ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফের গণভোটের ইঙ্গিত লেবার নেতার

ব্রেক্সিট নিয়ে শেষ বিতর্কে মুখোমুখি বরিস-করবিন

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

ব্রেক্সিট নিয়ে শেষ বিতর্কে মুখোমুখি বরিস-করবিন

১২ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন শুক্রবার চূড়ান্ত টিভি বিতর্কে ব্রেক্সিট নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন। বিবিসি আয়োজিত সরাসরি সম্প্রচারিত বিতর্কে করবিন বলেন, লেবার পার্টি জিতলে তারা আলোচনা করে একটি নতুন চুক্তির মাধ্যমে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার ইতি ঘটাবেন এবং বিকল্প পন্থা হিসেবে গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা জনগণের হাতে ছেড়ে দেবেন। বিবিসি। জনসন বলেন, তিনি চমৎকার একটি চুক্তি করেছেন এবং ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যকে ইইউ থেকে বের করে নিয়ে আসতে এটি ব্যবহার করবেন। বিতর্কে অন্য বিষয়ের মধ্যে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, নিরাপত্তা ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিষয়টি উঠে আসে। উপস্থাপক নিক রবিনসনের সঞ্চালনায় বিতর্কের শুরুতে লেবার নেতা করবিন বলেন, গণভোট দেয়ার আগে তিনি ইইউ-এর সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে একটি নতুন বিচ্ছেদ চুক্তির জন্য আলোচনা করবেন। এতে কাজ না হলে ৬ মাসের মধ্যে গণভোট দেবেন। বরিস তার কথার প্রতিবাদ করে বলেন, তিনি ইতোমধ্যে একটি চুক্তি করেছেন এবং তিনি এটি আগামী মাসে ইইউ ত্যাগ করতে কাজে লাগাবেন যদি তিনি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান। তবে নিক রবিনসন জনসনকে চ্যালেঞ্জ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, যখন জনসন একটি ব্রেক্সিট চুক্তি করেছেন তখন তিনি ইইউ-এর সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করেননি। সুতরাং তিনি জানুয়ারিতে চুক্তিহীন বিচ্ছেদকে বাদ দিতে পারবেন না। জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তি কিভাবে উত্তর আয়ারল্যান্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে লেবার ও কনজারভেটিভ নেতারা সেই যুক্তিতর্ক করেই শুক্রবার কাটিয়েছেন। লেবার পার্টি বলেছে, একটি ফাঁসকৃত দলিলে দেখা গেছে, জনসনের চুক্তির ফলে উত্তর আয়ারল্যান্ডের ওপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। এই বিষয়টি বিতর্কে উঠলে করবিন তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বলেন, জনসন ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির সম্মেলনে বক্তৃতা করেন এবং বলেন, যাই ঘটুক না কেন সেখানে কোন বিধিনিষেধ থাকবে না, আমরা এখন জানছি সেখানে বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে জনসন দর্শকদের সরব প্রশংসা আদায় করে নেন যখন তিনি বলেন, ডিইউপি’র সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতা করবিনের এখানে টেনে আনার বিষয়টিকে তিনি সামান্য উৎসুক দৃষ্টিতে দেখছেন। এ সময় তিনি যারা একটি সংযুক্ত আয়ারল্যান্ড দেখতে চায় তাদের জন্য লেবার নেতাদের অতীত সমর্থনের বিষয়টি উল্লেখ করেন। ব্রেক্সিটের মতো জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিও প্রচারে ব্যাপকভাবে স্থান পেয়েছে এবং শুক্রবারের বিতর্কেও ভিন্ন কিছু ছিল না। বিতর্কে জনসন ও করবিনের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করতে গিয়ে এসএনপি নেতা নিকোলা স্টারজেন টুইটে লেখেন, ‘ওটা ছিল সম্পূর্ণ দুঃখপূর্ণ। দুইজন বিরক্তিকর মানুষ, তাদের উভয়ই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য অযোগ্য।’ লিবারেল ডেমোক্র্যাট ব্রেক্সিট মুখপাত্র টম ব্রেক বলেন, ‘আজকের রাতের বিতর্ক ছিল ব্রিটিশ রাজনীতির সবচেয়ে বাজে ঘটনা। দুই নেতার কেউউ নতুন এবং ভিন্ন কিছু বলেননি।’
×