ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এসএ গেমসের সাফল্য

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

এসএ গেমসের সাফল্য

দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের ১৩তম আসরের যবনিকাপাত হয়েছে ১০ ডিসেম্বর নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে। এই আসরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। নিজেদের অবস্থানে সেরা খেলাটি উপহার দিয়ে প্রতিযোগিতায় স্থান করে নেয় পঞ্চমে। নেপালের পাহাড়ঘেরা দশরথ রঙ্গমঞ্চটি খেলোয়াড়দের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের এক অবর্ণনীয় সুযোগ এনে দেয়। দুর্দান্ত প্রতিযোগিতামূলক প্রায় সব খেলায় বাংলাদেশী খেলোয়াড়রা নিজেদের অবস্থান অনেকটাই শক্ত করে নেয়। ৭টি দেশের মধ্যে ৫ম স্থান অর্জনে সীমাবদ্ধ রাখলেও কিছু জায়গায় কৃতিত্বের ভাগিদার হয় বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন ভারত স্বর্ণ ও রৌপ্যপদকে অনেক বেশি এগিয়ে থাকলেও ব্রোঞ্জপদকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্বাগতিক নেপালের চাইতে প্রায় অর্ধেক পিছিয়ে থাকে। ভারত ১৭৪টি স্বর্ণ, ৯৩টি রৌপ্য এবং ৪৫টি ব্রোঞ্জপদক নিয়ে ১৩তম আসরের সেরা বিবেচিত হয়। আয়োজক নেপাল ৫১টি স্বর্ণ, ৬০টি রৌপ্য আর ৯৫টি ব্রোঞ্জপদক নিয়ে দ্বিতীয় সেরা হিসেবে নিজেদের তুলে ধরে। শ্রীলঙ্কা ৩য় আর পাকিস্তান চতুর্থ হলে বাংলাদেশের অবস্থান হয় পঞ্চম। তার পরেও এই অর্জন এ পর্যন্ত সেরা প্রাপ্তি। বাংলাদেশের সাফল্যের প্রধান জায়গাটি আর্চারি। এখানে দশটি ইভেন্টে বাংলাদেশ অসাধারণ পারদর্শিতায় সবকটিতে স্বর্ণ লাভ করে। এটা পুরো আসরের দেশটির অভাবনীয় সাফল্য। কারাতে পেয়েছে ৩টি সোনা। ভারোত্তোলন থেকে আসে ২টি স্বর্ণপদক। বাংলাদেশ পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট দল আকাক্সিক্ষত দুটো সোনা নিজেদের অর্জনে যোগ করে। শেষ অবধি স্বর্ণ বিজয় গড়ায় ১৯টিতে। রুপায় পদক আসে ৩৩টি আর ব্রোঞ্জে ৯০টি। ব্রোঞ্জে বাংলাদেশ মূলত ৩য় স্থানে। নিজেদের সেরাটা উপহার দিয়ে যে কৃতিত্ব দেখালেন খেলোয়াড়রা তার জন্য আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। তবে কোন প্রাপ্তিই সর্বশেষ গন্তব্য নয়। আরও অনেক সম্ভাবনাময় পথ পাড়ি দিতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য, সহনশীল মনোভাবে নিজেদের ক্ষমতাকে বাড়ানো এবং আরও উন্নতমানের প্রশিক্ষণ নেয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে খেলোয়াড়দের অভিনন্দিত করেছেন। নেপালের উচ্চতায় বাংলাদেশের কতিপয় খেলোয়াড়কে অসুস্থ ও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। দুর্গম পাহাড়ী এলাকাকে সহজগামিতায় নিতে গেলে আরও উন্নতমানের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে। তাহলে যে কোন দেশে বিরূপ পরিবেশে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে তেমন অসুবিধা হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এসব বিষয় আমলে নিতে হবে। দক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেদের যোগ্যতম করতে পরিবেশ-পরিস্থিতিকেও জয় করা এক ধরনের পারদর্শিতা। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই সচেতন দায়দ্ধতায় খেলোয়াড়দের প্রতি আরও বেশি মনযোগী হবেন। যেটুকু সাফল্য এসেছে সবটাই খেলোয়াড়দের প্রাপ্য।
×