ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যাশিত জয়ে ক্রিকেটের ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রত্যাশিত জয়ে ক্রিকেটের ফাইনালে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার, কাঠমান্ডু, নেপাল থেকে ॥ জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। শনিবার সেই প্রত্যাশিত জয়ই কুড়িয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় অ-২৩ ক্রিকেট দল। এসএ গেমসের পুরুষ ক্রিকেটে তারা ৪৪ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক নেপালকে। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে নাম লেখানো নিশ্চিত করে ফেলল লাল-সবুজ বাহিনী। শনিবার কীর্তিপুরে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে গ্রুপ পর্বে অনায়াস জয়ে স্বর্ণ জয়ের মঞ্চে পৌঁছে যায় সৌম্যরা। আগামী সোমবার ফাইনালের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে তারা। তার আগে আজ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দুই ফাইনালিস্ট একে অপরের মুখোমুখি হয়ে নিজেদের শক্তি পরখ করে নেবে। গতকাল আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে সংগ্রহ করেছিল ১৫৫ রান। জবাবে ৯ উইকেটে ১১১ রানেই থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। ৪৪ রানের জয় পায় লাল-সবুজরা। ব্যাট হাতে ৭৫ রান করায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার জয় করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টস হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। স্বাগতিক বোলারদের চাপে শুরু থেকেই উইকেট হারায় অতিথিরা। দলীয় ১৬ রানেই টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে লাল-সবুজরা। আগের দিন হাফসেঞ্চুরি করা সৌম্য সরকার ৬ রানে ফেরেন সাজঘরে। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম (৬) ও সাইফ হাসান (০) রানে আউট হন। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে দলকে কিছুটা সামনের দিকে নিয়ে যান অধিনায়ক শান্ত। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ধীরে ধীরে রান বাড়তে থাকে। ৪৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পর ইয়াসির আলী (১৬) প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বোহারার বলে আউট হয়ে। এরপর মাঠে নামা আফিফ হোসেন যোগ্য সঙ্গ দেন শান্তকে। তাদের দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৫ রান। অধিনায়ক শান্ত ৭৫ রানে ছিলেন অপরাজিত। ৬০ বলে চার বাউন্ডারি ও সমান ওভার বাউন্ডারি দিয়ে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। আর আফিফ ৫২ রান করে ২৮ বলের খরচায়। তার ইনিংসে ৬ চার ও এক ছক্কা ছিল। নেপালের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন পরশ খাড়কা। এছাড়া দিপেন্দ্র সিং আইরি নেন ২টি উইকেট। ১৫৬ রানে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে অনভিজ্ঞ নেপাল। সৌম্য-মেহেদীদের বলে খেই হারিয়ে ফেলেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। ১৪ রান স্কোর বোর্ডে জমা করতে গিয়েই হারায় ৩ উইকেট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন অধিনায়ক জ্ঞানেন্দ মাল্লা। দিপেন্দ্র আইরি ১৬ বলে ১৩ এবং অবিনাশ বোহরা ১০ বলে ১৩ রান করেছেন। বাকি কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন তানভীর ইসলাম, সুমন খান, সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান।
×