সরকার ৪৮ বছরের আকাক্সিক্ষত প্রায় ১১ হাজার রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা প্রণয়ন করেছে। ধারাবাহিকভাবে এই সকল স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বিজয়ের উষালগ্নে শহীদ স্মৃতিসৌধে ৩০ লাখ শহীদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি এই অপরাধী আর জঙ্গীবাদের আশ্রয়দাতা ওরা কি কথা বলছে। ওই মির্জা ফখরুল বলেছে, ‘এই রাজাকারের তালিকা নাকি বিএনপিকে হেনস্থা ও পর্যুদস্তু করার জন্য করা হয়েছে। তাহলে কি মির্জা ফখরুল আপনি মেনে নিলেন? আজকের বিএনপি-রাজাকার দ্বারাই পরিচালিত হয়।’ ‘তিনি বলেন, তবে এটাও সত্য, মির্জা ফখরুল আপনি মির্জা রুহুল আমিনের সন্তান, মির্জা রুহুল আমিন ঠাকুরগাঁওয়ের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী ছিলেন, তার রক্তের উত্তরাধিকারী আপনি। আপনার মুখে তো রাজাকারদের পক্ষে কথা বের হবেই, এটাই স্বাভাবিক। কারণ এখনও আপনি বিএনপির মহাসচিব।’ বিএনপি প্রতিষ্ঠা থেকেই রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, শাহ আজিজ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আব্দুল আলীমদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। আপনার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজামী, মুজাহিদকেও মন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন। আপনি এই লাইনে কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক।’ খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা বলতে চাই এই বিজয়ের মাসে, দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই বাংলার মাটিতে কোন ধরনের যুদ্ধাপরাধীর ঠাঁই হবে না।’ ‘আমাদের পূর্বসুুরিরা জীবন দিয়ে আমাদের জন্য রাষ্ট্র তৈরি করে গেছেন। আমরা তাদের কাছে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, জীবন দিয়ে হলেও আমরা সেই ঋণ পরিশোধ করব। বঙ্গবন্ধুর রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই- এই বাংলাদেশে কোথাও যুদ্ধাপরাধীদের জায়গা হবে না। বাংলাদেশের কোথাও তারা রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের গ্রহণ করবে না। এ রকম একটি বাংলাদেশ আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করব।’ বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, মির্জা আশফাক, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী প্রমুখ।
×