স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ আড়াইহাজারে দুটি যাত্রীবাহী বাসের প্রতিযোগিতায় একটি বাস থেকে ছিটকে মহাসড়কে পড়ে একই বাসের চাপায় মা ও তার শিশুপুত্র নিহত হয়েছে। নিহতরা হলো- মা মানছুরা আক্তার (২৫) ও তার শিশুপুত্র আসিব (৪)।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাতগ্রামের শিমুলতলী এলাকায়। নিহত মানছুরা আক্তার রূপগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল এলাকার জাহাঙ্গীরের স্ত্রী।
জানা গেছে, নরসিংদী থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস যোগে মানছুরা আক্তার ও তার শিশুপুত্র আসিফকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় তাদের বহনকৃত বাসটি অপর একটি বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। এদিকে মা তার শিশুপুত্রকে নিয়ে কান্দাইল বাসস্ট্যান্ডে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
কিন্তু ওই বাসটি আড়াইহাজার উপজেলার শিমুলতলী এলাকায় পৌঁছলে বাসের দরজায় থাকা মা ও তার শিশুপুত্রকে নিয়ে ছিটকে মহাসড়কে পড়ে যান। এ সময় একই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মা ও তার শিশুপুত্র নিহত হয়। পরে ঘাতক বাসটি কিছুদূর দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে পড়ে থাকে। তবে এতে যাত্রীরা কেউ হতাহত হয়নি।
ঘটনার পর পর চালক পালিয়ে যায়। পরে পুুলিশ গিয়ে ঘাতক বাসটি আটক করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে।
গাজীপুরে মা-মেয়েসহ তিন জন
স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় অপর দুই নারী আহত হয়েছে। হতাহতরা সবাই অটোরিক্সার আরোহী ছিলেন। নিহতরা হলেন- কাপাসিয়া উপজেলার গাওড়া এলাকার কাজীবাড়ীর শামসুল হক কাজীর স্ত্রী হেনা বেগম (৪০) ও তাদের মেয়ে মনসুরা বেগম (১০) এবং শ্রীপুর উপজেলার বরমী এলাকার জগদীশ চন্দ্র বর্মণের ছেলে জীবন বর্মণ (৪০)।
কাপাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, কাপাসিয়া সদর থেকে স¤্রাট পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস বুধবার সন্ধ্যায় খিরাটি যাচ্ছিল। বাসটি কাপাসিয়া-খিরাটি-মনোহরদী সড়কের কাপাসিয়ার চালাবাজার এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি চালিত একটি অটোরিক্সার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিক্সার তিন আরোহী হেনা, মনসুরা ও জীবন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
এ ঘটনায় সাপনী বেগম (৪০) ও নিহত জীবনের ভাগ্নি কলেজ ছাত্রী রিয়া রানী বর্মণ (২০) আহত হয়। দুর্ঘটনায় অটোরিক্সাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দু’টি আটক করেছে। তবে দুর্ঘটনার পরপরই গাড়িগুলোর চালক পালিয়ে গেছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রাজশাহীতে সাইকেল আরোহী
স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, রাজশাহী নগরীর সিটি বাইপাশ এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার নাম রাকিবুল ইসলাম (১৭)। তিনি পবার দারুশা এলাকার ডায়িংপাড়া গ্রামের সাহিদুলের ছেলে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাকিবুল বাইসাইকেলযোগে নগরীর আমচত্বরের দিকে আসছিলেন।
এ সময় সামনের ট্রাককে পেছনের একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাকিবুলকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রাকিবুল। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত রাকিবুল রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
কচুয়ায় শিশু
নিজস্ব সংবাদদাতা কচুয়া, চাঁদপুর থেকে জানান, বাসচাপায় আরাফাত নামের ৪ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কচুয়া-কাশিমপুর সড়কের মনপুরা এলাকায় ঢাকাগামী সুরমা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস শিশু আরাফাতকে রাস্তা পারাপারের সময় চাপা দেয়।
স্থানীয়রা এ সময় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় শিশু আরাফাতকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
চট্টগ্রামে যুবক
স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকায় চলন্ত বাস থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইসমাইল হোসেন (২৫) সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা। বাসে দুই মেয়েকে হয়রানির পর যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে পালিয়ে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, সাতকানিয়ার পশ্চিম ডলু গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল চট্টগ্রাম শহর অভিমুখী একটি বাসে উঠেছিল পটিয়া থেকে। ওই বাসে যাত্রী ছিলেন দুই মেয়ে, যারা সহোদর বোন।
ইসমাইল বসেছিল এই দুবোনের পেছনের আসনে। বার বার সে সামনের সিটের মাঝখানের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ওই দুইবোনের শরীর স্পর্শ করছিল।
বিষয়টি বাস যাত্রীদের জানানো হলে কোন একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশকে অবহিত করে। কয়েক যাত্রী উঠে গিয়ে ইসমাইলকে ধরেও ফেলে। বাসটি কর্ণফুলী সেতুতে ওঠার সময় হঠাৎ করে ইসমাইল লাফ দিয়ে পড়ে যায়। এরপর পেছনের চাকায় পিস্ট হয়ে তার মৃত্যু ঘটে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: