ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জনসনের সামনে চ্যালেঞ্জ ‘ব্রেক্সিট’

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

জনসনের সামনে চ্যালেঞ্জ ‘ব্রেক্সিট’

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সামনে এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ব্রেক্সিট। তাকে এখন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। এখন এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে, ব্রিটেন ৩১ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে। বিষয়টি আইনগত দিক দিয়ে বা প্রতীকী অর্থে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। এর পর রয়েছে আরও অনেক প্রতিশ্রুতি। এক, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সাল শেষ হবার আগেই অল্প সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটা বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। ইইউ ছাড়ার পর বাণিজ্য ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার জন্য সময় আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিষয়টা প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটা কঠিন কাজ হবে যদি তিনি চান যে, ইইউর যেসব নিয়মবিধি ব্রিটেন মেনে চলে সেগুলো থেকে বেরিয়ে যাবার স্বাধীনতা ব্রিটেন চায়। দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি হলো, বরিস জনসন বলেছেন তিনি ব্রেক্সিট পরবর্তী এই সময় বাড়াতে চান না। সেটি না হলে তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সময়সীমা বাড়াবেন, নাকি চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বের হওয়ার একটা নতুন পথ খুঁজবেন, তা নিশ্চিত নয়। ৩১ জানুয়ারির পর তাকে অনেক প্রতিবন্ধকতা পার হতে হবে। এখন সব দৃষ্টি ব্রেক্সিট প্রশ্নকে ঘিরে। তবে ইইউর সঙ্গে ভবিষ্যত সম্পর্কের কাঠামো কী হবে, সেই গোটা ব্যাপারটার মীমাংসা কীভাবে হবে, সেটাই হবে তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। -বিবিসি। এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো যে ৬৪৯টি আসনের চূড়ান্ত ফল জানিয়েছে; তার মধ্যে রক্ষণশীলরা একাই জিতেছে ৩৬৪টি। লেবার পার্টি ২০৩, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ৪৮, লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা ১১ এবং আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) জয়লাভ করেছে ৮টি আসনে। চলতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে নাইজেল ফারাজের ব্রেক্সিট পার্টি চমক দেখালেও, বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে তারা কোন আসনই জিততে পারেনি। বিবিসি বলছে, জনসনের নেতৃত্বে এবার কনজারভেটিভ পার্টি ১৯৮৭ সালের পর সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জিতেছে, লেবার করেছে ১৯৩৫ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ফল।
×