ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে চট্টগ্রামে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে যখন বুঝতে পারে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখন বাঙালী জাতিকে মেধাশূন্য করার নীলনক্সা তৈরি করে। এজন্য ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ব থেকে তালিকা করা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে যেত। সেদিনের সেই পরাজিত শক্তির দোসররা যেন এদেশে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য বুদ্ধিজীবীদের আত্মাহুতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। খবর স্টাফ রিপোর্টার/ নিজস্ব সংবাদদাতা / সংবাদদাতাদের পাঠানোÑ চট্টগ্রাম গভীর শ্রদ্ধা ও বিস্তারিত কর্মসূচীর মাধ্যমে চট্টগ্রামে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে শনিবার। চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচী পালন করা হয়। সকালে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে শহীদ ব্যাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকালে পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে সিটি মেয়র বলেন, বাঙালী জাতিকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। মেধাবী সন্তানদের হত্যা করাই বর্বর সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসরদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। তারা জানত যে, দেশের মেধাশূন্য হয়ে গেলে সে দেশের সকল উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়। একাত্তর সালের মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদররা বেছে বেছে এদেশের ডাক্তার, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য মেধাবী সন্তানদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। ত্রিশ লাখ শহীদ এবং ৩ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে একাত্তর সালের ১৬ ডিসেম্বর এদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। দেশ পরিচালিত হয় পাকিস্তানী ভাবধারায়। মুক্তিযুদ্ধের সকল চিন্তা চেতনাতে ধূলিসাৎ করা হয়। একুশ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা শুরু করে। এর ফলেই বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে। ফলে সবক্ষেত্রেই এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মেয়র বলেন, বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নইমউদ্দিন চৌধুরী, এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ এসহাক, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান চৌধুরী, হাসান মাহমুদ হাসনী, সফিকুল ইসলাম ফারুক, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আবদুল আহাদ, মানস রক্ষিত প্রমুখ। এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ক্লাব ভবনের সামনে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। নগর মহিলা আওয়ামী লীগ চশমা হিলে প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাস ভবনে আলোচনা সভা এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক নীলু নাগ, মমতাজ খান, মালেকা চৌধুরী, হাসিনা আক্তার টুনু আয়েশা আক্তার পান্না, ইশরাত জাহান, মনোয়ারা বাহাদুর প্রমুখ। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা শুরু করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার। এরপর বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। উপাচার্যের পর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চ.বি. শিক্ষক সমিতি, অনুষদসমূহের ডিনবৃন্দ, হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ করা হয় এবং সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার। রাজশাহী যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোষরদের হাতে শহীদ হওয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শোক আর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছেন রাজশাহীর মানুষ। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার রাজশাহীতে নানা কর্মসূচী পালিত হয়। সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সেখানে দোয়া করা হয়। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক সাবেক কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারাসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও (রাবি) বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হয়েছে। ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য ভবন থেকে একটি প্রভাতফেরি বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে ও প্রশাসন ভবনের পশ্চিম চত্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সেখানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করছে। গভীর শোক আর শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করন। এদিকে দিবসের প্রথম প্রহরে রাজশাহী মহানগরীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করেন নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, যুগ্ম সম্পাদক নাঈমুল হুদা রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজশাহীর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। রাজশাহী জেলা প্রশাসন পৃৃথকভাবে দিবসটি পালন করে। খুলনা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে অতিথিরা বলেন, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে যখন বুঝতে পারে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখন বাঙালী জাতিকে মেধাশূন্য করার নীল নক্সা তৈরি করে। এজন্য ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ব থেকে তালিকা করা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে যেত। সেদিনের সেই পরাজিত শক্তির দোসররা যেন এদেশে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য বুদ্ধিজীবীদের আত্মহুতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ এহসান শাহ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান, অন্যতম সংবিধান প্রণেতা অ্যাডভোকেট এনায়েত আলী, সাবেক মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সরদার মাহবুবুর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী প্রমুখ। খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান। বরিশাল বিন¤্র্র শ্রদ্ধায় বরিশালে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসের প্রথম প্রহরে শনিবার সকাল নয়টায় নগরীর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুসসহ অন্যরা। এর পরপরই মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। এখানে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলো স্ব-স্ব কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন। সিলেট শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চৌহাট্টাস্থ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শনিবার সকালে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শুরু হয়। সিলেট বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি সিলেট, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর কমান্ডার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডার সিলেট, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, বাসদ মার্কসবাদী, সিলেট বিভাগীয় গণদাবি ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, জেলার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সিলেটের বুদ্ধিজীবীদের কবরে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ দোয়া পরিচালনা করেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। রংপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রংপুরে তিন দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। শনিবার ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে টাউন হল চত্বরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। দুপুরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে, বাঙালী জাতির ইতিহাসে মর্মস্পর্শী বেদনার স্মৃতিকে ধারণ করা প্রায় দুই শতাধিক আলোকচিত্র। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বেশ কিছু দুর্লভ ছবিসহ বাঙালীর মুক্তি সংগ্রাম ও পাকিস্তানী হানাদারদের গণহত্যার ছবি রয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবাল হোসেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি প্রমুখ। নেত্রকোনা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার দুপুরে জেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি। জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মতিন খানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন: পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, সাবেক কমান্ডার নূরুল আমিন প্রমুখ।
×