বাগেরহাটে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শহরের কৃষ্ণনগর এলাকায় হেলাল আকন (৩৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পূর্ব বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। নিহত হেলাল আকন বাগেরহাট পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকার শাহজাহান আকনের ছেলে ও জেলা তাঁতিলীগ নেতা দুলাল আকনের ভাই। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে লাঠিসোটা নিয়ে একদল লোক হেলাল আকন নামে ওই যুবককে বাগেরহাট পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকায় এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তার চিৎকার শুনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর মাথার গুরুতর অবস্থায় তাকে খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। হেলালের সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরে তাকে প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে হত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শ্রীপুরে ছাত্রের লাশ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, শ্রীপুরে নিখোঁজ এক স্কুল ছাত্রের লাশ নির্মাণাধীন একটি কারখানার বালুর নিচ থেকে শুক্রবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম জাহিদ হাসান দুর্জয় (১১)। সে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধায় গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে। দুর্জয় স্থানীয় তেলিহাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে খেলার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় জাহিদ। পরে সন্ধ্যায় সে বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এ সময় নিখোঁজ জাহিদের সন্ধান চেয়ে স্থানীয়সহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন মসজিদ থেকে মাইকিং করা হলেও রাতে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে তার দাদি কমলা খাতুন ও বাবা আকতার হোসেন বাড়ির পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন একটি কারখানার (চায়না প্রজেক্টের) সীমানা প্রাচীরের ভেতর বালুর নিচে পুঁতে রাখা জাহিদের লাশ দেখতে পান। লাশটির মুখের অংশ ছাড়া দেহের পুরো অংশই বালুতে পোঁতা ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহতের বাবা আকতার হোসেনের দাবি শিশু সন্তান জাহিদকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বালিতে পুঁতে রাখে হত্যাকারীরা।