ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিন স্বর্ণজয়ে আলোকিত লাল-সবুজ পতাকা

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

তিন স্বর্ণজয়ে আলোকিত লাল-সবুজ পতাকা

সাত মানেই ‘লাকি সেভেন’। আর এই ‘৭’ সংখ্যাটি মাবিয়া আক্তার সীমান্তর জন্য দারুণ পয়মন্ত। ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের গুয়াহাটির ভোগেশ্বরী ফুকানানি ইনডোর স্টেডিয়ামে এসএ গেমসে ভারোত্তোলনে মেয়েদের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে স্বর্ণপদক জিতেছিলন। কাকতালীয় ব্যাপার, আরেকটি ৭ তারিখে (এবার অবশ্য ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ডিসেম্বর) আবারও একই আসরে স্বর্ণজয়ের আনন্দে ভাসলেন তিনি। এবারের এসএ গেমসে তিন দিন ধরে স্বর্ণ খরা চলছিল বাংলাদেশের। সেই খরার মধ্যে মাবিয়া এনে দিলেন এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টি। ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণীতে মাবিয়া স্ন্যাচে ৮০ কেজি এবং ক্লিন এ্যান্ড জার্কে ১০৫ কেজি, মোট ১৮৫ কেজি ভার তুলে নিজেকে নিয়ে যান সবার ওপরে। এর ফলে মাবিয়া পেছনে ফেলেন শ্রীলঙ্কার বিসি প্রিয়ান্থি (স্ন্যাচে ৮৩ কেজি ও ক্লিন এ্যান্ড জার্কে ১০১ কেজিসহ মোট ১৮৪ কেজি) এবং নেপালের তারা দেবী (স্ন্যাচে ৭৫ কেজি ও ক্লিন এ্যান্ড জার্কে ৯৭ কেজিসহ ১৭২ কেজি) কেজি। ২০১৬ এসএ গেমসে মাবিয়া স্বর্ণ জিতেছিলেন ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে ১৪৯ কেজি ভার তুলে। বাংলাদেশের প্রথম কোন নারী এ্যাথলেট হিসেবে এসএ গেমসের টানা দুই আসরে স্বর্ণজয়ের কৃতিত্ব দেখালেন। এর আগে এসএ গেমসে বাংলাদেশী নারীদের মধ্যে টানা দুই আসরে স্বর্ণ জিতেছিলেন শূটার কাজী শাহানা পারভীন (শূটিংয়ের স্ট্যান্ডাড রাইফেল ইভেন্টে)। কেমন ছিল মাবিয়ার প্রতিক্রিয়া স্বর্ণজয়ের পর? ‘আত্মবিশ্বাস ছিল। কোচ ও ফেডারেশন আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছে। নিজের প্রতি আমার যা বিশ্বাস ছিল, তার চেয়ে বেশি বিশ্বাস আমার প্রতি ছিল ফেডারেশন ও কোচদের। এই পদক আমি তাদের উৎসর্গ করছি। তাদের আশা পূরণ করতে পেরেছি, ভাল লাগছে। দেশের সবার প্রত্যাশা ছিল আমাকে নিয়ে। সেটা পূরণ করতে পেরেছি।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে মাবিয়া বলেন, ‘ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যদি আমাদের সুযোগ-সুবিধার ওপর জোর দেয়, তাহলে আমরা যে কোন প্রতিযোগিতায় পদক এনে দিতে পারব। কারণ আমি এসএ গেমসের ক্যাম্প করেছি চার-পাঁচ মাস। তাতেই স্বর্ণ জিততে পেরেছি। যদি দুই বছর ক্যাম্প করার সুযোগ পাই, তাহলে যে কোন প্রতিযোগিতাতেই পদক এনে দিতে পারব। আমার পরবর্তী টার্গেট অলিম্পিক।’ বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘মাবিয়ার প্রতি আমাদের বিশ্বাস ছিল। সে প্রত্যাশা মিটিয়েছে। আমরা খুবই খুশি। তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।’ মাবিয়া সচরাচর যে ওজন শ্রেণীতে খেলে থাকেন, এবার সেই ওজনে খেলেননি। ওজন শ্রেণী বদলে যাওয়ার পর এটা কতটা চ্যালেঞ্জ ছিল? মাবিয়ার ভাষ্য, ‘হ্যাঁ, একটু চ্যালেঞ্জ তো ছিল বটেই। চার বছরের ব্যবধানে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ওজনও বাড়াটা স্বাভাবিক। এটা আমার কাছে রিস্ক মনে হয়নি। রিস্ক মনে হয়েছে দেশকে ঠিকমতো প্রতিনিধিত্ব করতে পারব কি না, দেশকে সাফল্য এনে দিতে পারব কি না, এটা নিয়ে।’ ভারত এবার ভারোত্তোলনে অংশ নেয়নি। এতেই স্বর্ণ জেতাটা অনেক সহজ হয়েছে? ‘না, এমনটা মনে করছি না। আমরা সবাই ভারতকে নিয়ে মাথা ঘামালেও শ্রীলঙ্কা কিন্তু অনেক ভাল খেলেছে, তারা কিন্তু মোটেও পিছিয়ে নেই। তাদের হারিয়েই আমাকে জিততে হয়েছে। তাদের মোটেও গোনার বাইরে রাখা যাবে না। অসাধারণ খেলেছে তারা।’ মাবিয়ার অভিমত। মাবিয়া আরও জানান, তবে খেলার আগে মনে হয়েছিল আমি পারব না। আত্মবিশ^াস পুরোপুরি ছিল না। সেটা ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব আমার কোচের। এটা আমার রেকর্ড পারফর্মেন্স। কারণ এর আগে আমি এই পারফর্মেন্স কখনও কোথাও শো করিনি।’ ‘কষ্ট’ শব্দটার সঙ্গে সীমান্তর পরিচয় শৈশব থেকেই। ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সেক্রেটারি উইং কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ প্রতিদিন মাবিয়াকে আসা-যাওয়ার ভাড়া দিতেন নিজের পকেট থেকে। টাকার অঙ্কটি খুবই ক্ষুদ্র, মাত্র ৫০ টাকা! কিন্তু মাবিয়ার জন্য সেটাই ছিল অনেক বড় কিছু। দোকানি বাবা কী যে কষ্ট করে তাদের তিন ভাইবোনকে বড় করেছেন, সেটা ভেবে আজও শিউরে ওঠেন এই নারী ভারোত্তোলক। খেলাটিতে শরীর থেকে যে প্রাণশক্তি ক্ষয় হয়, সেটা পোশাতে রোজ খাদ্য- তালিকায় আমিষের উপস্থিতি দরকার। দুপুরে মাছ হলে রাতে মাংস, কিংবা দুপুরে মাংস হলে রাতে মাছ। সকাল-বিকেল দুধ-ডিমের খরচ তো আছেই। কিন্তু মাবিয়ার বাবা কষ্ট হলেও মেয়েকে এগুলো জুগিয়ে গেছেন। রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েদের খেলাধুলাকে নিরুৎসাহিত করার যে প্রবণতা আছে, পাড়া-প্রতিবেশী কিংবা হঠাৎ বেড়াতে আসা আত্মীয়-স্বজনের ব্যঙ্গোক্তি ... এগুলো মোকাবেলা করেই সীমান্ত আজ এই অবস্থানে। বাবা খিলগাঁওয়ে মুদির দোকানি। চালাতেন সিএনজি অটোরিক্সাও। আর্থিক প্রতিকূলতায় একসময় বন্ধ হয়ে যায় সীমান্তর লেখাপড়া। মামা বক্সিং কোচ শাহাদাত কাজী জোর করেই ভাগ্নিকে ভারোত্তোলন অনুশীলন করাতে শুরু করেন। সেই ভারোত্তোলন পাল্টে দিয়েছে সীমান্তর জীবন। সেই খেলার কারণেই এবার এসএ গেমসে মাবিয়ার মাধ্যমে তিন দিনের স্বর্ণখরা ঘোচাল বাংলাদেশ। হামিদুলের পর জিয়ারুল... ‘এটা আমার জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নেয়া। প্রথম আসরেই সোনা জিতেছি। এ জন্য আল্লাহ্র কাছে অশেষ শুকরিয়া। কোচ মাহবুব ভাই আমার ওপর ভরসা রেখেছিলেন এবং আমাকে আত্মবিশ^াস জুগিয়েছিলেন। আমার এই সাফল্যের জন্য আমি বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ কথাগুলো