অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগের তিন দিনের পতন কাটিয়ে বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের সামান্য উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রায় ৪৭ শতাংশ বা ১৬৫টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনও কমেছে। সূচক বাড়লেও গত চার কার্যদিবসে সেখানে ১৯৬ পয়েন্ট সূচকের পতন ঘটেছিল, সেখানে বুধবারে বেড়েছে মাত্র পয়েন্ট।
দেখা গেছে, বুধবারে সকাল থেকেই সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা ছিল। মাঝখানে কিছু সময়ের জন্য সূচকের নেতিবাচক ভাব বজায় ছিল। কিন্তু ব্যাংক খাত ও বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জ সুরমার দরবৃদ্ধিতে সূচক কিছুটা ইতিবাচক ছিল। সূচকের ইতিবাচক প্রবণতার দিনে ডিএসইতে বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর দর বেড়েছে। এর আগে সপ্তাহে ডিএসইতে বীমা খাতের প্রায় সব কোম্পানির অস্বাভাবিকভাবে দর হারিয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৫১২ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৫২ পয়েন্টে। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৯৪ কোটি ২১ লাখ টাকার। যা গত কার্যদিবস থেকে ১১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কম। মঙ্গলবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩০৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ডিএসইতে ৩৫১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১৬৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৭২৭ পয়েন্টে। সিএসইতে টাকার অংকে ২৩ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
