ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রেজা নওফল হায়দার

২০১৯ আলোচিত প্রযুক্তি-কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি পৌঁছেছে আমাদের ঘরে

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

২০১৯ আলোচিত প্রযুক্তি-কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি পৌঁছেছে আমাদের ঘরে

নিউরো গ্রোসারি কার- একটা সময় গাড়ি থাকবে, চলে ফিরে বেড়াবে, অথচ তাতে কোন মানুষ থাকবে না সেটা ভাবাটা ছিল হাস্যকর ব্যাপার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি পাল্টিয়েছে। মানুষ এখন চালক ছাড়াই গাড়িতে বেশ চলেফিরে বেড়ায়। গুগলের সেলফ ড্রাইভিং কারের সঙ্গে পরিচয় নিশ্চয় হয়েছে আপনার? তবে এতদিন কেবল মানুষের ক্ষেত্রেই এমন গাড়ির কথা ভেবেছে সবাই। কখনও কোন মুদি দোকানের মালামালও যে চালক ছাড়াই কোন গাড়ি মানুষের দরজায় পৌঁছে দেবে সেটা মাথায়ই আসেনি মানুষের। এবার সেই কল্পনাকেই বাস্তব করে তুলেছে নিউরো ও ক্রোগার। গ্রোসারি চেইন ক্রোগারের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই কাজে হাত দেয় নিউরো। কীভাবে কাজ করে এই গাড়ি- নিউরোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডেভ ফার্গুসন এর আগে কাজ করেছেন গুগলে, গুগলের ‘সেলফ ড্রাইভিং কার’ প্রকল্পে। যেটাকে কিনা এখন মানুষ চেনে ওয়েইমো নামে। ফার্গুসনের মতে, এটি একটি বাইকে একজন মানুষ থাকার মতোই। ৬ ফুট উচ্চতা, ৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩.৬ ফুট প্রস্থের এই গাড়িটি অনেকটা টয়োটা করোলার প্রস্থের অর্ধেক। ১ হাজার ৫০০ পাউন্ডের এই গাড়িটি ব্যাটারির সাহায্যে চলে। একবার চার্জ দেয়ার পর সারাদিন এটি কাজ করতে পারবে। বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় ২৫ মাইল যাওয়ার ক্ষমতা থাকলেও খুব দ্রুত আরও বেশি দূর ও সহজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এই গাড়িটিকে। এর দুটো প্রধান কম্পার্টমেন্টে মোট ছয়টি মুদি দোকানের মালভর্তি ব্যাগ রাখা সম্ভব। ভবিষ্যতে এই পরিমাণ ১০টি ব্যাগ পর্যন্ত নেয়ার পরিকল্পনা আছে নির্মাতাদের। যেহেতু মানুষ গাড়ি চালাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে গাড়িটির চারপাশ পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই নিউরোর একদম ওপরে রাখা হয়েছে লিডার (খওউঅজ) নামক একটি স্পিনিং লেজার ইউনিট। যেটির মাধ্যমে গাড়ি থেকে কোন বস্তু বা প্রাণীর দূরত্ব বোঝা যাবে। এ ছাড়াও গাড়িতে আছে গাড়ির চারপাশ ৩৬০ ডিগ্রীতে দেখার জন্য ক্যামেরা এবং রাডার। নিউরোর কাছে সমস্ত জিপিএস ও ম্যাপ তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে আছে চারপাশের কোন কিছুর গতি বোঝার ক্ষমতা। খুব সহজভাবে বলতে গেলে, নিউরো নিজ থেকেই বুঝতে পারবে কোন রাস্তা কেমন থাকার কথা ছিল এবং কোন রাস্তা দিয়ে কখন যেতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্য প্রশ্ন আসে নিরাপত্তার। ইতোপূর্বে, এ্যারিজোনায় উবারের একটি চালকহীন কার পেছনে নিরাপত্তার জন্য থাকা মানুষ চালক থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা ঘটায়। তবে ফার্গুসন জানান যে, নিউরো এটা বোঝে যে মানুষকে আঘাত করা যাবে না। সেটা যে কোন মূল্যেই হোক। প্রয়োজনে কোন গাছকে আঘাত করবে এই গাড়ি। এ ছাড়াও গাড়ির সামনের অংশ সহজেই ভেঙ্গে যাবে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। কোন সংঘর্ষের সময় সর্বোচ্চ পরিমাণ শক্তি শুষে নেয়ার ক্ষেত্রেও নিউরো কাজ করবে। ঘরের বাজার ডেলিভারি কীভবে করা হবে- ক্রোগার ওয়েবসাইট বা নিউরো এ্যাপের মাধ্যমে কেউ খাবার চাইলে সেক্ষেত্রে গাড়িটি সরাসরি সেই ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে যাবে। ক্রেতা এই সময়টুকু ম্যাপে গাড়ি কতদূর রয়েছে সেটা দেখতে পারবেন। গাড়ি চলে এলে ক্রেতাকে দেয়া নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করে বা গাড়িকে স্পর্শ করে গাড়ির দরজা খুলতে পারবেন ক্রেতা। ফলে, কেউ কারও পণ্য কোনভাবেই ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
×