জিয়ারুল ইসলামের। এবারের এসএ গেমসে ছেলেদের ৯৬ কেজি ওজন শ্রেণীতে সোনার পদক জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ভারোত্তোলক। স্ন্যাচে তিন লিফটে জিয়ারুল তোলেন ১৩৫ কেজি। এরপর ক্লিন এ্যান্ড জার্কে তিন লিফটে তোলেন ২৬২ কেজি। এই ইভেন্টে রৌপ্য জেতেন স্বাগতিক নেপালের বিশাল সিং বিস্ট। তিনি মোট তোলেন ২৪৭ কেজি ভার। ব্রোঞ্জ জয়ী ভুটানের কেনলি গায়েলশেন তোলেন ১৭০ কেজি ভার। পুরুষদের ভারোত্তোলনে এসএ গেমসে দীর্ঘ নয় বছর পর আবারও স্বর্ণসাফল্য কুড়িয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ২০১০ এসএ গেমসে পুরুষ ভারোত্তোলনে বাংলাদেশের হামিদুল ইসলাম ৭৭ কেজিতে স্বর্ণ জয় করেছিলেন। এবার হামিদুলের পর বিজয় মঞ্চে উঠলেন জিয়ারুল। স্বর্ণজয়ের পর কেমন ছিল জিয়ারুলের অনুভূতি? ‘দেশের মান সম্মান বজায় রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। সেটা সফল হয়েছে। এজন্য আমি অনেক আনন্দিত। সাফল্যের জন্য অনেক পরিশ্রম, কষ্ট, ধৈর্য ধরতে হয়, সেগুলো করেই আজ আমি এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি। কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে।’ জিয়ারুলের পরবর্তী লক্ষ্য এশিয়ান গেমস ও কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিয়ে দেশকে পদক এনে দেয়া। ভারোত্তোলনে আসার আগ্রহ কিভাবে তৈরি হলো? জিয়ারুলের স্মৃতিচারণ, ‘দিনাজপুরের কিষানবাজারের ছেলে আমি। সেখানকার সিনিয়র ভারোত্তোলক মনোয়ার নিন্দা ও ফরহাদ ভাই ২০১০ এসএ গেমসে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের দেখেই আমি এই খেলাটিতে আগ্রহী হই। ২০১০ সাল থেকেই খেলাটি শুরু করি। এক বছর খেলার পর বিরতি নেই। তখন আমি আর্মিতে জয়েন করি। এরপর আবার ২০১৫ সাল থেকে আবারও ওয়েটলিফটিং খেলা শুরু করি। আমার পরিবার আমাকে কখনই এই খেলা খেলতে মানা করেনি। আজকের এই সাফল্যে তারা সবাই অনেক খুশি হয়েছেন।’ জিয়ারুল আরও যোগ করেন, ‘আমার এই সাফল্যের পেছনে আমাদের ফেডারেশনের মহিউদ্দিন স্যারের অনেক অবদান আছে।’ খেলার আগে কি মনে হয়েছিল জিয়ারুলের? ‘স্বর্ণ, না রৌপ্য পাব কি না, এটা আসলে খেলার আগে মনে করাটা মুশকিল। এটা ভাগ্যের ব্যাপার। এটা আল্লাহ্পাক আগেই নির্ধারণ করে রাখেন। তিনি চেয়েছিলেন আমিই স্বর্ণ জিতব, তাই সেটাই হয়েছে।’ এখন দেখার বিষয়, আগামীতে জিয়ারুলের এশিয়ান গেমস ও কমনওয়েলথ গেমসে কোন সাফল্য আসে কি না। নতুন ইভেন্ট ফেন্সিংয়ে দেশের প্রথম স্বর্ণ ফাতেমার এবারের এসএ গেমসে নতুন যে কটি খেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে ফেন্সিং। তলোয়ারবাজির খেলা এটি। কোমরের ওপরে যে কোন স্থানেই স্পর্শ করতে পারলেই পয়েন্ট। তলোয়ারের আঘাতে যেন শরীরের কোন অংশ কেটে না যায় সেজন্য প্রতিরক্ষার জন্য গ্লাভস, জ্যাকেট, মাস্ক ও হেলমেট পরতে হয়। যিনি ৯ মিনিটের মধ্যে সবার আগে ১৫ পয়েন্ট অর্জন করবেন, তিনিই জিতবেন। শনিবার কাঠমান্ডুর নয়াবাজার কৃতিপুরে অনুষ্ঠিত ফেন্সিংয়ে