ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার শপথ

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার শপথ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র‌্যালি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, চিত্রাঙ্কন, খেলাধুলা, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা। -খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানোÑ চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সোমবার চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনে মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের কর্মসূচী। সরকারী, আধাসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো উদ্যোগে এদিন ছিল ব্যাপক আয়োজন। এ সকল আয়োজন থেকে উচ্চারিত হয় রাজাকারমুক্ত দেশ গড়ার দীপ্ত শপথ এবং দাবি উঠে আল-বদর, আল-শামস, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা প্রকাশের। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ মিনার। সোমবার সূর্যোদয়ের পর থেকেই জনস্রোত ছিল শহীদ মিনার অভিমুখী। সকাল ৭টায় নগর পুলিশের চৌকস একটি দলের ‘গার্ড অব অনারের’ মধ্য দিয়ে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন তাঁর পরিষদের কাউন্সিলরদের নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুল মান্নান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদের উদ্যোগে বের করা হয় বিজয় শোভাযাত্রা। এর নেতৃত্ব দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। এতে সালাম গ্রহণ করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত হয় কুচকাওয়াজ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান। বিজয় দিবসের এদিনে জন¯্রােত ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদ, জাতীয় পার্টি, ন্যাপ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, মহিলা সমিতি, আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (চুয়েট), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এ্যান্ড এ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, আওয়ামী-যুবলীগ, যুব ইউনিয়ন, যুব মৈত্রী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ, প্রমা, বোধন, খেলাঘরসহ বিভিন্ন ছাত্র-যুব ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অপরদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। সোমবার সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালা শুরু করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এরপর বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। উপাচার্যের পর স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চবি শিক্ষক সমিতি, অনুষদসমূহের ডিনবৃন্দ, হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ। সিলেট সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নামে মানুষের। সকাল থেকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদদের প্রতি। প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটি। এরপর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিলেট জেলা ও মহানগর, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, জেলা প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠন এবং শিক্ষ প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলা ও মহানগর, বিএনপি সিলেট জেলা ও মহানগর, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বিশেষ প্যারেডের। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। রাজশাহী সকাল নয়টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি এ সময় জেলা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট ও গালর্স গাইডের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার, পুলিশ কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন ও পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০টি দল অংশগ্রহণ করে। সকালে কামারুজ্জামান চত্বরে আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রবেশ মূল্য ছাড়া সকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত জাদুঘর, পার্ক, চিড়িয়াখানা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। এদিন হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারী শিশু সদন, শিশু নিবাস, অন্ধ, মূক ও বধির বিদ্যালয়, সেফ হোম, এস ও এস শিশু পল্লী, শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং বেসরকারী এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ জুমা মসজিদসমূহে মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে সুবিধামতো সময়ে প্রার্থনা করা হয়। আজ সকল সিনেমা হল ও জনবহুল মোড়সমূহে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। বিকেলে রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুল মাঠে আলোচনা সভা ও মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী মহানগরীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী নির্বাহী সদস্য, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রংপুর বিভিন্ন কর্মসূচী ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে রংপুরে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে দিবসের প্রথম প্রহরে নগরীর মডার্ন মোড়ে স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ ‘অর্জন’ এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় প্রশাসন, ডিআইজি রংপুর রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। এদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে সিটি কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ, বাসদ, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহযোগী অঙ্গসংগঠন ছাড়ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এছাড়া রাত ১২টা এক মিনিটে রংপুর সদর উপজেলা পরিষদে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান চেয়ারম্যান নাসিমা জামান ববিসহ পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনার ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। শ্রদ্ধা জানাতে বাড়তে থাকে মানুষের ঢল। বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল নয়টায় রংপুর স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর, স্কাউট, গালর্স গাইডসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও রংপুর মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন সরকারী- বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, ক্রীড়া ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচী পালিত হয়। বরিশাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে একুশ বার তোপধ্বনির পর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও দিনভর নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বরিশালে উদযাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। সোমবার সকালে নগরীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবি, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় রাজাকারদের বিচার ও তৃণমূল পর্যায়ের রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের দাবি করেন নেতৃবৃন্দরা। এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নগরীর ৩০ গোডাউন সংলগ্ন বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। খুলনা সোমবার বিন¤্র শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের স্মরণ করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, আওয়ামী লীগ জেলা ও মহানগর শাখা, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কমিউনিস্ট পার্টি, শিল্পকলা একাডেমি, বিএমএ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন। দিবসটি উদযাপনে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা, সকাল সাড়ে ৮টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা দেয়া হয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেটঘাটে দুপুর ২টা থেকে উন্মুক্ত রাখা, বিকেল ৩টায় পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে নারীদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুদের জন্য উন্মুক্ত গিলাতলা ও বয়রা শিশুপার্ক ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্ক উন্মুক্ত রাখা হয়। যশোর যশোরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সোমবার ভোর ৬টায় ৩১ বার বিজয়ের তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মূল কার্যক্রম শুরু হয়। তারপর বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সংবর্ধনা, সমাবেশ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন হয়। মণিহার সকাল ৮টায় শহরের মণিহার এলাকার বিজয়স্তম্ভে ফুল দেয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গ ও ত্যাগ স্বীকারকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে যশোরবাসী। সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, যশোর শিক্ষাবোর্ড, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। হাজারো মানুষের ঢল নামে বিজয়স্তম্ভে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ পাঠ করা হয়। এরপর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া সূর্যোদয়ের সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। সরকারী বেসরবকারী ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ও মুক্তির ফুলবাড়িতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সকালে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শিশু কিশোর সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লের পর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশু চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক দুলাল অডিটরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিকেলে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ও জিলা স্কুল মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও প্রীতি পুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ লাইন্সে শুটিং প্রতিযোগিতা হয়। সিনেমা হলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত কেন্দ্রস্থল সাতমাথার কৃষ্ণচূড়া চত্বর এবং শহীদ খোকন পার্কে আলোচনা ও বিভিন্ন সংগঠনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনাসভাসহ বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। এরপর সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্রমাঝি, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসবের বাইরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলনেরর পর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দিনের কর্মসূচী উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মার্চপাস্ট, কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত প্রদর্শন করেন। সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা ও পায়রা উড়িয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান মালার উদ্বোধন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোমবার সকালে ৩১ বার তোপধ্বনি শেষে স্থানীয় ফারুকী পার্কের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এদিকে, বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোরের সাথী সংগঠনের উদ্যোগে শহরের লোকনাথ টেংকের পাড় এলাকায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। বাগেরহাট নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সোমবার সকালে শহরের দশানীতে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিনটির সূচনা হয়। জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে বাগেরহাট হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ। এ সময় এমপি ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন। পরে কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে প্রদর্শন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। ঠাকুরগাঁও সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরে টাঙ্গননদীর তীরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ স্মৃতিসৌধ অপরাজেয় ’৭১-এর পাদদেশে ৩১ বার তোপধ্বনী ও শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাতের পর পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসের সূচনা করেন জেলা প্রশাসক ডঃ কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উদীচী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের জনগণ। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সেখান থেকে একটি বিজয় শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণের সময় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের কবর ও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। এখানে জেলা প্রশাসক সালাম গ্রহণ করেন। দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, বিকেলে মহিলাদের ক্রীড়া এবং জেলা প্রশাসন একাদশ ও পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও বিজয় কনসার্ট এবং বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। কুড়িগ্রাম সকালে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুরু হয়। এরপর স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক। পরে সকল সরকারী বেরসরকারী প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। কুড়িগ্রাম স্টেডিয়াম মাঠে ছাত্র-ছাত্রীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। এ সময় স্টেডিয়াম মাঠে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জাফর আলী, জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে অফিসার্স ক্লাবে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী পালিত হয়। বিকেলে স্টেডিয়াম মাঠে, হাডুডু, ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভাসহ নানা কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। নীলফামারী রাজাকার ও জঙ্গীমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে নীলফামারীতে। সোমবার সূর্যোদয়ের প্রাক্কালে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। শীত উপেক্ষা করে সেই ভোরে নীলফামারীর স্বাধীনতা অম্লান স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুল হাতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের সঙ্গে সঙ্গে জয় বাংলার শ্লোগানে শ্লোগানে আকাশ বাতাস কম্পিত হতে থাকে। এর আগে মহান শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে রাষ্ট্রের পক্ষে সর্বপ্রথম জেলা প্রশাসক হাফিজুল রহমান চৌধুরী। এরপর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে এসপি আশরাফ হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সকল মুক্তিযোদ্ধা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদসহ সকল নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠন একে এক পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। পরে সেখানে তারা শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্মৃতি মিনারের অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় নীলফামারী বড় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক। এরপর বেলুন ও শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর কুচকাওয়াচ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। এছাড়াও দিবসটি পালনে হাসপাতাল, জেলখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, বিকেলে শিশু ও মহিলাদের খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, লাঠি খেলা, শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল দিনভর। টাঙ্গাইল সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারী এবং বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পওে জেলা সদরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মরণে ৩১ বার তোপধ্বনি, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব। অপরদিকে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর স্মৃতিস্তম্ভে স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি পালন করা হয়। পরে সকাল ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মার্চপাস্টের সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। লক্ষ্মীপুর দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটের সময় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিজয় চত্বর স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক বিমান মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, পৌর মেয়র আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের পক্ষে মাহবুবুর রহমান। এ ছাড়াও সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন দফতর ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সকল স্তরের মানুষ বিজয় চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জেলা শহরের বাগবাড়ির গণকবরে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে বেলা ১১টায় জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ শারীরিক কসরত অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা সকাল সাড়ে ৮ টায় স্থানীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারী- বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে অন্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিজয় স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, স্থানীয় আসাদুজ্জামান বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্য চলচিত্র প্রদর্শন ইত্যাদি। শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম এমপি। শেরপুর সোমবার ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনি ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। শহরে স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমেই শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি। এরপর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। নড়াইল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসুচী শুরু হয়। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, জজকোর্ট সংলগ্ন বধ্যভূমি, পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বরে গণকবর, পুরাতন বাস টার্মিনাল চত্বরে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যাল ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন নড়াইল জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ, জেলা আইনজীবী সমিতি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বীরশ্রেষ্ঠ নূও মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়া ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, প্রীতি ভলিবল ও ফুটবল ম্যাচ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। ঝিনাইদহ সামবার সকাল পৌনে ৭টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। সকাল ৭ টায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান পিপিএম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারী বেসরকারী অফিস, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এছাড়াও পরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি বিজয় শোভাযাত্রা, শহরের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও শরীরর্চচা প্রদর্শন নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে বাঙালী জাতির হাজার বছরের বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় এই দিবস। কিশোরগঞ্জ সোমবার সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। পরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ। পরে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ও বিজয় র‌্যালি শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদানসহ হাসপাতাল, এতিমখানা ও কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিকেলে স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন বনাম মুক্তিযোদ্ধা একাদশ এবং কিশোরগঞ্জ পৌরসভা বনাম সুধীজন প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দিবসের আলোচনা সভা এবং জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খাগড়াছড়ি ৩১ বার তোপধ্বনির পর পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সোমবার সকালে চেঙ্গী স্কোয়ার সংলগ্ন শহীদ বেদিতে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত জেলা কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে, শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, সিভিল সার্জন ইদ্রিস মিঞা, পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলম, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে জেলার সরকারী-বেসরকারী, সামাজিক সংগঠন, এনজিও, স্কুল-কলেজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সকাল সাড়ে ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে পাতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজসহ বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। দেয়া হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা। ভোলা দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, ভোলা প্রেসক্লাব, ভোলা ২৪তম বিসিএস ফোরাম, ভোলা পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সমবায় অফিস, ভোলা ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো। ভোলা যুগীরঘোলে বধ্যভূমিতেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল ৮টায় গজনবী স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক ও পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। পরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা মুক্তিযুদ্ধসহ নানা ডিসপ্লে ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করেন। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সন্ধ্যার পর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নরসিংদী যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পালন করেছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। সোমবার প্রত্যূষে মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানÑ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। সকাল সাড়ে ৮টায় মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং প্যারেড ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমে জনমত সৃষ্টির জন্য আলোচনা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়া মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একাদশ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাগুরা সকাল ৭টায় এমপি এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগ, জাসদ, বিএনপি জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দফতরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নোমানী ময়দান শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমালা অর্পণ করেন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে পুলিশ, গালস গাইড, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সালাম গ্রহণ করেন। দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান, আলোচনা সভা, সরকারী কলেজে বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রভৃতি। গোপালগঞ্জ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিবেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য লে: কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খানের নেতৃত্বে এ শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেখানে তারা বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় ধর্ম-প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ মোহম্মদ আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাবেক চীফ হুইফ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও বাংলাদেশ রেড-ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, প্রচার সম্পাদক বদরুল আলম বদর, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, কোটালীপাড়ার সাবেক মেয়র এইচ এম অহেদুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বহু নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাঢ়ায় বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার ভোরে জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিনের নেতৃত্ব বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনের কর্মকর্তারা চাষাঢ়ায় বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধর্তন কর্মকর্তারা। পরে পুলিশের পক্ষ থেকেও বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিজয়স্তম্ভে এসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকালে নগরীর ২নং রেলগেট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সহসভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোঃ বাদলসহ নেতৃবৃন্দরা। