ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মীম মিজান

অতলস্পর্শী কথাকার

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

অতলস্পর্শী কথাকার

মানুষের জীবনকে কত সূক্ষ্মভাবে দেখা যায়; তা যিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনিই হচ্ছেন আবু ইসহাক (১ নবেম্বর, ১৯২৬-১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩)। খুবই বিরলপ্রজ এই কথাসাহিত্যিকের মাত্র ছয়টি গ্রন্থ রয়েছে। আর সে ছয়টি গ্রন্থে তিনি মানবজীবনকে এঁকেছেন সত্যিকার মানবজীবন রূপে। নিজের আবেগকে আরোপ করেননি কখনও। চরিত্রগুলোকে এগিয়ে যেতে দিয়েছেন নিজস্ব স্বকীয়তা ধারণ করে। তাঁর তিনটি উপন্যাস আর দু’টো গল্পগ্রন্থে গল্প হিসাবে স্থাান পেয়েছে মোট ২৪টি গল্প। তিন উপন্যাসে তিনটি। আর দু’টো গল্পগ্রন্থে এগারো আর দশটি মিলে মোট একুশটি। বাংলা সাহিত্যে হাতেগোনা দু’চারজন ঔপন্যাসিকদের মধ্যে যিনি প্রাজ্বল তিনি আবু ইসহাক। লিখেছেন মাত্র তিনটি উপন্যাস। কিন্তু উপন্যাসের উপজীব্য বিষয়, ভাষার ব্যবহার, জীবনকে দেখা ও উপস্থাপনার আঙ্গিকে আবু ইসহাক প্রথম সারির। যদিও তিনি লাইম লাইনে খুবই কম ছিলেন। প্রকৃত সাহিত্যিকদের একটা বৈশিষ্ট্য যে, তাঁরা কখনোই সস্তা জনপ্রিয়তার পেছনে ছুটেননি। সবসময় দাঁড়াতে চেয়েছেন নিজস্ব সৃজনশীলতার উপরে। যার দরুন সমসাময়িককালে আলোচিত ও সমাদৃত না হলেও পাঠক তাদের খুঁজে নিয়েছে এবং মনের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছে। যে উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে বড় একটা ঝাকি দিয়ে নিজের জায়গা পোক্ত করে নিয়েছে সেটি হচ্ছে ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’। উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে (১৯৫০-৫১) পর্যন্ত মাসিক নওবাহার পত্রিকায় প্রকাশ হয়। যদিও প্রাথমিকভাবে এটিকে গ্রন্থাকারে প্রকাশের জন্য পাবলিশারের অভাব লক্ষিত হয়েছিল। পরবর্তীতে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে। ‘সূর্য- দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসে আবু ইসহাক তুলে ধরেছেন- বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং দেশ ভাগ। ঔপন্যাসিক নিজেই ত্রিদেশ বা ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দেখেছেন। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত স্বদেশের বুকে বয়ে চলা ক্ষরণগুলোকে তুলে ধরেছেন সূক্ষ্মভাবে। জীবনকে উত্তমরূপে ধারণ ও সময়কে প্রতিনিধিত্ব করা উপন্যাসটির চরিত্র ও পরিক্রমা মোটামুটি এ রকমটি, স্বামী পরিত্যক্তা জয়গুনের দু-সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম, গ্রাম ছেড়ে নগরজীবন গ্রহণ, আবার গ্রামেই ফিরে আসলে সমাজপতিদের ধর্মান্ধতা ও প্রতিহিংসা প্রভৃতি। উপন্যাসটি এতই পাঠকপ্রিয়তা ও জীবনকে স্পর্শ করেছিল যে, ১৯৭৯ সালে ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’ নামেই চলচ্চিত্রে রূপদান করেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা শেখ নিয়ামত আলী ও মসীহউদ্দিন শাকের। যা ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল এবং ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছিল। উপন্যাসটি এতোই জনপ্রিয় হয়েছিল যে বিশ্বের অনেক ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে। আবু ইসহাকের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ যা প্রকাশ পায় ১৯৮৬ সালে। ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ উপন্যাসটি প্রথমে বাংলা একাডেমির ‘উত্তরাধিকার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ‘মুখর মাটি’ নামে। প্রথম উপন্যাস রচনার দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এ উপন্যাস রচিত হলেও ঔপন্যাসিকের দৃষ্টিভঙ্গি সমরৈখিক পরিলক্ষিত হয়েছে। সাধারণত আবু ইসহাকের উপন্যাসের মূল উপজীব্য অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম। টিকে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা। ফলে তাঁর উপন্যাসে এক ধরনের ব্যর্থ দ্রোহ-চেতনাও সক্রিয় হতে দেখা যায়। উপন্যাসটির নামেই বুঝা যায় যে এর বিষয়আশয় কী। পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চরের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-সংগ্রামের কথা আছে। আছে গোষ্ঠীর সংঘাত, খুন, হিংসা-বিদ্বেষ, স্বার্থপর মানুষের সম্পদের লোভ ইত্যাদি। যা আমাদের সেই শ্রেণীর মানুষদের অভ্যন্তরীণ জীবন, সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়া ইত্যাদি জানিয়ে দেয়। কী দারুণ অতলস্পর্শ কথামালাও আছে এই উপন্যাসটিতে। যেমন, ‘লাঠির জোরে মাটি, লাঠালাঠি কাটাকাটি, আদালতে হাঁটাহাঁটি, এই না হলে চরের মাটি, হয় কবে খাঁটি’। জরিনা, রূপজাল, ফজল, এরফান মাতবর, জঙ্গুরুলা প্রভৃতি এই উপন্যাসটিকে সক্রিয় করেছে। আমরা অনন্য এ কথাকারের কর্মজীবন সম্পর্কে জানতে গিয়ে এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও অভিজ্ঞতার ঝুড়ির সঙ্গে পরিচিত হই। কত্ত জায়গায় কর্মজীবন যাপিত। ভাগ্য বিড়ম্বনা, মধ্য বয়সে ডিগ্রী লাভ করা, জাতীয় নিরাপত্তা ইন্টেলিজেন্স এ চাকরি করা ইত্যাদি তাকে করেছিল অভিজ্ঞতা পুষ্ট। খুলনা অঞ্চলে এনএসআই এর উর্ধতন কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে নানা জালিয়াতি তিনি দেখেছিলেন ও ধরেছিলেন। তন্মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশের মুদ্রার নকল মুদ্রা তৈরি করা। সেই অভিজ্ঞতা থেকে লেখক রহস্যোপন্যাস ‘জাল’ লিখেন যা ১৯৮৮ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এখানেও তিনি চোরাকারবারিদের কার্যক্রম আর সেগুলো বন্ধে পুলিশের ভূমিকার এক চমৎকার জীবনঘনিষ্ঠ বর্ণনা দিয়েছেন। ভাষার ব্যবহারে তিনি যে শ্রেণীর যে ভাষা তাই ব্যবহার করেছেন। মেকীত্বমুক্ত গল্প আমরা পাই। নিরেট কথাশিল্পী আবু ইসহাক তাঁর গল্পে গ্রামীণ জীবনকে অধিক আলোকপাত করলেও শহুরে জীবন থাকেনি উপেক্ষিত। তাঁর দুটো গল্পগ্রন্থের ভেতর ‘বনমানুষ’, ‘প্রতিবিম্ব’, ‘বর্ণচোর’ ইত্যাদিতে ধারণ করেছে নাগরিক জীবনের