ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কঠিন গ্রুপে মেসির আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯

কঠিন গ্রুপে মেসির আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী বছর আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়ায় বসবে কোপা আমেরিকার ৪৭তম আসর। প্রথমবারের মতো লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকার আয়োজন করতে যাচ্ছে কলম্বিয়া-আর্জেন্টিনা। মঙ্গলবার হয়ে গেল শতবর্ষী এই টুর্নামেন্টের ড্র। এতে কঠিন গ্রুপে পড়েছে লিওনেল মেসির দল। ‘এ’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী চিলি, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া। এই গ্রুপকে বলা হচ্ছে মৃত্যুকূপ। ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল। সেলেসাওদের গ্রুপের বাকি পাঁচটি দল যথাক্রমে কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, ইকুয়েডর, পেরু এবং কাতার। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসি। ক্লাব ফুটবলের মহাতারকা। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সিলোনার জার্সিতে অসাধারণ সব পারফর্মেন্স উপহার দেন নিয়ম করে। কাতালান ক্লাবটির হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাও জিতেছেন তিনি। ক্লাব ফুটবলের অসাধারণ পারফর্মেন্সের কারণে সোমবার রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি’অরও নিজের শোকেসে তুলেছেন এলএম টেন। অথচ জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়ে নেই কোন শিরোপা। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে আকাশী-সাদা জার্সির প্রতিনিধিত্ব করে একটি ট্রফিও জিততে পারেননি মেসি। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে তাই বুভুক্ষের মতো খুঁজছেন একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা। সেই লক্ষ্যে আবারও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন মেসি। বিশেষ করে চিলির গ্রুপে পড়ায় আর্জেন্টিনাকে নিয়ে আলোচনাটা একটু বেশি। কেননা ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে টানা দুইবার এই চিলির কাছেই যে ফাইনালে হেরেছে মেসি-এ্যাগুয়েরোরা। শুধু তাই নয়, এবারের কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। সে ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে লালকার্ড দেখেছিলেন মেসি। যে কারণে পরবর্তীতে তিন মাস আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকেও নিষিদ্ধ থাকতে হয় বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে। চিলির নাম শুনলে তাই মেসি কিংবা আর্জেন্টাইন ভক্তদের একটু ভ্রƒ কোঁচকানোটাই স্বাভাবিক। অথচ সেই চিলির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আগামী বছর নিজেদের মিশন শুরু করবে লিওনেল স্কালোনির দল। তবে শুধু চিলি-ই নয় আর্জেন্টিনার গ্রুপে রয়েছে উরুগুয়েও। এছাড়া বাকি তিনটি দল হলো অস্ট্রেলিয়া, প্যারাগুয়ে এবং বলিভিয়া। লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টে এবার এবার ১২টি দল খেলবে। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে কোপার শিরোপার জন্য। তাই প্রতি গ্রুপে জায়গা পাচ্ছে ছয়টি করে দল। কলম্বিয়া-আর্জেন্টিনার এই আসরে অস্ট্রেলিয়া খেলছে আমন্ত্রিত হিসেবে। ভৌগোলিক কারণে এবার ড্রতে কার গ্রুপে কে পড়বে সেটা মোটামুটি নির্ধারিতই ছিল। ব্রাজিলের গ্রুপে স্থান পেয়েছে ভেনিজুয়েলা, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু এবং কাতার। প্রতিটা গ্রুপের দলগুলো নিজেরা একে অন্যের বিপক্ষে খেলবে। চারটি করে দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তারপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। অস্ট্রেলিয়ার মতো এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারও খেলছে আমন্ত্রিত দল হিসেবে। আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ ১২ জুন। এবার সমর্থকরা মেসির জন্য একটা আন্তর্জাতিক শিরোপা চাইছে। তবে ১৯৯৩ সালে সর্বশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা উঁচিয়ে ধরা আর্জেন্টিনার কোচ তুলে ধরলেন সঠিক বাস্তবতা। জানালেন শুধু মেসির জন্য নয় বরং তারচেয়েও আর্জেন্টিনার জন্য একটা শিরোপা জেতা জরুরী। এ প্রসঙ্গে লিওনেল স্কালোনি বলেন, ‘জানি না এটাই মেসির শেষ কোন টুর্নামেন্ট হবে কিনা। আশাকরি যেন এমনটা না হয়। কিন্তু আর্জেন্টিনার একটা শিরোপা জেতা দরকার, মেসির চেয়েও এটা বেশি জরুরী। এই মুহূর্তে সেজন্য কোন রকমের প্রতিজ্ঞা করছি না। তবে ফাইনাল খেলার জন্য আমরা সর্বোচ্চটাই ঢেলে দিব।’ এদিকে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ১৪ জুন গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচ খেলবে তারা ভেনিজুয়েলার সঙ্গে। কোপার ফাইনাল হবে ১২ জুলাই। এক নজরে দুই গ্রুপ ‘এ’ গ্রুপ ॥ আর্জেন্টিনা, চিলি, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া। ‘বি’ গ্রুপ ॥ ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, ইকুয়েডর, পেরু এবং কাতার।
×