নারী সাবের এককে স্বর্ণ জিতে এই খেলায় লাল-সবুজের বাংলাদেশকে প্রথম স্বর্ণ পদক এনে দিলেন ফাতেমা মুজিব। ফাইনালে তিনি নেপালের রবিন থাপাকে হারান ১৫-১০ পয়েন্টে। আর তাতেই গড়েন ইতিহাস। এ আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে হবিগঞ্জ চুনুরঘাটের এ মেয়ে ফাতেমা বলেন, ‘স্বর্ণ জয়ের ব্যাপারে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এটাই আমার প্রথম বিদেশ সফর। এসেই স্বর্ণ জিতলাম। এটা আমার জন্য বিশেষ কিছু। আমার আত্মবিশ্বাস ভাল ছিল। যদিও এখানকার আবহাওয়া অনেক প্রতিকূল ছিল।’ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করা এ ফেন্সার বলিউডের ‘যোধা আকবর’ সিনেমাটি দেখার পর থেকেই নিজেকে যোদ্ধা হিসেবে মনে করে উজ্জীবিত হন। বাবা খোরশেদ আলী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মেয়ে ফাতেমার বাবার মতো যুদ্ধ করতে চান, তবে ফেন্সার হিসেবে। বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর খেলোয়াড় ফাতেমা বলেন, ‘দেশের জন্য খেলতে গিয়ে নিজেকে উজাড় করে দেব।’ ফাতেমা মাত্র দুই মাস বয়সে তার মা হাসিনা বেগমকে হারিয়েছিলেন। তখন ২০০১ সাল। ফাতেমাকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেন তার বড় বোন খাদিজা মুজিব। শনিবার নিজের সাফল্যের পর হঠাৎই মায়ের কথা মনে করে আকুল নয়নে কাঁদলেন ফাতেমা, ‘স্বর্ণ জয়ের পরই মায়ের কথা বারবার মনে পড়ছিল। আজ মা থাকলে অনেক খুশি হতেন।’ ফেন্সিংয়ে বাংলাদেশকে প্রথম আন্তর্জাতিক পদক এনে দেয়া ফাতেমা জাতীয় ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যক্তিগত ৪টি এবং দলগত ৭টি স্বর্ণ জিতেছেন। ফাতেমা তার বড় ভাই সাদ্দাম মুজিবের (তিনিও নৌ বাহিনীতে চাকরি করেন) হাত ধরে ফেন্সিংয়ে আসেন ২০১৩ সালে। চার মাস আগে কম্বোডিয়ার কোচ সুক সাহা বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার কোচিংয়েই বদলে যান ফাতেমা। শনিবার ছিল ফাতেমার ১৯তম জন্মদিন। অথচ স্বর্ণজয়ের আগ পর্যন্ত কাউকে জন্মদিনের কথা বলেননি। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জন্মদিনের কথাটি গোপন রেখেছিলাম। পরিকল্পনা করেছিলাম যদি জিতি, তাহলে সবাইকে বলব আর হারলে কাউকে জানাব না। সেরা হওয়ার পরই সবাই জানিয়ে দেই আজ আমার জন্মদিন। তখন দলের সবাই ‘হ্যাপি বার্থডে ফাতেমা’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।’ ফেন্সিং খেলাটির সরঞ্জামের দাম অনেক বেশি। একবার নষ্ট হয়ে গেলেই অনুশীলন বন্ধ। তাই সরকারের কাছ থেকেও সহযোগিতা চাওয়া ছাড়াও দেশের বাইরে গিয়ে আরও বেশি খেলতে চান তিনি, ‘এখানে আসার আগে শুনেছি যাদের বিপক্ষে খেলব তারা সবাই তারকা। তারপরেও ঘাবড়ে যাইনি। কারণ আমার বিশ্বাস ছিল। দেশকে স্বর্ণ এনে দিলাম। এখন আমার চাওয়া আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা। আমরা যেন বিদেশে গিয়ে বেশি বেশি খেলতে পারি।’ আজ দলগত ইভেন্টে খেলবেন ফাতেমা। আবারও কি স্বর্ণ জিততে পারবেন ফাতেমা?
×