প্রতিচ্ছবি। নাগরিক জীবনের শঠতা, সমস্যায় জর্জরিত থাকা, লুক্কায়িত ভ-ামি উন্মোচিত হয়েছে। ‘বনমানুষ’ গল্পে একজন নব্য চাকুরের সুখের হাতছানির শহর কলকাতার পটভূমি আলোচিত। এখানে চাকুরেটি সদ্য বনবিভাগের কর্মকর্তা পদ থেকে চাকরি অব্যাহতি দিয়েছেন। সুখের তরে নিজেকে কাগুজে বাবু সাজোনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে প্রথমদিন অফিসে যাবেন। অফিসে গমনের মাত্র একদিনের বর্ণনায় নাগরিক জীবনের উৎকট যন্ত্রণার পরিস্ফুটন। ইস্তারি করা শার্ট-প্যান্ট পরে চেহারার গ্লেস অক্ষত রেখে পাবলিক বাসে হাঙ্গামা সামলিয়ে ভাঁজহীন পরিচ্ছদে অফিসে প্রবেশ। সময়টি চরম উত্তাল দেশভাগের কাল। কী দাঙ্গা! বিপরীত ধর্মের মানুষদের অনায়াসেই পিষে দিয়ে পরম পুণ্য হাছিলের মনোবাঞ্ছা। অপরপক্ষে, এসব দুর্দমনীয় চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাক্সক্ষা ইত্যাদির থেকে একশ্রেণীর মানুষ নিজেদের সজ্ঞানে দূরে রাখতে সর্বোতভাবে সচেষ্ট। তাদেরই প্রতিনিধিত্ব চরিত্র ‘ঘুপচি গলির সুখ’ গল্পের হানিফ। ছাত্রাবস্থা থেকে তার পাস করার জন্য নম্বরই (৩৫) কামনা। আর পাস করা শেষে পাসের নম্বরের ন্যায়ই ৩৫ টাকার মাসান্তের চাকরি জুটলে সে মহাখুশি। সে নর্দমার পাশের একটি সরকারি ঘুপচি গলির কুঁড়েঘরে জীবন শুরু করে। বউকে মিশতে দেয় না বা জানতে দেয় না পদস্থা কর্মকর্তার সংসারের সঙ্গে। কেননা তাতে বেড়ে যাবে বউয়ের চাহিদা। ছেলে দু’টোকে ফ্রি স্কুলে পড়ায়। যাতে ওরা সম্পদশালীদের সন্তানের সঙ্গে না মেশে। মিশলে চাহিদা যাবে বেড়ে। এই গল্পটির চরিত্রটি সমাজের বৈসাম্যের প্রতি এক চরম স্যাটায়ার। স্যাটায়ার হলেও অনেক মানুষই তার ছেলে সন্তানদের বৃত্তবন্দী করে রাখে সচ্ছলতার বাতিক যেন তাদের ঘাড়ে না চাপে সেজন্য। জীবনের এক চরম সত্য দিক উন্মোচিত হয়েছে এ গল্পে। ‘উত্তরণ’ গল্পে শঠ, প্রতারকদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। গল্পটাকে প্রতীকী ধরলেও একজন গাভীমরা গোয়ালার শঠতার মাধ্যমে সমাজজীবনের মোড়লদের ঘৃণ্য কার্যকলাপের নিপুণ চিত্রায়ন। সরল বিশ্বাসের মানুষদের প্যাঁচে ফেলে ক্ষতি সাধনই হচ্ছে এই মোড়লদের একমাত্র কাজ। এ গল্পের মাধ্যমে সমাজ জীবনের অতলে ঘটমান প্রতারণার বিষদ বিবরণ পাই। একই ধাঁচের শঠতার ও নারীলোভের গল্প হচ্ছে ‘আবর্ত’। নিজের চাচা-ভাস্তের জন্য বউ দেখতে যেয়ে ভীমরতির কারণে ভাস্তের সঙ্গে করে এক চরম প্রতারণা। সমাজের লোলুপ শ্রেণীর স্কেচ বলা যায় গল্পটিকে। ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানবগোষ্ঠীর কুসংস্কারের অসারতা প্রমাণে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সমাজের মধ্যে এমন এক কুসংস্কার ছড়িয়ে ছিল যা সরল ও অন্ধবিশ্বাসের মানুষজনকে বুঝতে দিত না আসলেই চিলে কান নিয়ে গেছে কিনা? দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছে। চেতন নেই নিজের ভেতর। এছাড়াও নতুনত্বকে গ্রহণে সেসকল কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের ঘোর আপত্তি। বাপ-দাদারা যা করে গেছেন তাই বিনাবাক্য