ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইনোভেটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি ২০১৯’ শীর্ষক সম্মেলনে শ্রেষ্ঠ গবেষণার জন্য এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহমেদ কাওছার। তিনি নোবিপ্রবির ফলিত গণিত বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
প্রযুক্তির উদ্ভাবন বিষয়ক আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের আয়োজন করে ‘এলসেভার বা স্কোপাস এবং রিসার্চ সোসাইটি’। সম্মেলনে কাওছার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। তিনি ‘ডিপ নিউরাল নেটওয়ার্ক ও অপটিমিজম’-এর ওপর নতুন এলগরিদম (গাণিতিক পরিভাষা) নিয়ে কাজ করেন। যেটি বেস্ট রিসার্চ পেপারের এ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আইইই সম্মেলনে কম্পিউটার ভিশনের ওপর গবেষণার জন্য শ্রেষ্ঠ গবেষকের এ্যাওয়ার্ড পান কাওছার। এই সম্মেলনে তিনি কম্পিউটার ভিশন এবং অটোমেটেড প্রসেসের ওপর গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন, যা ক্রিকেট খেলায় আম্পায়ারের কাজ করবে। তার এই সাফল্যের পেছনের গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে আমার ভাই আহমেদ মুবিন। যে আমার প্রতিটি প্রবলেমকে নিজের প্রবলেম হিসেবে নেই। আর দু’জন মানুষের কথা ভুলব না তারা হচ্ছে সাগর ভাই ও শরীফ ভাই। যাদের হাত ধরে সেকেন্ড ইয়ারে আমার প্রোগ্রামিং এর যাত্রা শুরু।’
আহমেদ কাওছারের ভাল লাগার বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে মেশিং লার্নিং, ডিপ লার্নিং, ঘখচ, গধঃযবসধঃরপং, ঝঃধঃরংঃরপং এসব কাজ করতে ভাল লাগে, আর মাঝে মাঝে কোডিং কনটেস্ট করি যদিও আগের মতো করা হয় না।
তিনি তার নিজের আবিষ্কার নিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথম ইখঞক-এর পাইথন মডিউল আমি ডেবেলপ করেছি। যেটি দিয়ে আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষাকে কম্পিটশনালে এনাবল করবে যার ফলে যে কোন অও ংুংঃবস বাংলাতে ভিল্ড করা যাবে রোবট রা বাংলাতে কথা বলতে পারবে, মেশিন বাংলা বুঝবে যেমন আমাদের বেশ কিছু বাংলা চ্যাট বট আছে তার মধ্যে একটি ইধংরং ওঈঞ ধধিৎফ-এর প্রথম রাউন্ডে সিলেক্টেড। বাংলা ভাষার জন্য এইটি করে আমি ধন্য মনে করছি নিজেকে। নিজের ডেভেলপ করা বেশ কিছু এলগরিদম এই টুলে ইউস করা হয়েছে। তাছাড়া বিজনেজ বা যে কোন কম্পিটিশন এনালাইসিস করার জন্য আমার নিজের ডেভেলপ করা মেশিং লার্নিং ্ ম্যাথমেটিকাল এলগরিদম আছে। তা ছাড়া আরও বেশ কিছু মডেল আছে।’
এ ছাড়াও কাওছার স্প্রিঙ্গারের আয়োজিত সম্মেলনে শ্রেষ্ঠ গবেষক এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এবং ওই সম্মেলনে তিনি নতুন একটি এলগরিদমের ওপর গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। এর সাহায্যে নিউমেরিকল ইন্টারপোলেশন মেথডকে রিগ্রেশনের (পশ্চাৎগতি) কাজে ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ টুল কিট ডেভেলপ করেছেন, যেটি রবি আর ডেঞ্জার ২.০ তে ইনভেস্ট পাওয়ার বিজয়ী হয়েছিল।
বর্তমানে তিনি ইম্প্যাক্ট লার্নিং নামে একটি নতুন মেশিন লার্নিং এলগরিদম নিয়ে কাজ করছেন। এ পর্যন্ত তার ১৭টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ্যান্ড এ্যাপ্লায়েড কম্পিউটিংয়ের ওপর এমএসসি করার জন্য কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ স্কলারশিপ পেয়েছেন, বর্তমানে এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। তার স্বপ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ কে ধৎঃরভরপরধষ রহঃবষষরমবহপব দিয়ে আরও ডিজিটালাইজ করা।
শীর্ষ সংবাদ: