ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধর্ষণে অভিযুক্তদের দেহ সংরক্ষণ-ময়না তদন্তের ভিডিও জমার নির্দেশ

প্রকাশিত: ০২:১৪, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

ধর্ষণে অভিযুক্তদের দেহ সংরক্ষণ-ময়না তদন্তের ভিডিও জমার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতের তেলেঙ্গানায় ধর্ষণে অভিযুক্ত চারজনের মরদেহ সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২৭ বছর বয়সী পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যায় ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মরদেহের ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ড করে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ওই রেকর্ডিং রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট এক জরুরি শুনানিতে এমন নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার ভোরেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তেলেঙ্গানায় ধর্ষণে অভিযুক্ত চারজনের। হায়দারাবাদে গণধর্ষণের পর তরুণী পশু-চিকিৎসককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ওই চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ হেফাজত থেকে পালাতে গেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় তারা। তদন্তের জন্য ওই ব্যক্তিদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকেই পালানোর চেষ্টা করে তারা। তারপরই পুলিশ গুলি চালায়। দুই বিচারকের বেঞ্চ অভিযুক্তদের ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং করার নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে এসব রেকর্ড জমা দিতে হবে। মেহবুব নগরের প্রধান জেলা বিচারক শনিবার সন্ধ্যায় তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে ভিডিও হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, চার অভিযুক্ত মুহাম্মদ আরিফ, জল্লু শিব, জল্লু নবীন এবং চিন্তাকুণ্টা চেন্নাকেশাভুলুকে ধর্ষণের ঘটনা তদন্তের জন্য ভোর তিনটার সময় ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে একটি সেতুর নিচে ওই নারীর মৃতদেহ পাওয়ায় অভিযুক্তদের সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন অন্যদের পালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। দু'জন তাদের আক্রমণ করে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালানোর পর পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য অভিযুক্তদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গত বুধবার রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তেলেঙ্গানার ওই তরুণী চিকিৎসককে চার ট্রাকচালক ও ক্লিনার কৌশলে নিজেদের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ওই তরুণীর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শাদনগর নামক এলাকা দিয়ে স্কুটারে করে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী চিকিসৎক। মাঝ রাস্তায় স্কুটারের টায়ার ফেটে গেলে তিনি অভিযুক্ত ওই দুই ট্রাকচালকের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন।
×