ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নতুন দেশ পেল বিশ্ব

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯

নতুন দেশ পেল বিশ্ব

পাপুয়া নিউগিনি (পিএনজি) থেকে বিচ্ছিন্ন হতে স্বাধীনতার পক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বোগেনভিলে দ্বীপে। গণভোটের ফলাফলে বিশ্বের নবীন স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে সাধারণ জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন; যা দ্বীপটির স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার বোগেইনভিলে গণভোট কমিশনের চেয়ারম্যান বার্টি আহারণ নির্বাচনী ফল ঘোষণা করেছেন। এতে দেখা গেছে, দ্বীপের এক লাখ ৮১ হাজার ৬৭ ভোটারের মধ্যে স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৯৮ শতাংশ ভোটার। অন্যদিকে, অধিক স্বায়ত্তশাসন নিয়ে পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ৪৩ জন ভোটার। বোগেইনভিলের স্বাধীনতার জন্য গণভোটের এই ফল এখন পাপুয়া নিউ গিনির পার্লামেন্টে পাস করতে হবে। ঐতিহাসিক গণভোট বোগেইনভিলের বিদ্রোহী যোদ্ধা, পাপুয়া নিউ গিনির সরকারী বাহিনী ও বিদেশী যোদ্ধাদের সংঘাত সংঘর্ষের পর ২০০১ সালে স্বাক্ষরিত একটি শান্তি চুক্তির অংশ। এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশটিতে ত্রিমুখী ওই সংঘাতে দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ অর্থাৎ ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৯৮ সালে এই সংঘাতের অবসানের পর ২০০১ সালে ওই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বোগেইনভিলের বুকা দ্বীপে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গণভোট কমিশনের চেয়ারম্যান বার্টি আহারণ সব পক্ষকে নির্বাচনী ফল মেনে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেখানকার বাসিন্দাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই ভোট আপনার শান্তি, আপনার ইতিহাস এবং আপনার ভবিষ্যত। অস্ত্রেও চেয়ে যে কলম শক্তিশালী সেটা এই ভোট দেখিয়েছে। গন্তব্যের উদ্দেশে চলমান যাত্রার একটি অংশ এই গণভোট। ২৩ নবেম্বর বোগেইনভিলের স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় দ্বীপজুড়ে বোগেইনভিলের পতাকা হাতে হাজারও মানুষ ভোটকেন্দ্রে যান এবং স্বাধীনতার পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। -আলজাজিরা
×