ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়ায় দৃষ্টিনন্দন অয়েল মিল পুকুর

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

 কলাপাড়ায় দৃষ্টিনন্দন  অয়েল মিল  পুকুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, ৬ ডিসেম্বর ॥ অয়েল মিল নেই দেড় যুগ আগেই। তাতে কি? অয়েল মিল পুকুর না বললে কেউ চেনেন না এ পুকুরটিকে। শত বছরের পুরনো এ পুকুরটি কলাপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। করেছে সৌন্দর্যবর্ধন। দীর্ঘদিন পুকুরটির পাড়ের ভাঙ্গনে পাড়ের মানুষ ছিল দুর্ভোগে। এখন পুকুরটি দৃষ্টি কাড়ছে মানুষের। চলার পথে একনজর দেখতে থমকে দাঁড়ায় পথিক। বিকেল বেলা থেকে রাত অবধি নারী-পুরুষ হাঁটেন পুকুরের পাড়ের সড়কে। খুব ভোরেও থাকে মানুষের আনাগোনা। এখন শহরের দৃষ্টিনন্দন স্পটে পরিণত হয়েছে এ পুকুরটি। ১৯১৬ সালে যখন খেপুপাড়া সাপ্লাই এ্যান্ড সেল সোসাইটি সমবায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। তখন দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ অটো রাইস মিলের পাশাপাশি গড়ে তোলা হয় সমবায় অয়েল মিল। করা হয় আবাসিক এরিয়া। তখনকার সময় নিচু জায়গা ভরাটের জন্য মাটি কেটে এ পুকুরটি করা হয়। তখন থেকে পুকুরটির নাম হয় অয়েল মিল পুকুর। তারই পাশে করা হয় অয়েল মিল মসজিদ। এমনকি গোটা মহল্লার নামও হয় অয়েল মিল এলাকা। খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ এ তথ্য জানালেন। প্রবীণ এ শিক্ষক আরও জানালেন, প্রথম দিকে এখানে একটি কাঠের সুন্দর ঘাটলা ছিল। তার মন্তব্য পুকুরটি সংরক্ষণ করায় এখন ভাল হয়েছে। মানুষের কাছে পুকুরটি খুবই প্রয়োজন। পানির ব্যবহারে আশপাশে কোন পুকুর না থাকায় এটি সংরক্ষণে গোটা সমাজের উপকার হয়েছে। কলাপাড়া পৌরসভার প্রকৌশলী মিজানুজ্জামান জানান, স্টেনলেস স্টিল দিয়ে চারপাশে নান্দনিক কাজ করা হয়েছে। মানুষ হাঁটার জন্য সড়ক করা হয়েছে। মাঝখানে চারপাশে ফলদ ও শোভাবর্ধনের গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। রোড-২ প্যাকেজের ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সৌন্দর্যবর্ধন করে পুকুরটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জানান, এ পুকুরটির মাঝখানে একটি পানির ফোয়ারা করার পরিকল্পনা রয়েছে। পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে ফোয়ারাটি করা হবে। কাউন্সিলর শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী জানালেন, প্রতিদিন পুকুরটিতে শত শত নারী-পুরুষ গোসল করেন।
×