ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯

রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ২০ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৮৫ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। এই সময়ে শুল্ক-কর আদায় হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে ঘাটতি হয়েছে ২০ হাজার ২২০ কোটি টাকা। যদিও চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে এনবিআরকে সার্বিকভাবে প্রায় ৪৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। বিশেষ করে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি আশানরূপ হয়নি। এদিকে চলতি অর্থবছর থেকে নতুন ভ্যাট আইন চালু হয়েছে। ভ্যাট আদায়ের গতি বাড়াতে আজ থেকে ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ’ পালন করবে সরকার। জানা যায়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ১৯ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আদায় করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বাজেটে। এছাড়া আমদানি শুল্ক থেকে ৩৬ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৪৮ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক থেকে ৫৪ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ২ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৮৫ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। এই সময়ে শুল্ক-কর আদায় হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে ঘাটতি হয়েছে ২০ হাজার ২২০ কোটি টাকা। জুলাই-অক্টোবর সময়ে ভ্যাট আদায়ে লক্ষ্যের চেয়ে ঘাটতি হয়েছে ৮ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। এ খাতে আদায় হয়েছে ২৪ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা, লক্ষ্য ছিল ৩৩ হাজার ১০ কোটি টাকা। তবে চার মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশের কিছুটা বেশি। প্রথম তিন মাসে অবশ্য নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। নতুন আইনে ইবিআইএন ছাড়া ভ্যাট দেওয়া যায় না। কিন্তু ওয়েবসাইটে গিয়ে এই নিবন্ধন নিতে পারছেন না অনেক ইবিআইএন প্রত্যাশী। ইবিআইএন পেতে অনেককে ভ্যাট কার্যালয়ে যেতে হচ্ছে। ভ্যাট দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনো ব্যবসায়ীরা রপ্ত করতে পারেননি। নানা বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে এনবিআরের কাছে।
×