ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী আসর পাকিস্তানে, ২০২২ সালে

কাঠমান্ডুতে পর্দা নামল এসএ গেমসের

প্রকাশিত: ১২:২৪, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

কাঠমান্ডুতে পর্দা নামল এসএ গেমসের

স্পোর্টস রিপোর্টার, কাঠমান্ডু, নেপাল থেকে ॥ নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি স্বর্ণজয়, ফুটবলে ভুটানকে ২-১ গোলে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো স্বর্ণজয় (এর আগে শিরোপাজয় ১৯৮৪, ১৯৯৩ ও ২০১৬ সালে), সঙ্গে আরও অনেক অর্জন নিয়ে স্বাগতিক নেপাল এবারের এসএ গেমসে নিজেদের নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। ফুটবলে স্বাগতিকদের স্বর্ণ জেতার মধ্য দিয়েই শেষ হলো এবারের এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসর। ফুটবলে বাংলাদেশ দল তাম্রপদক পুরস্কার গ্রহণ করার পরেই শুরু হয় গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠান। গত ১ ডিসেম্বর পর্দা উঠেছিল দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া আসরের। সেদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল লেজার শোর মাধ্যমে ডিসিপ্লিনগুলো ফুটিয়ে তোলা। মঙ্গলবার সমাপনী অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ১৫০টি ড্রোন। এগুলো উড়ে বেড়িয়েছে দশরথের রঙ্গশালা স্টেডিয়ামের ওপর দিয়ে। গেমসের প্রায় সব ডিসিপ্লিনের ফাইনাল শেষ হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। মঙ্গলবার ফুটবল, জুডো, স্কোয়াশ ও বাস্কেটবলের ফাইনাল ছিল। সবার পরে শেষ হয় ফুটবল, যাতে স্বর্ণ জেতে নেপাল। স্বাগতিক দল ফাইনালে ওঠায় স্থানীয় নেপালীদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর আমেজ। টিকেটের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল পরিপূর্ণ। তবে টিকেটের দাম বাড়ানো নিয়ে প্রতিবাদ করছিলেন সমর্থকরা। সাংবাদিকরা সেটা কভার করছিলেন। এক নেপালী সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করে নেপালী পুলিশ। নেপালী সাংবাদিকরা গেমস কাভার বর্জনের হুমকি দেয় পুলিশ ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত। ফুটবল ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সমাপনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। উদ্বোধনের মতো অবশ্য এদিন খুব বেশি সাংস্কৃতিক কাজ ছিল না। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক নৈপুণ্য প্রদর্শন করে। মাঝেমধ্যে চলেছে গেমসের আনুষ্ঠানিকতাও। পরবর্তী গেমসের আয়োজক পাকিস্তানের হাতে পতাকা হস্তান্তর করেন নেপালের অলিম্পিকের কর্তাব্যক্তিরা। গেমসের মশাল নেভানো হয়। সমাপনীতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এ্যাথলেট মার্চ পাস্টে অংশগ্রহণ করেন। নেপাল অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জীবন রাম শ্রেষ্ঠা সবাইকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি অসুস্থ থাকায় সমাপনী অনুষ্ঠানে না আসলেও তার বক্তব্য ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এছাড়া নেপালের ক্রীড়ামন্ত্রী ও আয়োজকরা সংক্ষিপ্ত আকারে বক্তব্য দেন। ভারত দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েও পদক তালিকায় শীর্ষে থেকে আসর শেষ করেছে। নেপাল প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় স্থানে। বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সংখ্যক পদক জিতেও পাঁচে। মোট পদকসংখ্যায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে বেশি থাকলেও স্বর্ণ কম হওয়ায় টেবিলে অবস্থান নিচে। চোখ ধাঁধানো আতশবাজির মধ্য দিয়ে পর্দা নামে ত্রয়োদশ এসএ গেমসের। এর আগে নেপাল ১৯৮৪ ও ১৯৯৯ সালে এসএ গেমসের আয়োজক ছিল। পরবর্তী গেমস অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে, ২০২২ সালে।
×