ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আশা জাগিয়েও আক্ষেপের রৌপ্য দিশা-বাকীর

প্রকাশিত: ১১:৫২, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

আশা জাগিয়েও আক্ষেপের রৌপ্য দিশা-বাকীর

স্পোর্টস রিপোর্টার, কাঠমান্ডু, নেপাল থেকে ॥ শনিবারের শীতার্ত সকাল। ১০ মিটার রাইফেল মিক্সড টিম ইভেন্ট। ফাইনালে লড়ছে বাংলাদেশ বনাম ভারত। এই ইভেন্টে দুই দেশের চার শূটারকে মারতে হয় মোট ১৬ রাউন্ডে দুটি করে মোট ৩২ শট। যে দল সবার আগে ১৬ পয়েন্ট অর্জন করবে, তারাই জিতে যাবে। বাংলাদেশের শুরুটা হলো হার দিয়ে। প্রথম রাউন্ডে তারা পিছিয়ে পড়ে ০-২ পয়েন্টে। তারপর ২-২ এ সমতা। পঞ্চম রাউন্ডে ৬-৪ পয়েন্টে এগিয়েও যায় লাল-সবুজরা। পরের রাউন্ডেই আবারও সমতা ৭-৭ এ। চতুর্দশ রাউন্ডেই শেষ হয়ে গেল খেলা। দুই রাউন্ড বাকি থাকতেই ১৭ পয়েন্ট পেয়ে স্বর্ণ পদক নিশ্চিত করে ফেললেন ভারতের মেহুলি ঘোষ এবং ভারদান। ৯ পয়েন্টেই আটকে থেকে রৌপ্য জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো আব্দুল্লাহ হেল বাকী ও সৈয়দ আতকিয়া হাসান দিশাকে। এবারের এসএ গেমসে অনেক প্রত্যাশা ছিল বাকীকে নিয়ে। নিজের প্রিয় ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতে হতাশ করেছিলেন। দিশা এবং তার মিক্সড ইভেন্টের দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। কিন্তু এবারও পারেননি বাকী। পুরো খেলায় দিশাই তার চেয়ে অনেক ভাল শূট করেছেন। বলা যায় বাকীর কারণেই স্বর্ণ বঞ্চিত হলেন দিশা! খেলা শেষে বাকী বলেন, ‘আসলে নিজের প্রতি মনযোগী ছিলাম। কীভাবে পারফেক্ট শট মারা যায়, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই চেষ্টাই করেছিলাম। বাইরে কী হচ্ছিল না হচ্ছিল এসব দিকে খেয়াল ছিল না। নিজের মতো করেই খেলার চেষ্টা করেছি। আসলে শেষদিকে কিছুটা নাভার্স হয়ে পড়ি। বলতে পারেন ফাইনালের টেম্পারমেন্টটা নিতে পারিনি। এটার জন্য আমাকে কাজ করতে হবে।’ অনেক দিন ধরেই শূটিং খেলছেন বাকী। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এই দিশার সঙ্গে জুটি বেঁধেই আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত সলিডারিটি চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জিতেছিলেন। সেই বাকীই কি না এখন বলছেন ফাইনালের টেম্পারমেন্ট নেই তার! প্রতিবেশী দেশ ভারত শূটিংয়ের জন্য ১১৬ কোটি রুপী বাজেট করেছে। তাদের সব শূটাররাই বিভিন্ন দেশে অনুশীলন করেন এবং অনেকগুলো ফাইনাল খেলেন। এটাকে বড় পার্থক্য হিসেবে সামনে এনেছেন দিশা, ‘স্বর্ণ জিততে না পারায় কষ্ট পাইনি। আমরা তো ফাইট দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। খুব কাছেই ছিলাম। আসলে জিততে পারিনি বলে হতাশ নই। যা হয়েছে তাতেই আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের কথা বলব, তারা অনেক ক্যাম্প করছে এবং বাইরে অনেক ফাইনাল খেলছে।’ বাংলাদেশ শূটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ বলেন, ‘সবকিছু চিন্তা করে যদি বলি আমি খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্সে খুশি। কিন্তু পদকে নয়। হয়তো আরও ভাল কিছু হওয়ার কথা ছিল। তবে আমরা যেটুকু সুযোগ-সুবিধা পাই, তার মধ্যেই সবকিছু করার চেষ্টা করি।’
×