ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে নির্বোধ বলে গালি উত্তর কোরিয়ার

উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

 উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক  করল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার দুর্ভাগ্যজনক হঠকারী আচরণ যে কোনভাবে পুনরায় শুরুর বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছে। কূটনৈতিক উদ্যোগ পুনর্বিবেচনার লক্ষ্যে ওয়াশিংটনের জন্য এ বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমায় আন্তর্জাতিক উদ্বেগের সৃষ্টি হবে, পিয়ংইয়ং এ কথা বলার পর যুক্তরাষ্ট্র এ সতর্কতা উচ্চারণ করেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড স্টিলওয়েল বলেছেন, আমরা এর আগে হুমকির বিষয়টা শুনেছি। উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা আবারও শুরু করার ব্যাপারে ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে স্টিলওয়েল এ কথা বলেন। উত্তর কোরিয়া এক অনির্দিষ্ট নতুন পথে চলার অঙ্গীকার গ্রহণ করে যদি যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ হয়ে থাকা পরমাণু আলোচনায় আরও নমনীয় না থাকে। উত্তর কোরিয়া এর আগে বৃহস্পতিবার বলেছে, পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী থেকে পিয়ংইয়ংকে সরে আসার জন্য সম্ভাব্য নতুন আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কিছুই দেয়ার নেই। একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত রয়েছে। ওয়াশিংটন এ কথা বলার একদিন পর পিয়ংইয়ং এ কথা বলেছে। এএফপি বলেছে, উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ রাষ্ট্রের স্বল্পপাল্লার রকেট নিক্ষেপণের ব্যাপারে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে নির্বোধ বলে সমালোচনা করেছে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, এ বৈঠকের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র একটা বোকামো কাজ করেছে, বিষয়টি উল্টো তাদের জন্য অসুবিধের সৃষ্টি হবে। এবং আমরা কোন্টা বেছে নেব তার ওপর সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুস্পষ্টভাবে সহযোগিতা যোগাবে। ট্রাম্প পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচী বর্জন বিষয়ে আলোচনার জন্য উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তিনটি বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। কিন্তু হতাশ উত্তর কোরিয়া এমন একটা ব্যাপকভিত্তিক সমন্বিত চুক্তি চাইছে যেটিতে দেশটিতে আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সংলাপ বিষয়ে কথা বলে। কিন্তু এটা অত্যন্ত সহজাত তাদের জন্য যে, সংলাপে আমাদের জন্য উপস্থাপনের মতো কিছুই নেই ওয়াশিংটনের কাছে। উত্তর কোরিয়া বলেছে, এর হারাবার আর কিছু নেই এবং যুক্তরাষ্ট্র কোন বিকল্প গ্রহণ করলে এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্রাফট উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে, উত্তর কোরিয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে, তারা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে। পরমাণু অস্ত্র সজ্জিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম। কিন্তু তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কাজ করতে ইচ্ছুক। দেশটি বৈঠক আহ্বানের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদকে ব্যবহার করছে। কেলি তারপরও ২০১৯ সালের শেষ সপ্তাহগুলোয় উত্তর কোরিয়ার প্রস্তাব গ্রহণের দাবি বিবেচনার অযোগ্য বলে মনে করেন। তিনি বলেন, আমাকে স্পষ্ট হতে দেয়া হোক যে, যুক্তরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা পরিষদের একটি লক্ষ্য রয়েছে, কোন চূড়ান্ত সীমারেখা নয়।
×