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা নিয়ে আনন্দ র‌্যালি করেছে জেলা খেলাঘর আসর। সোমবার সকাল নয়টায় নগরীর চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পতাকা র‌্যালিটি বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিতাইগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে অংশ নেন জেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি রথিন চক্রবর্তী, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, নারায়ণগঞ্জ জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মহসিন প্রমুখ। রাঙ্গামাটি সোমবার দিবসের প্রথম প্রহরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কাপ্তাই লেকের তীরে অবস্থিত রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। এর পর আঞ্চলিক পরিষদ, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি পৌরসভা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিএনপি, জেএসএস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফের স্মৃতিসৌধেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। সকাল ৮টায় রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়ামে স্কাউটস গার্লস গাইড ও ছাত্র/ছাত্রীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ও পুলিশ সুপার আলমগীর কবির। দুপুরে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে পরিষদ সভাকক্ষে রাঙ্গামাটির বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফি উল্লাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন প্রমুখ। সিরাজগঞ্জ সিরাজগঞ্জে বিজয়স্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী, চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রেসিডেন্ট আবু ইসুফ সূর্য এবং জেলা আওয়ামী লীগ, প্রেসক্লাব, শহীদ মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ, বিএমএসহ অন্যান্য রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর শহীদ শাসমুদ্দিন স্টেডিয়ামে মনোজ্ঞ সম্মিলিত কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, পুলিশ ও আনসার বাহিনীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা। পরে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয় শহীদ এম মনসুর আলী অডিটরিয়ামে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ অন্যান্য সামজিক সংগঠন আলোচনা সভার আয়োজন করেন। দিনাজপুর দিবসটি পালন উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য জাকিয়া তাবাসসুম জুই। পরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সকাল ১০ টা থেকে দিনাজপুর গোড়-এ শহীদ ময়দানে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। দুপুরে দিনাজপুর বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য জাকিয়া তাবাসসুম জুই। এ সময় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদুল মান্নাফ কবির। নওগাঁ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে পু®পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। এছাড়া জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, জেলা প্রেসক্লাব, পৌরসভা, সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা নিয়ামতপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সোমবার সকাল ৯ টায় নওগাঁ স্টেডিয়ামে স্বেচ্ছায় রক্তদান, কুচকাওয়াজ, ছালাম গ্রহণ, ডিসপ্লে প্রদর্শনসহ বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। মাদারীপুর সোমবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ লাইনস্ ময়দানে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা, সকালে মাদারীপুর ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় র‌্যালি, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় র‌্যালি, সকাল ৮টায় আছমত আলী খান স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বাহিনীর কুচকাওয়াজ, বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিসপ্লে, বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, দিনব্যাপী নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় মন্দির, মসজিদ, গির্জাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, জেলখানা ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনা সভা, সন্ধায় আলোকসজ্জা, স্বাধীনতা অঙ্গনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত এবং প্রতীক উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। লালমনিরহাট বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে জেলা শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হতে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে বিজয় র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। সকালে লালমনিরহাট শেখ কামাল স্টেডিয়াম মাঠে স্কুল, কলেজ ও সামাজিক সংগঠনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মনোরম কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতি ইউনিয়নে দিনব্যাপী কৃষি উৎসব শুরু হয়েছে। জেলা শহরের বিজয় র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর, এসপি এসএম রশিদুল, জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাডভোকেট মোঃ মতিয়ার রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবা উদ্দিন ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন জাহাঙ্গীর প্রমুখ। জয়পুরহাট মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। এর কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এর পর সকাল ৯টায় স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক। এ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু এমপি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বেলুন উড়িয়ে ও কবুতর অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। মার্চপাস্টে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও পুলিশ সুপার মোঃ সালাম কবির। মার্চপাস্টে অংশগ্রহণ করে পুলিশ বিভাগ, আনসার ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, স্কাউট, গার্লস গাইড, রোভারস্, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। দুপুরে পৌরসভার উদ্যোগে কমিউনিটি সেন্টারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হবিগঞ্জ সোমবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনটির সূচনা হয়। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহরের দুর্জয় স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমপি এ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি, এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লা, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, নবনির্বাচিত জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ-বাসদ-কমিউনিস্ট পার্টি, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে। পরবর্তীতে জালাল স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে কাজী হেদায়েত হোসেন স্টেডিয়ামে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের শুভ সূচনা হয়। জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং মার্চপাস্টে সালাম গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত ও পুষ্পমাল্য অর্পণ দোয়া মোনাজাত, আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এর আগে সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয় চত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়া শহীদ বেদীতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
×