ব্যয়ে পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে ও পালন করে। যুগের কোন আবহাওয়া তাদের গায়ে লাগে না। তারা কূপম-ূক। তারা সত্যিকার ধর্মের ধার ধারে না। আসলে তারা প্রকৃত ধর্মভীরু বা ধর্মানুগত নয়। কেননা প্রকৃত ধর্মের প্রথম কথা হচ্ছে ‘জানো’। আর জানতে হলে পড়তে হবে। পড়লেই তো যুগের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ধর্মও আর থাকে না সেকেলে। হয়ে যায় সময়োপযোগী। ‘হারেম’ নামক গল্পগ্রন্থটির দশটি গল্পের মোট পাঁচটি গল্পই এই এলাকার মানুষের রক্তের সঙ্গে মিশে যাওয়া ধর্মীয় কুসংস্কার ও কূপম-ূকতার আলোকপাত এবং সেগুলোর অসারতা প্রমাণ। ‘দাদির নদীদর্শন’, ‘বোম্বাই হাজী’, ‘কানাভুলা’, ‘প্রতিষেধক’, ও ‘শয়তানের ঝাড়ু’ এই পাঁচটি গল্পতেই উপর্যুক্ত বিষয়টি সম্যকরূপে উপস্থাাপিত। এগুলো মূলত বিদ্রƒপের মাধ্যমে কুঠারাঘাত। আবু ইসহাক প্রতীকী গল্প লিখতে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। প্রকৃতিকে যে রকম যুদ্ধ আর ক্রমবর্ধমান নগরায়ন খেয়ে ফেলছে তাতে মনে হয় অব্যাহতি কাল পরেই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না কোন সবুজ জমিন বা অরণ্য। আরও গভীর উদ্বেগের বিষয় পৃথিবীর ফুসফুসখ্যাত আমাজনে চলছে ধ্বংসের মহড়া। দূরদর্শী গল্পকারের অভিধাও তাকে এক্ষেত্রে মানানসই পরিচয় দেয়। তাঁর বিখ্যাত প্রতীকী গল্প ‘মহাপতঙ্গ’। এখানে একজোড়া চড়ুই পাখির জবানিতে একদিকে বিজ্ঞানের আশীর্বাদ অন্যদিকে বিজ্ঞানের অভিশাপ ফুটে উঠেছে। গল্পকারের ভেতরে যে কাব্যিক রস ও ছন্দ থাকে তা আবু ইসহাকই প্রমাণ করে দিয়েছেন নিম্নের সংলাপ সৃষ্টি করে। ‘বারে বা, বড় পাখির বড় রং, আ-া পাড়ার দেখ ঢং।’ আবু ইসহাক তার গল্পের চরিত্রগুলোকে চিনতেন। শুধু চিনতেন বললে তা হয়ত খাটো হতে পারে। বলা যায় চরিত্রসমূহকে আত্মস্থা করেছিলেন। তাদের ভেতর দিয়ে চলেছেন হাজারবার। তাই তো মনে হয় তার শ্রেষ্ঠগল্প ‘জোঁক’ পাঠে। জোঁক গল্পটি আমরা কমবেশি সবাই পড়েছি। শোষকশ্রেণীর মুখোশ উন্মোচনই এই গল্পের মূল বিষয়। আছে শোষিতের বিদ্রোহের কথা। এখানে ভাতের ফেন খাওয়া, তামুক টানা আর সর্বোপরি পানিতে ডুব দিয়ে পাটকাটার যে বর্ণনা তা দৃষ্টে মনে হয় তিনিই সেই কৃষক ছিলেন। না হলে এই সূক্ষ্ম বর্ণনা দিলেন কিভাবে। প্রকৃত বিষয় তিনি একজন জাত গল্পকার। গল্পের চরিত্রের গহীনে প্রবেশ করতেন তিনি। কথা বলতেন জড়তাহীন। প্রবহমান নদীর পানি যেন তার গল্পের সংলাপ। তিনি গল্প বা সৃজনকর্মকে গভীর বোধের বিষয়বস্তু ভাবতেন। বিশ্বাস করতেন এই সৃষ্টিতে যদি লেখকের চিন্তা ও গবেষণার প্রয়োগ না থাকে তবে তা মানোত্তীর্ণ হবে না। কলকাতা থেকে ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত শ্রীশৌরীন্দ্রকুমার ঘোষ এবং শ্রীপরেশ সাহা সম্পাদিত কথাশিল্পী গ্রন্থ আত্মজৈবনীকে আবু ইসহাক লিখেছেন, ‘সাহিত্য সমাজ-জীবনের ‘আয়না’ই শুধু নয় ‘এক্স-রে’ ফিল্মও বটে, কিন্তু লেখায় তাকে রূপ দিতে হ’লে লেখকের থাকা চাই গভীর অনুভূতি, জীবন-নিষ্ঠা, সত্য-সন্ধানী মন, অনাচ্ছন্ন ও অবাধ দৃষ্টি।’
×