ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

১৯৯৭ সালে দেয়া প্রতিশ্রুতি মানছে না চীন ॥ অভিযোগ স্বাধীনতাপন্থীদের

লামের বেজিং সফরের প্রতিবাদে হংকংয়ে নতুন করে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৯:২২, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

লামের বেজিং সফরের প্রতিবাদে হংকংয়ে নতুন করে বিক্ষোভ

হংকংয়ের রাস্তায় রবিবার রাতে ফের পুলিশ ও সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। সোমবার হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের আগে এ সহিংস বিক্ষোভের ঘটনা ঘটল। নিয়মিত সফরের অংশ হিসেবে লাম এখন বেজিংয়ে রয়েছেন এবং প্রথমে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। লি বলেছেন, হংকং নজিরবিহীন এবং চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। আল জাজিরা। লি বৈঠকে আরও বলেন, বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলটির সরকারকে তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, সহিসংসতার অবসান ঘটাতে হবে এবং আইন অনুযায়ী বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে হবে এবং শাসন পুনঃবলবৎ করতে হবে। লাম সোমবার শির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অনুমান করা হচ্ছে, এ বৈঠকে হংকংয়ের রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে বেজিংয়ের পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশনা দেয়া হতে পারে। এছাড়া আলোচনায় হংকংয়ের মন্ত্রিসভায় রদবদলের বিষয়টি উঠতে পারে। নবেম্বরের শুরুতে লাম ও শি দুবার বৈঠক করেন। সে সময় শি গোলযোগ সত্ত্বেও লামের প্রতি পূর্ণ বিশ্বস্ততা প্রকাশ করেন। বেজিং যাওয়ার আগে লাম মন্ত্রিসভায় রদবদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, প্রথম কাজ হচ্ছে সহিংসতা বন্ধ এবং আইনশৃঙ্খলা পুনঃবলবৎ করা। তিনি জনসাধারণের সঙ্গে আরও আলোচনা করার কথা ভাবছেন। হংকং গত জুন থেকে কয়েক দশকের মধ্যে সবেচেয়ে খারাপ রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পতিত হয়েছে। হংকংয়ের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চীনের শির প্রতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হংকংয়ের অসহিষ্ণুতা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে। এটা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। রবিবার রাতে মুখোশ পরা একদল তরুণ-তরুণী মং কক এলাকার রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ তাদের চ্ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং লোকজনের ওপর লাঠিচার্জ করে। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম যে পুলিশের পক্ষ থেকে টিয়ার গ্যাস ছোড়ার ঘটনা ঘটল। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ও ক্ষোভ যে চীন তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। ১৯৯৭ সালে চীনের শাসনের অধীনে সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশটি ফিরিয়ে দেয়ার সময় বেজিং হংকংবাসীর স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিক্ষোভের সময় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় এবং ট্রাফিক লাইট ভাংচুর করা হয়। এ সময় ব্যাপ্টিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মুখে পুলিশের ছোড়া বুলেট লাগে এবং তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের কয়েকটি ছোট দল কয়েকটি মলের ভেতর ঢোকে, প্রবেশে পথ বন্ধ করে দেয়, গ্লাস ভাংচুর করে এবং ‘স্বাধীনতার জন্য লড়াই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়। সেখানে দাঙ্গা পুলিশের অভিযান, লোকজনের ওপর পিপার স্প্রে নিক্ষেপ এবং কয়েকজনকে আটকের পর আক্রান্ত মলগুলোর অনেক দোকান নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়।
×