ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দাপুটে জয় বেয়ার্ন ও পিএসজির

প্রকাশিত: ১২:০৫, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

দাপুটে জয় বেয়ার্ন ও পিএসজির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দাপুটে জয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের গ্রুপপর্বের মিশন শেষ করেছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন (পিএসজি) ও বেয়ার্ন মিউনিখ। বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে প্যারিসের পার্ক দ্য প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারেকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিক পিএসজি। দলটির হয়ে একটি করে গোল করেন মাউরো ইকার্র্ডি, পাবলো সারাবিয়া, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপে ও এডিনসন কাভানি। এই জয়ে গ্রুপপর্বে অপরাজিত থেকে নকআউট রাউন্ডে মিশন শুরু করবে পিএসজি। গ্রুপের আরেক ম্যাচে বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুগেকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। ‘বি’ গ্রুপে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য ছিল বেয়ার্ন মিউনিখ। এবার একমাত্র দল হিসেবে ছয় ম্যাচের প্রতিটিতেই জিতেছে জার্মান জায়ান্টরা। শেষ গ্রুপ ম্যাচে বাভারিয়ানরা ৩-১ গোলে হারিয়েছে আসরের বর্তমান রানার্সআপ ইংল্যান্ডের টটেনহ্যাম হটস্পারকে। পরশু রাতে চার গ্রুপের আটটি ম্যাচের মধ্য দিয়ে চলমান ২০১৯-২০ মৌসুমের গ্রুপপর্বের খেলা শেষ হয়েছে। এখন শেষ ষোলো অর্থাৎ নকআউট রাউন্ডের খেলার অপেক্ষা। এর আগে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ড্র হবে। এরপর জানা যাবে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে কোন্ দল কার সঙ্গে খেলবে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লীগের দলগুলো নিয়ে নকআউট পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের খেলা মাঠে গড়াবে। ক্লাব ব্রুগের বিরুদ্ধে রিয়ালের জয়ের ম্যাচের ইনজুরি সময়ে (৯১ মিনিট) গোল করে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন লুকা মডরিচ। এই গোলের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপপর্বে এবার ৩০৭তম গোল হয়েছে। যা সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। এই গোলের কিছুক্ষণ পরই জুভেন্টাসের হয়ে গঞ্জালো হিগুয়াইন বেয়ার লেভারকুনেনের বিরুদ্ধে গোল করে সংখ্যাটাকে ৩০৮-এ নিয়ে যান। গত মৌসুমে গ্রুপপর্বে গোল হয়েছিল ৩০৬টি। যা ২০০০-০১ মৌসুমে ২৯২ গোলের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডকে ভেঙ্গে দিয়েছিল। এবার প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই গোলোৎসব হওয়ায় রেকর্ডটি নতুন করে হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে এফসি সালসবার্গের অভিষিক্ত ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ড এবারের মৌসুমের প্রথম গোলটি করেন। বেয়ার্ন মিউনিখের তারকা ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানডোস্কি গ্রুপপর্বে সবেচেয়ে বেশি ১০ গোল করেছেন। তবে ২০১৫-১৬ মৌসুমে ১১ গোল করা ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর রেকর্ডটি অটুটই আছে। গালাতসারের বিরুদ্ধে পিএসজির ম্যাচের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন নেইমার। চারদিন আগে লীগ ওয়ানে মন্টেপিলারের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে তিনি মূল একাদশে খেলতে নেমেছিলেন। চোট কাটিয়ে এবার খেললেন ইউরোপ সেরার যজ্ঞে। গত মৌসুমে রেড স্টারের বিরুদ্ধে গ্রুপপর্বের ম্যাচটি ছিল নেইমারের শেষ ম্যাচ। ৪-১ গোলের জয়ের ওই ম্যাচটিতে গোল করার পর নেইমার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে শেষ ষোলোর দুই লেগের ম্যাচেই ইনজুরির কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর ইউরোপিয়ান আসরের প্রথম তিনটি ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি দলের বাইরে ছিলেন। এরপর ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে আবারও ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে ছিটকে যান। ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ টমাস টাচেল বলেন, মন্টেপিলারের বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচটিতে নেইমারই ছিলেন মূল ভরসা। ওই ম্যাচেও সেই ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। প্রতিদিনই সে উন্নতি করছে। ফর্ম ফিরে পেতে কঠোর পরিশ্রম করছে। সত্যিকার অর্থে নেইমার অসাধারণ একজন খেলোয়াড়। পিএসজি শেষ গোলটি পেয়েছে পেনাল্টি থেকে। নেইমার নিজে শটটি না নিয়ে কাভানিকে দেয়ায় উচ্ছ্বসিত কোচ টাচেল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে একে অন্যকে সহযোগিতা করার মানসিকতাটা দারুণ। কাভানিকে দিয়ে পেনাল্টির শট নেয়াটা তারই দৃষ্টান্ত।
×