জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২০ সালে ফাইভ-জি জগতে পা দেবে বাংলাদেশ। আর এটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সাত সদস্যের এক মার্কিন বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতের পথ ফাইভ-জিকে শুধু কথা বলা বা ব্রাউজ করা প্রযুক্তি হিসেবে দেখা হয় না, এটিকে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক বলা হয়। ফাইভ-জি শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে অভাবনীয় ভূমিকা পালন করবে। ফাইভ-জির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফাইভ-জি সম্প্রসারণে ইতোমধ্যে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে সারাদেশে সম্প্রসারণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি ডিজিটাল মেলায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে ফাইভ-জি লাইভ দেখান হবে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই ফাইভ-জি পরীক্ষামূলক দেখানো হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে এ ধরনের আলোচনা এই প্রথম উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন কোম্পানির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে অনেক সময় আমাদের চ্যালেঞ্জে ফেলছে, সে বিষয়টি তাদের অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টিকে তারাও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নুর-উর-রহমান, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মোহসিনুল আলম, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাইবার বিশেষজ্ঞ জন পিলেটিস, লিসা জি এবং ড্যানিয়েল লারসনসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। ফাইভ-জির রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শহিদুল আলম। সাইবার নিরাপত্তার বিষয় উপস্থাপনা করেন সাইবার থ্রেট ডিটেকশন এ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ গোলাম সারোয়ার।
