ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরিসের জয়ে উজ্জীবিত ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

বরিসের জয়ে উজ্জীবিত ডোনাল্ড ট্রাম্প

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তুমুল কোলাহলপূর্ণ একটি সময় পার করার পর এক বিতর্কিত প্রার্থী ক্ষমতায় তার মেয়াদ প্রসারিত করেছেন। তিনি এক দুর্বল বিরোধীকে অতিক্রম করেছেন এবং অপ্রত্যাশিত এলাকার ভোটারদের কাছ থেকে সমর্থন অর্জন করেছেন। ব্রিটেনে বৃহস্পতিবার এমনটাই ঘটেছে। এপি। জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি পার্লামেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী নেতা জেরেমি করবিনকে গুরুত্বের বাইরে ঠেলে দিতে কর্তৃত্বপূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। একই দৃশ্যকল্প দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী বছরের নির্বাচনে তা অনুকরণের জন্য উৎসুক হয়ে আছেন এবং ডেমোক্র্যাটরা তা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে আছেন। ট্রাম্প শুক্রবার জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ব্রিটিশ নির্বাচনের ফল সম্পর্কে বলেছেন, আমি মনে করি, তা আমাদের দেশে বসন্তের অগ্রদূত কোকিলের সঙ্গীতে রূপ পেতে পারে। আরও কেউ কেউ ব্রিটিশ নির্বাচন থেকে অত্যন্ত বেশি পাঠ গ্রহণের বিরুদ্ধে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন সত্ত্বেও জনসংখ্যাতত্ত্ব ও সরকার ব্যবস্থায় রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নক্সাচিত্র বিকশিত হচ্ছে এখনই। ডেমোক্র্যাটরা মধ্যপন্থী না উদারপন্থীদের বেছে নেবেন, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ না নতুন প্রার্থীকে বেছে নেবেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কে প্রার্থী হবেন, এ সকল বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিচার বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে এখনই। আটলান্টিকের উভয় দিকের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে লক্ষ্যণীয়ভাবে এক সমান্তরাল চিত্র দেখা যায়। এ নজির দেখা যায় সাম্প্রতিক ঘটনায়। ব্রিটিশ ভোটাররা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার জন্য ২০১৬ সালে এক জাতীয় গণভোটের সিদ্ধান্ত নেয় হতচকিত হয়ে। রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক পরিণামের বিষয়ে যে ভয়াবহ সতর্কতা উচ্চারণ করেছিলেন তা উপেক্ষা করেছে ভোটাররা। চার মাস পর মার্কিন ভোটারও একই ভূমিকা নিয়েছেন। তারা হোয়াইট হাউসে পাঠিয়েছেন ট্রাম্পকে। জনসন এ বছরের প্রথম দিকে ব্রেক্সিট প্রচারণার ম্যান্টল তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনামূলক বিষয়গুলো টেনে আনতে থাকেন। দু’জন প্রায় সময় ফোনে কথা বলেন এবং এক স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন যে সম্পর্ক জনসনের পূর্বসূরি টেরেসা মে’র সঙ্গে ছিলনা ট্রাম্পের। জনসন এ সপ্তাহের প্রচারের সম্মুখীন হয়েছেন তাৎপর্যপূর্ণ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। ট্রাম্প বিষয়টির সম্মুখীন হবেন আগামী বছর। দু’জনই তাদের সংশ্লিষ্ট দেশের ভোটারদের বিস্তৃত পরিধির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে অজনপ্রিয় এবং তাদের নিন্দুকদের ক্ষেপিয়ে তুলতে কিছুটা অহঙ্কারী হয়ে ওঠেন। নারী ও সংখ্যালঘুদের বিষয়সহ বিতর্কিত মন্তব্য করার ব্যাপারে রেকর্ড রয়েছে প্রত্যেকেরই।
×