ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় একক আইন প্রণয়নের দাবি ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের

প্রকাশিত: ১০:২৫, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

 শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় একক আইন প্রণয়নের দাবি ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় একক আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। জাতীয় শ্রমিক সংগঠনটি শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত তাদের দশম সম্মেলনে এই দাবি জানায়। সংগঠনটির তরফ থেকে বলা হয়েছে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, সরকারী, বেসরকারী এবং ব্যক্তি মালিকানায় স্থাপিত কারখানার ক্ষেত্রে চার ধরনের ট্রেড ইউনিয়ন আইন রয়েছে। যাতে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ট্রেড ইউনিয়নে সম্পৃক্ত হওয়া জটিল আকার ধারণ করছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, স্বাধীনতার পর শূন্য থেকে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একটি যুদ্ধবিধস্ত দেশকে পুনর্গঠনের কাজে হাত দেন তিনি। যেখানে খাদ্য ছিল না, ব্যাংকে টাকা ছিল না। কিন্তু এরপরও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করে গেছেন। দেশ এখন অনেক দূর এগিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এক সময় বলেছিলেন, বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু মার্কিনীরাই এখন বলছেন বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। দেশের এই অগ্রযাত্রায় শ্রমজীবী মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। অনুষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, সরকারী, বেসরকারী এবং ব্যক্তি মালিকায় স্থাপিত কারখানার ট্রেড ইউনিয়ন করার জন্য পৃথক পৃথক আইন রয়েছে। আইনের ভিন্নতার জন্য শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এই সঙ্কট সমাধানে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ধনী শ্রেণী কর্পোরেট ট্যাক্স যথাযথভাবে প্রদান করে না। যদি কর্পোরেট ট্যাক্স প্রদানে স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হতো তাহলে তা শ্রমিক কল্যাণকে ত্বরান্বিত করত। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. ওয়াজেদুল ইসলাম বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন হচ্ছে মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে আইনগত একটি সেতুবন্ধন। কিন্তু মালিক পক্ষ ট্রেড ইউনিয়নে বাধা দিয়ে থাকে। এতে শ্রম অসন্তোষ নিরসন করা কঠিন হয়। তিনি বলেন, সারাদেশে চার হাজার গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে ৫০০টিতে ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে। আরও বেশি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে মালিক পক্ষই লাভবান হতো। ঢাকা আইএলওর প্রতিনিধি হেনরি জিরারড বলেন, দেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে আমরা শ্রমিক ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। ভবিষ্যতে এই কর্মপরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে।
×