ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে সংকোষ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

কুড়িগ্রামে সংকোষ নদীতে অবৈধভাবে বালু  উত্তোলন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকটা থানার সংকোষ নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। প্রতিদিন অবৈধভাবে এভাবে ড্রেজার মেশিনের তান্ডবে সংকোষ নদী এখন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। বালু সিন্ডিকেটের একটি দল বছরের পর বছর এই নদীর বিভিন্ন স্থানের বালু তুলে নদীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বালু তোলায় ভাঙ্গছে নদীর পাড়সহ স্থানীয়দের আবাদি জমি। প্রতিদিন নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে আছে কচাকাটা ব্রিজ, গাবতলা ব্রিজ, কচাকাটা ডিগ্রী কলেজসহ কয়েকটি সরকারী স্থাপনা। স্থানীয়রা অনেকবার উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোন ফায়দা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন অভিযান চালালেও থামছে না সংকোষ নদী থেকে বালু উত্তোলন। কচাকাটা থানার কেদার, কচাকাটা এবং বল্লভের খাস ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত এ নদীতে বর্তমানে ১০টিরও অধিক ড্রেজার বালু উত্তোলনের কাজে চালু রয়েছে। তিন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ড্রেজার দিয়ে দুধকুমর নদসহ সরকারী এবং মালিকানাধীন জলাশয় থেকে বালু উত্তোলান করে থাকে একাধিক ড্রেজার মালিক। এমনকি সড়ক ও জনপদের সড়কের ওপর এবং নিচ দিয়ে পাইপ বসিয়ে বালু তোলার দৃশ্যও দেখা যায় প্রতিদিন। বল্লভের খাস ইউনিয়নের ড্রেজার মালিক ও ইউপি সদস্য গাজিউর রহমান জানান, কচাকাটা থানা এলাকায় ছোটবড় প্রায় ২০টা ড্রেজার চলে। তিনি নিজেও দুইটা ড্রেজারের মালিক। কখনও সংকোষ নদীতে আবার কখনও দুধকুমার নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে থাকে। বর্তমানে সংকোষ নদীতে দুইটি ড্রেজার চলমান রয়েছে তার। এদিকে বরিশালের হাফিজুর ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে বড় ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে ব্যবসা করছে বলেও তিনি জানান। এছাড়া কেদার ইউনিয়নের কেরাম আলী, কাচুয়া, মোস্তফা, বল্লভের খাষ ইউনিয়নের বাচ্চু, হেলাল, বয়েজতুল্লাসহ দশ বারোজন এসব অবৈধ ড্রেজার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কেদার ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী মাসুদ জানান, অবৈধ ড্রেজার বন্ধে আমরা প্রশাসনিকভাবে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এলাকা কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণে তা সফল হচ্ছে না। এ বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-আহমেদ মাছুম জানান, অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান সরকারী নিয়ম অনুযায়ী চলমান আছে। সংকোষ নদীতে ড্রেজারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে ড্রেজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×