ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জ্বরে চট্টগ্রাম পর্বে তামিমের খেলা নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত: ১২:১৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

জ্বরে চট্টগ্রাম পর্বে তামিমের খেলা নিয়ে শঙ্কা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ দিয়ে পুনরায় ছন্দে ফেরার মিশন শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল। প্রথম ম্যাচটায় পুরনো সেই ব্যর্থতার চিত্র থাকলেও টানা দুই ম্যাচে রানে ফিরেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ৫৩ বলে ৭৪ রানের একটি বিস্ফোরক ইনিংসে স্বরূপেও ফিরেছেন বিপিএলের পরিসংখ্যানে সবচেয়ে সফল এই ব্যাটসম্যান। আর ৬৫ রান করতে পারলেই বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২ হাজার রান পূর্ণ হবে তার। কিন্তু চট্টগ্রাম পর্বে অংশ নিতে তামিমকে ছাড়াই ঢাকা ছেড়েছে তার দল ঢাকা। কারণ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। কুঁচকির ইনজুরিতে পড়লেও জ্বরের কারণে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার এমআরআই স্ক্যানও করানো যায়নি বলে দৈনিক জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। এ কারণে চট্টগ্রাম পর্বে তামিমকে পাওয়া নিয়ে সংশয় আছে ঢাকা প্লাটুনের। দলটির কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন ইনজুরি নিয়ে স্ক্যান রিপোর্ট জানার পরই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। গত অক্টোবরে জাতীয় ক্রিকেট লীগে (এনসিএল) ফিরে এক ম্যাচ খেলতেই ইনজুরির কারণে আর খেলা হয়নি তামিমের। যে ম্যাচ খেলেছেন সেখানেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। পরে পারিবারিক কারণে জাতীয় দলের সঙ্গে ভারত সফরে যাননি। বিশ্বকাপে মাত্র একটি অর্ধশতক হাঁকাতে পেরেছিলেন, প্রত্যাশিত নৈপুণ্য না দেখাতে পেরে হয়েছিলেন সমালোচিত। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে অধিনায়ক হিসেবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলেও নিজেকে ফিরে পাননি। শেষ পর্যন্ত সাময়িকভাবে ক্রিকেট থেকে বিরতি নেন তামিম। খেলেননি ঘরের মাটিতে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট। এবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলে তার দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দী থাকেন ৫ রানে সাজঘরে ফিরে। তবে স্বরূপে আবির্ভূত হন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে। ৫৩ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দেন। পরের ম্যাচেও ছন্দ নিয়েই ব্যাট চালিয়েছেন, তবে ২৮ বলে ৫ চারে ৩১ রানে আউট হয়ে যান। বিপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক ১৮২৫ রান নিয়ে এবারের আসর শুরু করেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সেটিকে ৩ ম্যাচে ১১০ রান করে নিয়ে গেছেন ১৯৩৫ পর্যন্ত। আর মাত্র ৬৫ রান করতে পারলেই বিপিএলে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ২ হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হবেন তিনি। বিপিএলে সফলতম এই ব্যাটসম্যান দেশী ব্যাটসম্যানদের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন সর্বশেষ আসরের ফাইনালে।
×