নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) ॥ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবৈধ কালো তেলের ডিপোতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ডিপো সংলগ্ন তিন শিশু শ্বাসকষ্ট রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত গতিতে ঘটনাস্থলে যাওয়ায় প্রানে রক্ষা পায় পাঁচ শত পরিবার ও তাদের মূল্যাবান সম্পদ।আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের সালেহ কাপেট্ এলাকায় সালাম চৌধুরীর ডিপোতে এ আগুনের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়ন সালেহ্ কাপের্ট ঘন বসতি এলাকায় স্থানীয় সালাম চৌধুরী প্রায় বিশ ফুট উচ্চতার টিনের ঘেরা দিয়ে এবং পজ্ঞাশ ফুট উপরে বিষাক্ত কালো দূয়ার চুঙ্গি বসিয়ে কালো তেলের কারখানা গড়ে তুলে। প্রতি রাতে এই ডিপোতে পুরাতন জাহাজের ফেলে দেওয়া তেলগুলো এনে রাতভর বিভিন্ন মেডিসিন দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রিপারিং করে। আর এ ডিপোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় আশে-পাশে এলাকাবাসি ও শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্তান্ত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোরে তেল রিপারিং করার সময় আগুন লেগে যায়। সাথে সাথে আগুনের লেলিহান শিখা দ্বিক-বিদ্বিক ছুড়াছড়ি করে। এ সময় স্থানীয়রা আতংকিত হয়ে পড়ে। তবে ফায়ার সার্ভিস ঘটনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসলে স্থানীয় প্রায় পাঁচশত পরিবার প্রাণে রক্ষা পায় এবং মূল্যাবান জিনিসপত্র। ঘন বসতি এলাকায় বিপদজনক এই কালো তেলের ডিপোর বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর প্রশাসন সিলগালা করে দেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে মাস না যেতেই এই অবৈধ কালো তেলের ডিপো শুরু হয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপো সংলগ্ন রেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘প্রশাসন এসে কয়েকবার এই অবৈধ ডিপো বন্ধ করে দিয়েছে, কিন্তু কেন আবার শুরু হয় আমরা জানি না। ডিপোর পাশে বাড়ি হওয়ায় আমরা সারাক্ষণ আতংকে থাকি। বিষাক্ত দুয়াই আমরা ভাইয়ের তিন ছেলে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আমরা এই অবৈধ ডিপোর স্থায়ী উচ্ছেদ পরবর্তী বন্ধ ছাই।
সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ায় ডিপোর আশে-পাশে প্রায় পাঁচশত পরিবারকে রক্ষা করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, ‘আমি শুনেছি এর আগেও ডিপোটি বন্ধ করেছিল প্রশাসন। আগুনের বিষয়টি আমি শুনেছি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আইনগত ব্যবস্থা নিব।’
