ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব

প্রকাশিত: ০৯:১১, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

 বগুড়ায় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ ‘তারুণ্যের চলচ্চিত্র, তারুণ্যের উৎসব’ শিরোনামে বগুড়ার একমাত্র চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন পুন্ড্রনগর চলচ্চিত্র সংসদ দ্বিতীয়বারের মতো তিন দিনব্যাপী ‘বগুড়া আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৯’ আয়োজন করতে যাচ্ছে। আগামী ২৮-৩০ ডিসেম্বর এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় হোটেল ম্যাক্স মোটেলে উৎসবের লোগো উন্মোচন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উৎসবের লোগো উন্মোচক করেন বগুড়া জেলার প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক শোয়েব শাহরিয়ার, টিএমএসএসএর নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগম, কাউন্সিলর কবিরাজ তরুণ কুমার চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন উৎসব চেয়ারম্যান ড্যারিন পারভেজ। অনুষ্ঠানে উৎসব পরিচালক সুপিন বর্মন জানান, এইবারের উৎসবে বিশ্বের মোট আটটি দেশের ২৮০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র জমা পড়ে। সেগুলোর মধ্য থেকে জুরি কমিটির বিবেচনায় ৩৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও চারটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়। এসব নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো নিয়েই আগামী ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা স্কুল মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক দুলাল অডিটরিয়ামে মূল উৎসব শুরু হবে। উৎসবে বাংলাদেশসহ নেপাল, ভারত, মেক্সিকো, ইরান, আর্জেন্টিনা, পর্তুগাল, উগান্ডা থেকে মোট ২৫ জন নির্বাচিত চলচ্চিত্র নির্মাতা অংশগ্রহণ করবেন। তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের প্রতিদিনই থাকবে চলচ্চিত্র বিষয়ক সেমিনার ও কর্মশালা। উৎসবের শেষ দিনে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার প্রদান করা হবে। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচনে প্রধান দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় চলচ্চিত্র ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশী নির্মাতা আবু সাইয়ীদ ও নেপালের নির্মাতা বিজয় রত্ন। সমগ্র উৎসবটি উৎসব পরামর্শক হিসেবে আছেন ড. এনামুল হক আর্ট এ্যান্ড কালচার একাডেমির কিউরেটর ও আদিবাসী গবেষণা পর্ষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ফেস্টিভ্যালের কো-চেয়ারম্যান ফেরদৌস ওয়াহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, অভিনেতা রুবল লোদী, পৌষরাম সরকার, বিধান রায় প্রমুখ। উৎসব পরিচালক সুপিন বর্মন আরও জানান, তারুণ্যের এ উৎসবে সাধারণ জনগণের নিকট থেকে টিকেট থেকে সংগৃহীত অর্থ পথশিশুদের একটি স্কুলে শিক্ষা উপকরণের জন্য প্রদান করা হবে।
×