ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে নবান্ন উৎসব

প্রকাশিত: ০৯:১১, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

রাজধানীতে নবান্ন উৎসব

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ ‘শস্যের আহ্বানে বিজয়ের উল্লাস’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিগত বছরের মতো এবারও নবান্ন উৎসব এবং বিজয় দিবসকে এক সুতোয় গাঁথতে গ্রাম বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জীবনঘনিষ্ঠ নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শোবিজ এন্টারটেইনমেন্ট আবহমান। রাজধানীর ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে বুধবার শুরু হওয়া এ ‘নবান্ন উৎসব’ শুক্রবার শেষ হয়। দর্শনার্থীদের বিনোদন দেয়ার জন্য নবান্ন উৎসবকে আকর্ষণীয় করতে বিশেষ আয়োজনের মধ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্নের নাচ, নবান্নের গান, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, পুথি পাঠ, বায়োস্কোপসহ প্রতিদিন ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নবান্ন উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, জানে আলম, শফী মন্ডল, কিরন চন্দ্র রায়, চন্দনা মজুমদার ফকির শাহাবউদ্দিন, চিশতী বাউল, সুকুমার বাউল, টুনটুন বাউল, পাগলা বাবলু, সমীরণ বাউল, আবু বকর ছিদ্দীক, বিউটি, লায়লা বাউল, মৌসুমী ইকবাল, শফিউল আলম রাজার দল (ভাওয়াইয়া), বাউল কাশেম, উসমান উদাস, দেলোয়ার বয়াতি, ইউসুফ বয়াতি, সুমী শবতম, শাহনাজ বাবু, মহসিন, লালন পাঠশালা, আবৃতি চর্চা কেন্দ্র, স্বরশ্রুতি, সত্যসেন শিল্পগোষ্ঠী, ধ্রুব শিশু-কিশোর সংগঠন, বাফা, খেলাঘর শিশু শিল্পী গান, শিল্পবৃত্ত, নৃত্যলোক ও নটরাজ অন্যান্য। আর সব আয়োজন উপভোগের পাশাপাশি মুখের স্বাদ বাড়াতে ছিল দেশের ঐহিত্যবাহী সব রকমারি পিঠা পুলির প্রদর্শনী। নবান্ন উৎসবে লামিয়া বি-বাড়িয়া পিঠাঘর, নেত্রকোনা পিঠাঘর, নোয়াখালী পিঠাঘর, শরীয়তপুর পিঠাঘর, মানিকগঞ্জ পিঠাঘর, গোপালগঞ্জ পিঠাঘর, মনিচুরি পিঠাঘর, গ্রাম বাংলা পিঠাঘর, পিঠা পুলি, বিক্রমপুরের পিঠা পুলি, ময়মনসিংহ পিঠা পল্লীসহ প্রায় ৩২ স্টলে দেশের বিভিন্ন এলাকার পিঠা পুলি প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়। নবান্ন উৎসবে পিঠা শিল্পীদের কাজে উৎকর্ষ আনয়ন ও উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরস্কার এবং সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা ছিল। আশাকরি এই প্রচেষ্টা নতুন মাত্রা যোগ করে। আয়োজক সংগঠন শোবিজ এন্টারটেইনমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মেহেদী হাসান জানান, গ্রাম বাংলার নবান্ন উৎসবে শহরের মানুষকে যুক্ত করতে এ আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ এসব স্টল থেকে খেজুরের গুড়ে ভেজানো চিতই, ফুল পিঠা, দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, ডিম চিতই, মুখ পাকন, পাটি সাপ্টা, সুচি পিঠা, রস মাধুরী পিঠা, ইলিশ পুলি, মালাই পুলি, খেজুরের পিঠা, মাল পোয়া পিঠা, সেমাই পিঠা, জামাই আদর পিঠা, পাকান পিঠাসহ বিভিন্ন নাম ও স্বাদের পিঠাগুলোর প্রদর্শনী ও বিক্রি করা হয়। উৎসবে বিভিন্ন অঞ্চলের মজাদার স্বাদের প্রায় ১৬০ থেকে ২০০ রকমের পিঠার স্বাদ নিয়েছেন দর্শনার্থীরা। উৎসবে আগত নানা বয়সী মানুষের উৎসব প্রাঙ্গণে বসেই পিঠা খেয়েছেন। আবার অনেকে পরিবারের জন্য পার্সেলও নিয়েছেন। সব মিলিয়ে বেশ জমে উঠবে নবান্ন উৎসব। গ্রাম বাংলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগের পাশাপাশি মজাদার পিঠার স্বাদ নিতে পেরেছেন দর্শনার্থীরা।
×