ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মান্দায় গ্রাহকের ১০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

প্রকাশিত: ০৯:১২, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

মান্দায় গ্রাহকের ১০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১০ ডিসেম্বর ॥ মান্দায় গ্রাহকের ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতের আঁধারে উধাও হয়েছে যমুনা ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারী সংস্থা। মঙ্গলবার সকালে গ্রাহকরা ঋণ নিতে এসে সংস্থার কাউকে না পেয়ে হৈ চৈ শুরু করলে ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে পড়ে। উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের বৈদ্যপুর বাজারের এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, যমুনা ফাউন্ডেশন নামে ওই সংস্থার তিনজন মাঠকর্মী ও একজন ব্যবস্থাপক পরিচয়ে গত কয়েকদিন ধরে সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে। এ সময় মাসিক কিস্তিতে ঋণ দেয়ার কথা বলে গ্রাহকের নিকট থেকে আমানতের টাকা সংগ্রহ করে সংস্থার কর্মীরা। গ্রাহকরা আরও জানান, ১০ হাজার টাকা ঋণের বিপরীতে তাদের নিকট থেকে জামানত নেয়া হয়েছে ১ হাজার টাকা করে। স্থানীয়রা জানান, গত রবিবার বৈদ্যপুর বাজারের এনামুল হকের বাড়ি ভাড়া নিয়ে সংস্থার কার্যক্রম শুরু করেন উধাও হওয়া ৪ ব্যক্তি। এ সময় তারা ওই বাসায় ‘যমুনা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেন। এতে ওই সংস্থার রেজিঃ নম্বর উল্লেখ ছিল ঢ-০০৮২০/৯৮। উপজেলার জামদই গ্রামের মমতাজ হোসেন জানান, আড়াই লাখ টাকা ঋণ দেয়ার শর্তে আমার নিকট থেকে তারা ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। মঙ্গলবার সকালে আমাকে ঋণের আড়াই লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল। সকালে এসে দেখি অফিস খোলা রয়েছে। কিন্তু সংস্থার কাউকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী সেতাবুল ইসলাম, লালবানু বিবি, সোহেল রানা, হাজেরা বিবিসহ আরও অনেকে জানান, ভালাইন ইউনিয়নের তুড়ুকগ্রাম, গাংতা, চুকাইনগর, জামদই, চকজামদই, ভালাইন, বনতোসরসহ ৮-১০টি গ্রামের শতাধিক গ্রাহকের নিকট থেকে যমুনা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মী পরিচয়দানকারী ব্যক্তিরা ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে। বাড়ির মালিক এনামুল হক জানান, মাসিক ৬ হাজার টাকা চুক্তিতে যমুনা ফাউন্ডেশনের লোকজন আমার বাসার নিচতলার দুটি কক্ষ ভাড়া নেন। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্থাটির উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। উদ্বোধন শেষে তাদের সঙ্গে চুক্তিনামা সম্পাদনসহ যাবতীয় তথ্য দিতে চেয়েছিলেন তারা।
×